কলকাতা, 3 নভেম্বর: রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয় (Rabindra Bharati University) নিয়ে বিতর্ক চরমে উঠেছে ৷ একদিকে বিশ্ববিদ্য়ালয়ের উপাচার্য সংবাদমাধ্যমের সামনে তাঁর ক্ষোভ উগড়ে দিচ্ছেন ৷ অন্যদিকে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর (Education Minister Bratya Basu) বক্তব্য, কাজ করতে অসুবিধা হচ্ছে জানিয়ে আমার কাছে উপাচার্য কোনও অভিযোগ করেননি ৷ আবার শিক্ষামন্ত্রীর সামনে দাঁড়িয়ে ওই উপাচার্য বলছেন যে তিনি কোনও অভিযোগ জানাননি ৷ ফলে বিষয়টি ঠিক কী, তা নিয়ে ধোঁয়াশা ক্রমশ বাড়ছে ৷
আজ, বৃহস্পতিবার বিকাশ ভবনে একটি সরকারি অনুষ্ঠানে গিয়ে আবারও রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের (RBU) উপাচার্য সব্যসাচী বসু রায় তাঁর ক্ষোভের কথা উগড়ে দেন সংবাদমাধ্যমের সামনে । তবে সব্যসাচী বসু রায়কে যখন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর সামনে তাঁর অভিযোগের কথা জানানো নিয়ে জিজ্ঞাসা করা হয়, তখন তিনি কোনও অভিযোগ জানাননি বলে জানান ৷ তবে ব্রাত্য বসুর অনুপস্থিতিতে তিনি যখন সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেন, তখন তিনি আবারও তাঁর অভিযোগের প্রসঙ্গ তোলেন ।
প্রসঙ্গত, সব্যসাচী বসু রায় এর আগেও একবার জানিয়েছিলেন যে বিশ্ববিদ্যালয় কাজ করতে তাঁর সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে । এই অভিযোগ জানিয়ে তিনি শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর কাছে তিনি পদত্যাগের ইচ্ছে প্রকাশ করেছিলেন । এরপর সম্প্রতি আবারও তিনি সংবাদ মাধ্যমের সামনে তাঁর ক্ষোভ জানান । কারণ, তাঁর অজান্তেই বিভিন্ন বিভাগ থেকে কর্মচারী তুলে নেওয়া হচ্ছে ।
অন্যদিকে এই বিষয় শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু বলেন, "আমার সঙ্গে ওঁর রীতিমতো যোগাযোগ আছে । সেরকম কোনও অভিযোগ নেই । সব বিশ্ববিদ্যালয়ের টুকটাক কিছু হয় । আমার মনে হয় না এগুলো গুরুতর কিছু । আমাদের মাথায় রাখতে হবে বিশ্ববিদ্যালয় সবার । কিন্ত তার মধ্যেও প্রশাসনিক কিছু দায়িত্ব থাকে । তিনি উপাচার্য । এবং এক্ষেত্রে তাঁর মতই চূড়ান্ত ।"
পাশাপাশি যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় (Jadavpur University) যে চরম অর্থাভাব চলেছে, সেই বিষয়ে ব্রাত্য বসু বলেন, "বিদেশে, এমনকি, অক্সফোর্ডেও এটাই রীতি । এটাই নিয়ম । প্রাক্তনীদের তহবিল সারা পৃথিবীর রেওয়াজ । আগের সরকারেও হয়েছে । এতে ভাঁড়ারে টাকা নেই প্রমাণ করে না । রাজ্য সরকারের কাছে প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয় টাকা চায় । আরইউএসইউ-এর (রাষ্ট্রীয় উচ্চতর শিক্ষা অভিযান) 30 কোটি টাকা এখনও বকেয়া ।"