কলকাতা, 26 জুন: নিয়োগ সংক্রান্ত দুর্নীতির বেশ কিছু নথি ইতিমধ্যেই শিক্ষা পর্ষদের কাছে চেয়ে পাঠিয়েছিল সিবিআই। কিন্তু শিক্ষা পর্ষদ তরফ থেকে এবার সিবিআইকে ইমেইল মারফত জানানো হয়েছে তারা দুর্নীতির সংক্রান্ত সমস্ত তথ্য সিবিআইকে দিয়েছে ৷ শুধুমাত্র একটি ফাইল খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। শিক্ষা পর্ষদের তরফ থেকে সিবিআইকে জানানো হয়েছে ফাইলটি বেশ কয়েক মাস ধরেই খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।
এই বিষয়ে সিবিআইয়ের প্রশ্ন, পর্ষদ তাদেরকে জানাচ্ছেন বেশ কয়েক মাস হল সংশ্লিষ্ট ফাইলটি পর্ষদ থেকে নিখোঁজ হয়ে গিয়েছে। সেই ক্ষেত্রে স্থানীয় থানায় পর্ষদের তরফ থেকে অভিযোগ করা হয়েছিল কি না? সূত্রের খবর, 2022 সাল থেকে নিখোঁজ ওই ফাইলের বিষয় তারা জানতে পারেন। বিধাননগর কমিশনারেটের সঙ্গে তারা সরাসরি যোগাযোগ করেছেন। সেইসঙ্গে তরফ থেকে কোনও লিখিত কমপ্লেন জমা পড়েছিল কি না, তাও জানতে চাইছেন তদন্তকারীরা।
রাজ্যে প্রাথমিক, উচ্চ-প্রাথমিক এবং মাধ্যমিক পার্শ্বশিক্ষক এবং শিক্ষাকর্মী নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় 2022 সাল থেকে তদন্তভার গ্রহণ করেছে সিবিআই। ইতিমধ্যেই একাধিক প্রভাবশালী ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছেন তদন্তকারী আধিকারিকরা। ইতিমধ্যেই প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় থেকে শুরু করে বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্য প্রত্যকেই বর্তমানে জেলবন্দি অবস্থায় রয়েছেন ৷ এছাড়াও এসএসসির প্রাক্তন উপদেষ্টা শান্তি প্রসাদ সিনহা-সহ একাধিক আধিকারিকরাও রয়েছেন জেল হেফাজতে। ফলে সিবিআইয়ের অভিযোগ, শুধু এই বিষয়ে নেতা-মন্ত্রীরাযুক্ত তেমনটা নয় বরং যুক্ত রয়েছে একাধিক জেলার এজেন্ট এবং সরকারি আধিকারিকরাও।
আরও পড়ুন: সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে ফের মেজাজ হারালেন 'কালীঘাটের কাকু'
অন্যদিকে, এই ঘটনায় সিবিআইয়ের পাশাপাশি তদন্তে নেমেছে ইডিও। ইডির গোয়েন্দারা ঘটনার তদন্তে নেমে জানতে পারেন এই ঘটনায় কোটি কোটি টাকা রাজ্যের একাধিক প্রভাবশালীদের কাছে গিয়েছে। এছাড়াও সিবিআইয়ের স্ক্যানারে এই ঘটনায় রয়েছেন একাধিক জেলার এজেন্ট বা দালাল। এই ঘটনায় সিবিআইয়ের তদন্তকারীরা ইতিমধ্যেই বিধাননগর সিটি পুলিশের সঙ্গে কথা বলেছেন। কেননা নিখোঁজ হয়ে যাওয়া ফাইলটি খুঁজে পাওয়া সিবিআইয়ের কাছে খুব জরুরি।