কলকাতা, 7 এপ্রিল: নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে জড়িত সন্দেহে গ্রেফতার হওয়া অয়ন শীলকে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের গোয়েন্দারা জেরা করে জানতে পেরেছেন বেআইনিভাবে তাঁর চাকরি দেওয়ার খতিয়ান । পাশাপাশি সামনে এল বেআইনি নিয়োগের জেরে পাওয়া অয়নের কমিশনের টাকার অংক । অয়ন শীলকে জেরা করে তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন যে রাজ্যের 90টি পৌরসভায় পাঁচ হাজার জনকে বেআইনি ভাবে নিয়োগ করিয়ে দিয়েছিলেন তিনি । এর বদলে মাথাপিছু পেয়েছিলেন মোটা অংকের কমিশন ।
ইডি সূত্রে খবর, এই কমিশনের কিছু অংশ সরাসরি অয়ন একাধিক এজেন্ট মারফত পাঠিয়ে দিতেন রাজ্যের বিভিন্ন প্রভাবশালী ব্যক্তিদের কাছে । শুধু পৌরসভা নয়, স্কুল সার্ভিস কমিশনের মাধ্যমেও বেআইনি নিয়োগে জড়িত অয়ন ৷ সেখানে তাঁর হাত দিয়ে বেআইনিভাবে নিয়োগ হয়েছে এক হাজার জনের ।
যদিও তদন্তকারীদের দাবি, প্রাথমিক জেরায় এই তথ্য উঠে এলেও পরে সংখ্যাটা আরও বাড়তে পারে ৷ সেই কারণে অয়নকে আরও জেরা করতে চান তদন্তকারীরা ৷ একই সঙ্গে পারিপার্শ্বিক তথ্য ও প্রমাণ ঘেঁটে পৌরসভা ও স্কুল সার্ভিস কমিশনে অয়নের মারফত আরও বেআইনি নিয়োগ হয়েছে কি না, সেই বিষয়ে নিশ্চিত হতে চাইছেন তদন্তকারীরা ৷
ইতিমধ্যেই সল্টলেকে অয়নের অফিস ও বাড়িতে তল্লাশি অভিযান চালিয়ে একটি হার্ডডিস্ক উদ্ধার করেছেন তদন্তকারীরা । সেই হার্ডডিস্ক থেকে 12 কোটি টাকার লেনদেনের খোঁজ পেয়েছেন ইডির তদন্তকারী আধিকারিকরা । সূত্রের খবর, এই 12 কোটি টাকা শুধুমাত্র পৌরসভায় চাকরি দেওয়ার কমিশনের । তদন্তকারীদের দাবি, অয়ন শীলের বাড়িতে দীর্ঘক্ষণ তল্লাশি অভিযান চালানোর পর একজন এক্স ক্যাটাগরির চাকরি প্রার্থীর নিয়োগ সংক্রান্ত একটি চিঠি উদ্ধার হয়েছে ৷
এদিকে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটর গোয়েন্দারা তদন্ত নেমে অয়ন শীলকে সরাসরি জেরা করে আপাতত এই বিষয়ে এক প্রকার নিশ্চিত হয়েছে যে তিনি শুধু একা নন, বরং কুন্তল ঘোষ, মানিক ভট্টাচার্য, পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়দের একটা চক্র তৈরি হয়েছিল এই বেআইনি নিয়োগের জন্য ৷ এর সঙ্গে এসএসসি ও বিভিন্ন পৌরসভার আধিকারিকরাও জড়িত থাকতে পারেন বলে তদন্তকারীদের সন্দেহ ৷
আরও পড়ুন: অয়নের হার্ড ডিস্ক থেকে আরও 12 কোটি টাকার হিসেব পেল ইডি