কলকাতা, 22 মে : নারদ কাণ্ডে মোট 80 লক্ষ টাকার লেনদেন হয়েছিল । কোথায় গেল সেই টাকা ? কে কে লাভবান হলেন সেই টাকা নিয়ে ? নারদ কাণ্ডে এবার অর্থনৈতিক রহস্যের জাল ভেদ করার জন্য সিবিআইয়ের সঙ্গে সমান্তরাল তদন্তে নেমেছেন ইডির গোয়েন্দারা । ইতিমধ্যেই সিবিআইয়ের সঙ্গে দিল্লিতে একাধিক বৈঠক করেছেন ইডির গোয়েন্দারা । তদন্তের ক্ষেত্রে কোন কোন রিপোর্ট তাদের প্রয়োজন, তা সিবিআইয়ের থেকে নিয়ে এবার নারদ কাণ্ডে টাকার লেনদেনের তদন্তে নেমেছে ইডি ।
নারদ কাণ্ডে সিবিআইয়ের হাতের ধৃতদের এবার প্রয়োজনে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারে ইডি । নারদ কাণ্ডে সিবিআইয়ের সঙ্গে সমান্তরাল ভাবে তদন্ত চালাচ্ছেন ইডির গোয়েন্দারা । নারদ কাণ্ডে 80 লক্ষ টাকার লেনদেন হয়েছিল । ইডি অর্থনৈতিক তছরূপের বিষয়টি দেখবে ৷
সিবিআই সূত্রের খবর, তাদের সঙ্গে এই বিষয়ে কথাও বলেছেন ইডির গোয়েন্দারা । নারদা কাণ্ডে ধৃত চারজনের সম্পত্তির হিসাব কষার কাজও শুরু করে দিয়েছে ইডি । তাঁদের সম্পত্তি বাজেয়াপ্তও করতে পারে তারা । এই ঘটনায় আগেই ফিরহাদ হাকিমকে একাধিক চিঠি পাঠিয়ে তলব করেছিল ইডি । পাশাপাশি নারদ কাণ্ডে ধৃতদের পাশাপাশি এবার শুভেন্দু অধিকারী, প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়, কাকলি ঘোষদস্তিদার, সৌগত রায়েরও স্টেটাস জানার জন্য লোকসভার স্পিকারের কাছে চিঠি দিয়েছে ইডি ।
ইডি সূত্রে খবর, যেহেতু নারদা কাণ্ডে একাধিক প্রভাবশালী ব্যক্তিকে দেখা যায় হাত পেতে টাকা নিতে, ফলে তাদের কাছে এটা একটা বড় প্রমাণ । পাশাপাশি ইডির গোয়েন্দারা জানাচ্ছেন, মোট 80 লক্ষ টাকা খরচ হয়েছিল এই স্টিং অপারেশনে । ফলে এই টাকা যে সকল প্রভাবশালীদের হাত পেতে নিতে দেখা গিয়েছে, তাঁদের প্রত্যকের সঙ্গে এখনও কথা বলে উঠতে পারেনি ইডি ৷ সংশ্লিষ্ট টাকার হিসাবও এখনও মেলেনি । এবার সেই রহস্যের জট খুলতে চেয়ে যেসব প্রভাবশালীদের টাকা নিতে দেখা গিয়েছে, তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করতে চান ইডির গোয়েন্দারা ।
আরও পড়ুন : রাজ্য রাজনীতিতেই থাকতে চান শোভনদেব, লড়তে পারেন খড়দা থেকে