কলকাতা, 25 জুলাই: বর্ষা বাড়তেই ডেঙ্গির প্রকোপ। ইতিমধ্যেই মশাবাহিত এই রোগে আক্রান্ত হয়ে রাজ্যে মৃত্যু হয়েছে বেশ কয়েকজনের । ডেঙ্গির কথা মাথায় রেখে ইতিমধ্যেই স্বাস্থ্যভবনের পক্ষ থেকে জারি করা হয়েছে গাইডলাইন । সেই নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, রোগীর প্লেটলেট কাউন্ট 10 হাজারের নীচে গেলে প্লেটলেট দিতে হবে । যেসব রোগীর প্লেটলেট কাউন্ট 10 থেকে 20 হাজারের মধ্যে, সেক্ষেত্রে রক্তপাত না-হলে প্লেটলেট দেওয়ার প্রয়োজন নেই। এমনকী কোনও গ্রুপের প্লেটলেট প্রয়োজন, প্রেসক্রিপশনে উল্লেখ করতে হবে সেটিও । স্বাস্থ্যভবনের এই গাইডলাইনকে স্বাগত জানিয়েছে চিকিৎসক মহল। জ্বর, শরীরে বিভিন্ন জায়গায় ব্যথা, মাথার যন্ত্রণা ইত্যাদি সমস্ত উপসর্গ দেখা দিলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়ার বার্তা দিচ্ছে চিকিৎসক মহল।
আরও পড়ুন: ডেঙ্গিতে প্রাণ গেল গৃহবধূর, আক্রান্ত কাউন্সিলরও !
এই প্রসঙ্গে চিকিৎসক অরিন্দম বিশ্বাস জানিয়েছেন, যদি কারও দু'দিনের বেশি জ্বর থাকে তাহলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি। অযথা প্যারাসিটামল খেয়ে নিলে বিপদ আরও বাড়ে। তবে এর পাশাপাশি মানুষকে ও প্রশাসনকে আরও সতর্ক হতে হবে। ডেঙ্গির মশা জন্মাতে পারে খুব অল্প জলে । তাই বাড়ির পাশে কোথাও জমা জল থাকলে বা আগাছা তৈরি হলে তা পরিষ্কার করে ফেলতে হবে। মশার লার্ভা মারার ওষুধ দিতে হবে । স্বাস্থ্য ভবনের দেওয়া গাইডলাইকেও স্বাগত জানিয়েছেন এই চিকিৎসক ।
আরও পড়ুন: কলকাতায় ডেঙ্গির থাবা, প্রাণ গেল ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রীর
ইতিমধ্যেই কলকাতা ও সংলগ্ন এলাকা মিলিয়ে কমপক্ষে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে ডেঙ্গিতে ৷ 21 জুলাই শহরে ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়ে দুজনের মৃত্যু হয় ৷ তাঁদের মধ্যে একজন উমা সরকার বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে ভরতি ছিলেন ৷ তাঁর বয়স 45 বছর ৷ ওই মহিলা নদিয়ার রানাঘাটের বাসিন্দা ছিলেন তিনি। বেশ কয়েকদিন ধরেই জ্বরে ভুগছিলেন তিনি । তারপর তাঁকে প্রথমে রানাঘাট হাসপাতালে ও পরে কল্যাণী জেএনএম হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয় । সেখানে শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে, কলকাতার বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাঁকে । অন্যদিকে, ওইদিনই মৃত্যু হয় 30 বছর বয়সি বাঙুর অ্যাভিনিউয়ের এক মহিলার । অন্যদিকে সোমবার দুপুরে মৃত্যু হয়েছে বছর দশের এক নাবালিকার । পিকনিক গার্ডেনের বাসিন্দা ওই কিশোরী ভরতি ছিল পাক সার্কাসের একটি শিশু হাসপাতালে ।