কলকাতা, 27 অগস্ট: লিপস অ্যান্ড বাউন্ডস সংস্থার অফিস থেকে 16টি এক্সেল ফাইল ডাউনলোড করার ঘটনায় এবার কলকাতা পুলিশের নগরপালকে চিঠি দিয়ে ব্যাখ্যা দিল ইডি। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার দাবি, সেদিন ইডির এক আধিকারিক নিজের মেয়ের জন্য শিবপুর ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের হস্টেলের খোঁজ করছিলেন ওই কম্পিউটারে। সূত্রের খবর, সংশ্লিষ্ট চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে যে ওই ইডি আধিকারিক যাদবপুর-কাণ্ডের পর নিজের মেয়েকে নিয়ে বিশেষভাবে উদ্বিগ্ন ছিলেন। ফলে তাঁর অজান্তেই সংশ্লিষ্ট সংস্থার কম্পিউটার থেকে ওই 16টি এক্সেল ফাইল ডাউনলোড হয়ে গিয়েছিল।
আগেই সংস্থার তরফে লালবাজারের সাইবার শাখায় ইডির বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছিল সংশ্লিষ্ট সংস্থার প্রতিনিধি। অভিযোগ করে জানানো হয়েছিল যে, সংশ্লিষ্ট সংস্থার অনুমতি না নিয়েই সেই ফাইলগুলি ডাউনলোড করেছিল ইডি। লিপস অ্যান্ড বাউন্ডস সংস্থার আড়ালে কোটি কোটি টাকা সাদা করা হত বলে অনুমান ইডির। পাশাপাশি এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের তরফ থেকে কিছুদিন আগেই একটি প্রেস বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়, লিপস অ্যান্ড বাউন্ডস সংস্থার এক সময় সিইও ছিলেন সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এছাড়াও সংশ্লিষ্ট সংস্থার নিউ আলিপুর এবং দক্ষিণ 24 পরগনার একাধিক অফিসে প্রায় 18 ঘণ্টার বেশি সময় ধরে তল্লাশি অভিযান চালায় ইডি।
25 অগস্ট লালবাজারের সাইবার ক্রাইম থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন লিপস অ্যান্ড বাউন্ডস সংস্থার চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট। তিনি দাবি করেন, "তল্লাশি চলাকালীন লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসের কম্পিউটারে 16টি ফাইল ডাউনলোড করেছে ইডি। ওই ফাইলগুলির সঙ্গে লিপস অ্যান্ড বাউন্সসের কোনও সম্পর্ক নেই।" যারপরই বিতর্ক ছড়ায়। এই লিপস অ্যান্ড বাউন্ডস সংস্থায় উঁচুপদে চাকরি করতেন সুজয়কৃষ্ণ। আবার তাঁরই সংস্থা এসডি এন্টারপ্রাইজের সঙ্গে এই লিপস অ্যান্ড বাউন্ডস সংস্থার লেনদেনেরও প্রমাণ মিলেছে। প্রায় 18 ঘণ্টা ধরে তল্লাশি চলেছিল লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসের অফিসে। সেই তল্লাশি ঘিরেই বিতর্ক।
আরও পড়ুন: যাদবপুরে মাওবাদী-নকশালপন্থীদের খুঁজে বার করে শাস্তি দিতে হবে, মন্তব্য লকেটের