কলকাতা, 1 এপ্রিল: সারা রাজ্যের মতো কলকাতাতেও শুরু হল দুয়ারে সরকার শিবির ৷ প্রাথমিকভাবে কলকাতা পৌরনিগম সূত্রে খবর, প্রতিদিনই এই শিবির চলবে ৷ হবে 80টি'র বেশি জায়গায় ৷ গ্রামাঞ্চলে এবার বুথ ভিত্তিক এই শিবির করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য় সরকার ৷
কলকাতা পৌরনিগম সূত্রে খবর, এদিন কলকাতায় 86টি জায়গায় হচ্ছে দুয়ারে সরকার শিবির। পঞ্চায়েত ভোটকে মাথায় রেখেই এবার বুথ ভিত্তিক দুয়ারে সরকার করার কথা ঘোষণা করেছে রাজ্য় সরকার ৷ তবে কলকাতার শিবির মূলত ভোট ব্যাংককে অক্ষুন্ন রাখতে বলেই মনে করছে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। পৌরনিগম সূত্রে জানা গিয়েছে, এই শিবিরে প্রথম দফায় 1 এপ্রিল থেকে 10 এপ্রিল পর্যন্ত আবেদন জমা নেওয়ার কাজ চলবে। এরপর 11 এপ্রিল থেকে 20 এপ্রিল পর্যন্ত যে সব নাগরিক যে পরিষেবার জন্য আবেদন করেছেন সেই সংক্রান্ত পরিষেবার কাগজ বা পরিচয়পত্র তুলে দেওয়া হবে।
এদিন কলকাতা পৌরনিগমের ডেপুটি মেয়র অতীন ঘোষ তাঁর নিজের ওয়ার্ডে স্টার লেনে দুয়ারে সরকার শিবির পরিদর্শন করেন। এই শিবিরে লক্ষ্মীর ভান্ডার, ডিজিটাল রেশন কার্ড, স্বাস্থ্য সাথী কার্ড, স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড, জাতি সংশপত্র, তফশিলি বন্ধু, খাদ্য সাথী, কন্যাশ্রী, রূপশ্রী, মানবিক, শিক্ষাশ্রী, 100 দিনের কাজ এই সমস্ত ধরণের আবেদন জমা নেওয়া হচ্ছে বলে পৌরনিগমের তরফে জানানো হয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দা পম্পা শীলের কথায়, "বাড়ির সামনে দুয়ারে সরকার। বিধবা ভাতা আবেদন করলাম। আবেদন পত্র তুলে পূরণ করে প্রয়োজনীয় নথি দিয়ে জমা করলাম। মুহূর্তে সব কাজ হয়ে গেল।" তিনি জানান, কোনও দফতরের টেবিলে ঘোরার হয়রানি বা দাঁড়িয়ে থাকার কোনও সমস্যা নেই। আরও এক বাসিন্দা লক্ষ্মী দাস এসেছিলেন লক্ষ্মী ভান্ডারের আবেদন করতে। এত সহজ ভাবে এদিক-ওদিন না ঘুরে এক জায়গায় আবেদন পত্র তোলা ও জমা দেওয়ায় আপ্লুত তিনিও।
আরও পড়ুন: সরকারি সুবিধা নিতে ষষ্ঠ দুয়ারে সরকারের প্রথমদিনই শিবিরে হাজির বাংলার সাড়ে 5 লক্ষ মানুষ
তবে দুয়ারে সরকার শিবির শুরু হতেই যেন জমজমাট শিবির। কলকাতা পৌরনিগমের একাধিক আধিকারীক, কর্মীদের উপস্থিতি প্রতি শিবিরে চোখে পড়ার মতো ৷ অন্য়দিকে শিবিরের জেরে কলকাতা পৌরনিগমে কর্মীর অভাব দেখা দিয়েছে। প্রায় 750 জন থেকে 800 জন কর্মীকে এই শিবিরের কাজে লাগানো হয়েছে। এর মধ্যে প্রায় 350 জন শিক্ষক আছেন। ফলে বহু পৌর প্রাথমিক স্কুলে কার্যত ছুটির মেজাজ।