কলকাতা, 25 ফেব্রুয়ারি: পরিকাঠামো বাড়াচ্ছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টোরেট ৷ তাও বাংলায় ৷ দিনে দিনে কাজের চাপ বেড়ে চলেছে ৷ রাজ্যের একাধিক হাই-প্রোফাইল মামলার দায়িত্ব এই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার হাতে ৷ আর তাই তদন্তের স্বার্থে আরও বেশি জায়গা ও কর্মচারী প্রয়োজন ৷ কলকাতার সল্টলেকে সেন্ট্রাল গভর্নমেন্ট অফিস কমপ্লেক্সে (Central Government Office, CGO) ইতিমধ্যে এজেন্সির কার্যালয় রয়েছে ৷ তাকে ঢেলে সাজানোর পরিকল্পনা নিয়েছে দন্তকারী সংস্থা (Enforcement Directorate to expand space and employees in CGO complex Salt Lake) ৷
ইডি সূত্রে জানা গিয়েছে, বর্তমানে সিজিও কমপ্লেক্সের দু'টি ভিন্ন ভবনে দু'টি কার্যালয় আছে ৷ এখন রাজ্যে কয়লাপাচার কাণ্ড, গরুপাচার কাণ্ড, শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির মতো একের পর এক বড় বড় দুর্নীতি ইডির হাতে ৷ এইসব হাই-প্রোফাইল তদন্তের কাজ ক্রমশ বেড়ে চলেছে ৷ এতে আরও কর্মীর প্রয়োজন ৷ অনেক সময় হাই-প্রোফাইল ব্যক্তিদের হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেন তদন্তকারী আধিকারিকরা ৷ তাই বর্তমান কার্যালয়ের জায়গা ও কর্মী সংখ্যায় কুলিয়ে উঠতে পারছে না এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টোরেট ৷
আরও পড়ুন: শিক্ষক ছিলেন গোপাল, মিলল হৈমন্তীর পার্লারের খোঁজ
রাজ্যে পরিস্থিতি এমন দাঁড়িয়েছে যে, ইডি কর্তৃপক্ষ এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে খবর । ন্যাশনাল অ্যাটলাস অ্যান্ড থেমাটিক ম্যাপিং অর্গানাইজেশন সম্প্রতি তাদের অফিসটি ছেড়ে সল্টলেকেই তাদের নিজস্ব দফতরে চলে গিয়েছে ৷ সেই জায়গাটি নিতে চলেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টোরেট ৷ এই জায়গাটি সংস্কার করে লকআপ তৈরি হবে ৷ ইডি আধিকারিকরা জিজ্ঞাসাবাদের জন্য যাঁদের আটক করেন, তাঁরা এখানে থাকবেন বলে জানা গিয়েছে ৷ এর সঙ্গে সিজিও কমপ্লেক্সে তদন্তকারী সংস্থার অন্তর্ভুক্ত সব জায়গায় সিসিটিভি ক্যামেরার সংখ্যাও বাড়বে ৷ কড়া নিরাপত্তায় মুড়ে ফেলা হবে চত্বর ৷
কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা মনে করছেন, আগামী দিনে তাঁদের কাজকর্ম আরও বাড়বে বই কমবে না ৷ সল্টলেকের কার্যালয়ে আরও কর্মী নিয়োগ করা হবে ৷ সব মিলিয়ে পরিকাঠামোর পরিবর্ধন এবং বদল হচ্ছে ৷ শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে অন্যতম মূল অভিযুক্ত প্রাক্তন শিক্ষা তথা শিল্পমন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়, তাঁর ঘনিষ্ঠ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়, শিক্ষা দফতরের অন্য উচ্চ আধিকারিকরা ইডি হেফাজতে রয়েছেন আপাতত ৷