কলকাতা, 24 মার্চ: ইতিমধ্যেই রাজ্যের একাধিক পৌরসভার পৌর আধিকারিক এবং বিভিন্ন প্রভাবশালীদের তালিকা তৈরি করেছে ডিরেক্টর ৷ শিঘ্রই তাদের সিজিও কমপ্লেক্সে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে বলে জানা গিয়েছে । নিয়োগ দুর্নীতির পর সামনে এসেছে পৌরসভার নিয়োগ দুর্নীতি । টাকার বিনিময়ে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল সদ্য তৃণমূল থেকে বহিষ্কৃত তৃণমূলের যুব নেতা শান্তনু বন্দোপাধ্যায় ও তার ঘনিষ্ঠ প্রোমোটার অয়ন শীলের বিরুদ্ধে । দু‘জনেই জেল হেফাজতে আছেন (Tender Corruption of Municipalities) ৷
সেই ঘটনার শিখা এখনও বেশ জ্বলছে ৷ এবার সামনে এল আরও বিস্ফোরক তথ্য। এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের গোয়েন্দাদের দাবি, অয়ন শীলের সঙ্গে একাধিক পৌরসভার পৌরআধিকারিকদের একটি গোপন আঁতাত ছিল । তদন্তকারীদের অনুমান, যখন রাজ্যের একাধিক পৌরসভায় টেন্ডার ডাকার সময় অয়ন শীলের বিভিন্ন ভুয়ো কোম্পানিগুলির সাহায্যে অয়ন টেন্ডার আদায় করতেন । তদন্তকারীদের অভিযোগ, এক্ষেত্রে তাঁকে পৌরসভার আধিকারিকরা সাহায্য করতো ৷ এই সব কিছুর জন্য পৌর আধিকারিকদের কোটি কোটি টাকাও দিতেন অয়ন ৷
আরও পড়ুন : বান্ধবীকে হন্ডা সিটি গাড়ি উপহার দিয়েছিলেন অয়ন, দাবি ইডির
পৌরসভার নিয়ম অনুযায়ী, যখন কোনও টেন্ডার ডাকা হয় বা কাজের বরাত কোনও কোম্পানিতে দেওয়া হবে তার জন্য তিন থেকে চারটি কোম্পানিকে দরখাস্ত করতে হয় । এক্ষেত্রে ইডির তদন্তকারী আধিকারিকদের অভিযোগ, অয়ন শীল একাধিক ভুয়ো বা নকল কোম্পানি তৈরি করত ৷ সেই কোম্পানিগুলির বিস্তারিত তথ্য তার পৌরসভার উচ্চপদস্থ পৌর আধিকারিকদের পাঠিয়ে দেওয়া হত ।
কোনও ভেরিফিকেশন ছাড়াই সেই কোম্পানিগুলির মধ্যে যেকোনও একটি কোম্পানিকে টেন্ডার পাঠিয়ে দিত । ইতিমধ্যেই অয়নশীলের সল্টলেকের বাড়িতে তল্লাশি অভিযান চালিয়ে একাধিক কাগজপত্র উদ্ধার করেছে ৷ সেখান থেকেই এই তথ্য মিলেছে বলে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটর তথা ইডি-র দাবি ।
আরও পড়ুন: টিভি চ্যানেলের মালিক হওয়ার স্বপ্ন ছিল অয়নের, দিল্লিতে হয়েছিল বৈঠক