ETV Bharat / state

KMC Mid Day Meal Audit: কলকাতা পৌরনিগমের মিড ডে মিল-খরচে গড়মিল! শিক্ষা বিভাগের কাছে জবাব তলব

কলকাতা পৌরনিগমের মিড-ডে-মিল সংক্রান্ত অডিট রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছে ৷ জানা গিয়েছে, তাতে হিসেব-বহির্ভূত খরচের বিষয়টি ধরা পড়েছে ৷ এ বিষয়ে শিক্ষা বিভাগের কাছ থেকে বিস্তারিত জানতে চেয়েছে পৌরনিগমের ফিনান্স অ্যান্ড অ্যাকাউন্টস বিভাগ ৷

KMC
কলকাতা পৌরনিগম
author img

By

Published : Apr 12, 2023, 11:35 AM IST

কলকাতা, 12 এপ্রিল: মিড-ডে-মিলে দুর্নীতি নিয়ে আগেই প্রশ্ন উঠেছিল ৷ এ নিয়ে রীতিমতো সরগরম হয় রাজ্য রাজনীতি ৷ দিল্লি থেকে তদন্তে ছুটে আসে কেন্দ্রের বিশেষ প্রতিনিধি দল ৷ ফের বিতর্কে মিড-ডে-মিল ৷ এবার কলকাতা পৌরনিগমের মিড-ডে-মিলের হিসেবে গড়মিল রয়েছে বলে খবর মিলেছে ৷ পৌরনিগমের অর্থ (ফিনান্স) বিভাগের অডিট অ্যান্ড অ্যাকাউন্ট ডিপার্টমেন্ট মিডে-ডে-মিলের অডিট রিপোর্ট নিয়ে বেশ কয়েকটি প্রশ্ন তুলেছে ৷

সূত্রে জানা গিয়েছে, পৌরনিগমের অভ্যন্তরীণ অডিট রিপোর্টে স্কুলগুলির মিড-ডে-মিলের খরচে অসঙ্গতি ধরা পড়েছে ৷ রিপোর্টে ধরা পড়েছে, পৌরনিগমের শিক্ষা বিভাগ 2018-19, 2019-20, 2020-21 অর্থবর্ষে মিড-ডে-মিলের জন্য বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাকে প্রয়োজনের তুলনায় অতিরিক্ত টাকা দিয়েছে ৷ হিসেব বহির্ভূতভাবে অতিরিক্ত প্রায় এক কোটি টাকা খরচ হয়েছে ৷ আর এই খরচ নিয়েই প্রশ্ন তুলেছে অডিট অ্যান্ড অ্যাকাউন্ট ডিপার্টমেন্ট ৷ পৌরনিগম কর্তৃপক্ষ শিক্ষা বিভাগের কাছে এই বিষয়ে ব্যাখ্যা চেয়েছে ৷

কলকাতা পৌরনিগম সূত্রে খবর, অডিট রিপোর্টের হিসেব বলছে 2018-19 অর্থবর্ষে সালে 253টি পৌর-প্রাথমিক স্কুল এবং 81টি শিশু শিক্ষা কেন্দ্রে মিড ডে মিল রান্নার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলিকে ৷ এক্ষেত্রে খরচ হয় কম-বেশি 75 লক্ষ টাকা ৷ তবে সেই খরচ 1 কোটি টাকারও বেশি করে দেখানো হয়েছে ৷ 2019-20 অর্থবর্ষে প্রায় 77 লক্ষ খরচ হয়েছে, যা বাড়িয়ে 1 কোটিরও বেশি করা হয় ৷ 2020-21 সালের হিসেবেও গড়মিল ধরা পড়েছে বলে জানা গিয়েছে ৷

রিপোর্ট অনুসারে 2018-19, 2019-20, 2020-21 অর্থবর্ষে পৌরনিগম শিক্ষাবিভাগকে অগ্রিম টাকা দিয়েছিল ৷ এই অর্থবর্ষগুলিতে সেই টাকার হিসেবনিকেশ দেখানো হয়নি ৷ শিক্ষা বিভাগকে তা জমা দিতে বলা হয়েছে ৷ করোনাকালে স্কুলগুলি দীর্ঘ সময় বন্ধ থাকায় মিড-ডে-মিল দেওয়া হয়নি ৷ অথচ শিক্ষা বিভাগ সেই সময় থালা-বাটি-গ্লাস কেনার জন্য বিপুল টাকা খরচের হিসেব দিয়েছে ৷ করেনাকালে মিড-ডে-মিল দেওয়া না-হলে বাসনপত্র কীভাবে কেনা হল ? শিক্ষা বিভাগকে এই বিষয়ে নথি জমা দিতে বলা হয়েছে ৷

মিড-ডে-মিলের হিসেবে যে গড়মিল পাওয়া যাচ্ছে, সে সময় শিক্ষা বিভাগের মেয়র পারিষদ ছিলেন অভিজিৎ মুখোপাধ্যায় ৷ তিনি বর্তমানে পৌরনিগমের রাস্তা বিভাগের দায়িত্বে আছেন ৷ অন্যদিকে, সেই সময় শিক্ষা বিভাগের আধিকারিক ছিলেন রুমানা খাতুন ৷ তিনি বর্তমানে ইনস্টিটিউট অব আরবান ম্যানেজমেন্টে ম্যানেজারের পদে রয়েছেন ৷ বর্তমানে কলকাতা পৌরনিগমের (শিক্ষা) বিভাগের মেয়র পারিষদ সন্দীপন সাহা ৷ তিনি এ বিষয়ে মুখ খোলেননি ৷ মিড-ডে-মিলের হিসেবে গড়মিল নিয়ে মেয়র ফিরহাদ হাকিমকে প্রশ্ন করা হলে তিনিও স্পষ্ট করে কিছু বলতে চাননি ৷ তবে তিনি জানান যে, এই ঘটনাটি সংবাদমাধ্যম থেকে জানতে পেরেছেন ৷ তিনি বিষয়টি আধিকারিকদের থেকে জানবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন ৷

আরও পড়ুন: নয়া দুর্নীতির গন্ধ, মিড-ডে মিলের অ্যাপ থেকে 6 বছরের তথ্য গায়েব

কলকাতা, 12 এপ্রিল: মিড-ডে-মিলে দুর্নীতি নিয়ে আগেই প্রশ্ন উঠেছিল ৷ এ নিয়ে রীতিমতো সরগরম হয় রাজ্য রাজনীতি ৷ দিল্লি থেকে তদন্তে ছুটে আসে কেন্দ্রের বিশেষ প্রতিনিধি দল ৷ ফের বিতর্কে মিড-ডে-মিল ৷ এবার কলকাতা পৌরনিগমের মিড-ডে-মিলের হিসেবে গড়মিল রয়েছে বলে খবর মিলেছে ৷ পৌরনিগমের অর্থ (ফিনান্স) বিভাগের অডিট অ্যান্ড অ্যাকাউন্ট ডিপার্টমেন্ট মিডে-ডে-মিলের অডিট রিপোর্ট নিয়ে বেশ কয়েকটি প্রশ্ন তুলেছে ৷

সূত্রে জানা গিয়েছে, পৌরনিগমের অভ্যন্তরীণ অডিট রিপোর্টে স্কুলগুলির মিড-ডে-মিলের খরচে অসঙ্গতি ধরা পড়েছে ৷ রিপোর্টে ধরা পড়েছে, পৌরনিগমের শিক্ষা বিভাগ 2018-19, 2019-20, 2020-21 অর্থবর্ষে মিড-ডে-মিলের জন্য বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাকে প্রয়োজনের তুলনায় অতিরিক্ত টাকা দিয়েছে ৷ হিসেব বহির্ভূতভাবে অতিরিক্ত প্রায় এক কোটি টাকা খরচ হয়েছে ৷ আর এই খরচ নিয়েই প্রশ্ন তুলেছে অডিট অ্যান্ড অ্যাকাউন্ট ডিপার্টমেন্ট ৷ পৌরনিগম কর্তৃপক্ষ শিক্ষা বিভাগের কাছে এই বিষয়ে ব্যাখ্যা চেয়েছে ৷

কলকাতা পৌরনিগম সূত্রে খবর, অডিট রিপোর্টের হিসেব বলছে 2018-19 অর্থবর্ষে সালে 253টি পৌর-প্রাথমিক স্কুল এবং 81টি শিশু শিক্ষা কেন্দ্রে মিড ডে মিল রান্নার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলিকে ৷ এক্ষেত্রে খরচ হয় কম-বেশি 75 লক্ষ টাকা ৷ তবে সেই খরচ 1 কোটি টাকারও বেশি করে দেখানো হয়েছে ৷ 2019-20 অর্থবর্ষে প্রায় 77 লক্ষ খরচ হয়েছে, যা বাড়িয়ে 1 কোটিরও বেশি করা হয় ৷ 2020-21 সালের হিসেবেও গড়মিল ধরা পড়েছে বলে জানা গিয়েছে ৷

রিপোর্ট অনুসারে 2018-19, 2019-20, 2020-21 অর্থবর্ষে পৌরনিগম শিক্ষাবিভাগকে অগ্রিম টাকা দিয়েছিল ৷ এই অর্থবর্ষগুলিতে সেই টাকার হিসেবনিকেশ দেখানো হয়নি ৷ শিক্ষা বিভাগকে তা জমা দিতে বলা হয়েছে ৷ করোনাকালে স্কুলগুলি দীর্ঘ সময় বন্ধ থাকায় মিড-ডে-মিল দেওয়া হয়নি ৷ অথচ শিক্ষা বিভাগ সেই সময় থালা-বাটি-গ্লাস কেনার জন্য বিপুল টাকা খরচের হিসেব দিয়েছে ৷ করেনাকালে মিড-ডে-মিল দেওয়া না-হলে বাসনপত্র কীভাবে কেনা হল ? শিক্ষা বিভাগকে এই বিষয়ে নথি জমা দিতে বলা হয়েছে ৷

মিড-ডে-মিলের হিসেবে যে গড়মিল পাওয়া যাচ্ছে, সে সময় শিক্ষা বিভাগের মেয়র পারিষদ ছিলেন অভিজিৎ মুখোপাধ্যায় ৷ তিনি বর্তমানে পৌরনিগমের রাস্তা বিভাগের দায়িত্বে আছেন ৷ অন্যদিকে, সেই সময় শিক্ষা বিভাগের আধিকারিক ছিলেন রুমানা খাতুন ৷ তিনি বর্তমানে ইনস্টিটিউট অব আরবান ম্যানেজমেন্টে ম্যানেজারের পদে রয়েছেন ৷ বর্তমানে কলকাতা পৌরনিগমের (শিক্ষা) বিভাগের মেয়র পারিষদ সন্দীপন সাহা ৷ তিনি এ বিষয়ে মুখ খোলেননি ৷ মিড-ডে-মিলের হিসেবে গড়মিল নিয়ে মেয়র ফিরহাদ হাকিমকে প্রশ্ন করা হলে তিনিও স্পষ্ট করে কিছু বলতে চাননি ৷ তবে তিনি জানান যে, এই ঘটনাটি সংবাদমাধ্যম থেকে জানতে পেরেছেন ৷ তিনি বিষয়টি আধিকারিকদের থেকে জানবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন ৷

আরও পড়ুন: নয়া দুর্নীতির গন্ধ, মিড-ডে মিলের অ্যাপ থেকে 6 বছরের তথ্য গায়েব

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.