কলকাতা, 12 ডিসেম্বর: মাঝপথে থমকে নিয়োগ দুর্নীতি মামলার তদন্ত ৷ এসএসকেএমের আইসিসিইউ-তে ভরতি থাকার কারণে কালীঘাটের কাকু ওরফে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহ করতে পারছে না ইডি ৷ তাই এবার তাঁকে বাগে আনতে নয়া ভাবনাচিন্তা কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার ৷ তার জন্য দিল্লি হেড কোয়ার্টারের সঙ্গে ভিডিয়ো কনফারেন্সে বৈঠক করছে রাজ্যের আধিকারিকরা ৷ মঙ্গলবারই সেই বৈঠক হবে বলে ইডি সূত্রে খবর ৷ কলকাতার ইডি দফতরের আধিকারিক এবং দিল্লির কর্তাদের এই বিশেষ বৈঠকে আইনি পরামর্শকরাও উপস্থিত থাকবেন ৷ মূলত, আইনি জটিলতা কাটিয়ে কীভাবে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রকে নিজেদের হেফাজতে নেওয়া যায় ? তারই পরিকল্পনা চলছে ৷
ইডির হাতে গ্রেফতার হওয়ার পর শারীরিক অসুস্থতার কারণে দীর্ঘদিন ধরে এসএসকেএম হাসপাতালে ভরতি রয়েছেন নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় অন্যতম এই অভিযুক্ত ৷ গত শনিবার জোকার ইএসআই হাসপাতালে তাঁর কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহ করার কথা ছিল ৷ কিন্তু, তার আগের দিন রাতে বুকে ব্যাথার কারণ দেখিয়ে এসএসকেএমের ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিটের 18 নম্বর বেডে ভরতি হয়ে গিয়েছেন সুজয়কৃষ্ণ ৷ শনিবার সকালে ইডি আধিকারিকরা হাসপাতালে গিয়ে বিষয়টি জানতে পারেন ৷ তার পরেই সেখানে দু’জন সিআইএসএফ জওয়ানকে মোতায়েন করা হয়েছে নজরদারির জন্য ৷
স্বাভাবিকভাবেই নিয়োগ দুর্নীতি মামলার তদন্ত থমকে রয়েছে বেশ কয়েকমাস ধরে ৷ অন্যদিকে, আদালতের নির্দেশে ইতিমধ্যে জোকা ইএসআই হাসপাতালে একটি চিকিৎসক দলকে প্রস্তুত রাখা হয়েছে ৷ যেদিন সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রকে হেফাজতে পাবে ইডি, সেই মুহূর্তে সেই চিকিৎসক দল তাঁর কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহ করবে এবং তা যাচাই করে দেখা হবে হাতে আসা প্রমাণের সঙ্গে ৷
ইডি আধিকারিকরা এই মুহূর্তে এসএসকেএমে কালীঘাটের কাকুর চিকিৎসা করা ডাক্তারদের সঙ্গে যোগাযোগে রয়েছে ৷ চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলে বোঝার চেষ্টা হচ্ছে, সুজয়কৃষ্ণের কী কী সমস্যা রয়েছে ? তাঁর ঠিক কী চিকিৎসা চলছে ৷ সূত্রের খবর, তাঁর স্বাস্থ্য সংক্রান্ত রিপোর্টের জন্য অপেক্ষা করছে ইডি ৷ সেই রিপোর্ট হাতে এলে, তা দিল্লি এইমস বা জোকা ইএসআই হাসপাতালের চিকিৎসকদের দেখানো হবে ৷ কেন্দ্রীয় হাসপাতালের চিকিৎসকদের সঙ্গে পরামর্শ করে সুজয়কৃষ্ণের শারীরিক অবস্থা বোঝার চেষ্টা করবে তদন্তকারী সংস্থা ৷
তবে ইডি সূত্রে খবর, এর জন্য বেশি দিন অপেক্ষা করতে নারাজ তদন্তকারীরা ৷ দ্রুত ইএসআই হাসপাতালে সুজয়কৃষ্ণকে নিয়ে যেতে না পারলে, ইডি ফের আদালতের দ্বারস্থ হবে ৷ আইনের পথেই তাঁকে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ ও কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহ করার ভাবনা চলছে ৷
আরও পড়ুন: