কলকাতা, 6 জানুয়ারি: রাজ্য পুলিশের ডিজি রাজীব কুমার ও বসিরহাট পুলিশ জেলার সুপার জেবি থমাসকে ইমেল করে সন্দেশখালির ঘটনায় অভিযোগ করল ইডি । সূত্রের খবর, ইডি'র তরফে এই দু'জনকে অভিযোগপত্র পাঠানো হয়েছে ৷ তাতে বলা হয়েছে, শুক্রবার ইডির আধিকারিকরা আইন মেনেই শেখ শাহজাহানের বাড়িতে তল্লাশি করতে গিয়েছিলেন । কিন্তু তাঁদের উপর প্রাণঘাতী হামলা হয়েছে ।
অভিযোগ, আগে থেকে পরিকল্পনা করে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের তদন্তকারী আধিকারিকদের মারধর করা হয়েছে । তল্লাশি শুরুর অনেক আগে থেকে এলাকায় লোকজন জমায়েত করেছিল । হামলাকারীরা আধিকারিকদের মোবাইল ফোন এবং ল্যাপটপ-সহ একাধিক গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র নিয়ে পালিয়ে গিয়েছে । অবিলম্বে যেন অভিযুক্ত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনি প্রক্রিয়া শুরু করে রাজ্য পুলিশ-সেই আবেদনও করা হয়েছে ইডির তরফে ৷ তবে ইডির পাঠানো এই ইমেল নিয়ে রাজ্য পুলিশের কোনও আধিকারিক এখন পর্যন্ত কোনও প্রতিক্রিয়া দিতে রাজি হননি ।
শুক্রবার সন্দেশখালিতে তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহানের বাড়িতে তল্লাশি অভিযান চালাতে গিয়েছিলেন ইডি'র আধিকারিকরা । কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকদের সঙ্গে ছিলেন সিআরপিএফের 50 জন জওয়ান । তদন্তকারীদের দাবি, তাঁরা শেখ শাহজাহানের বাড়িতে পৌঁছে দেখেন গেটের বাইরে তালা ৷ আধিকারিকরা একাধিকবার বাইরে থেকে ডাকাডাকি করেন ৷ কিন্তু বারবার ডাকার পরও বাড়ির ভেতর থেকে কোনও উত্তর মেলেনি । তাই কার্যত তালা ভেঙে ঘরের ভিতরে ঢোকার চেষ্টা করেন ইডির আধিকারিকরা ৷ সেই সময় এলাকার লোকজন তাঁদের উপর চড়াও হয় । মেরে ইডির এক আধিকারিকের মাথা ফাটিয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ ।
বাদ যায়নি সংবাদমাধ্যমের গাড়ি থেকে শুরু করে সিআরপিএফের গাড়িও । সেগুলিকে ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয় । জনরোসের মুখে পড়ে অবশেষে ইডির আধিকারিক ও কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা ভাঙ্গা গাড়ি নিয়েই এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হন । এরপর আহত ইডির আধিকারিকদের হাসপাতালে দেখতে আসেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস ।
গতকালের এই ঘটনার পর থেকেই উত্তাল হয়ে ওঠে রাজ্য রাজনীতি । বিজেপির তরফ থেকে অভিযোগ করা হয়, এই হামলার নেপথ্যে রয়েছে রোহিঙ্গারা । এর পালটা যুক্তি খাড়া করা হয় রাজ্য সরকারের তরফ থেকেও । শুক্রবার বিকালে বসিরহাট পুলিশ জেলার পুলিশ সুপার জেবি থমাস বলেন, "কেন্দ্রীয় তদন্তকারীদের উচিত ছিল স্থানীয় থানাকে জানিয়ে তারপরেই ঘটনাস্থলে যাওয়া ।"
আরও পড়ুন: