কলকাতা, 9 জানুয়ারি : ব্রিগেড সমাবেশে রাহুল গান্ধিকে নিয়ে এসে আসন সমঝোতার বার্তা বামফ্রন্টের । রাজ্য কমিটির বৈঠকে আগামী চার মাসের কর্মসূচি গৃহীত হল । সবকটি বাম দল এবং বাম সহযোগী দল শুক্রবারের বৈঠকে অংশগ্রহণ করে । বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসুর নেতৃত্বে বৈঠক হয় । 28 ফেব্রুয়ারি অথবা 7 মার্চ বামফ্রন্টের ব্রিগেড সমাবেশ নিয়েও আলোচনা হল বামফ্রন্টের রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর বৈঠকে । আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে বামফ্রন্ট এবং কংগ্রেসের আসন বণ্টনের রূপরেখা নিয়েও আলোচনা হয় বৈঠকে । যৌথ কর্মসূচিতে ব্রিগেড সমাবেশ সফল করতে জেলা এবং ব্লক ভিত্তিক প্রচার চালানো হবে ৷
বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু জানিয়েছেন, ‘‘দ্রুত আসন বন্টন প্রক্রিয়ার নিষ্পত্তি করতে হবে ।’’ কোন আসনে কোন দল প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে তা নিয়েও শুক্রবার আলোচনা হয় । 2016 সালের ঘটনার কথা উল্লেখ করে বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান সকলকেই অত্যন্ত সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছেন । কোনওরকম ভাবেই জোটে চির না ধরে সেদিকে সাবধানী থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে ।
2016 সালে বিধানসভা ভোটে রাজ্যে বাম ও কংগ্রেস 77 টি আসনে জয়ী হয় । দু'দল সম্মিলিতভাবে 40 শতাংশ ভোট পায় । 2019 সালের লোকসভা নির্বাচনে যদিও পৃথক ভাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে বামফ্রন্ট এবং কংগ্রেস । সেখানেও যথাক্রমে 6 এবং 7 শতাংশ ভোট পেয়েছিল দুই দল ।
2019 সালের কথা স্মরণ করে বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু এবং সিপিআইএম রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র সহযোগী বাম দলগুলিকে এবং শরিক দলগুলিকে মনে করিয়ে দেয় ভোটের আগে শেষ মুহূর্তে ভেস্তে গিয়েছিল বামফ্রন্টের সঙ্গে কংগ্রেসের জোট প্রক্রিয়া ।
আরও পড়ুন :এবার সিনেমা হলে 100 শতাংশ দর্শক, ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর
তবে যে সমস্ত জায়গায় অতীতে বামফ্রন্টের শরিকদল ভালো ফল করেছে, সেই সমস্ত জায়গায় আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে সংশ্লিষ্ট দলগুলিই প্রার্থী দেবে । কংগ্রেস যদি অনড় মনোভাব দেখায় সেক্ষেত্রে 'ঐক্যে' ফাটল ধরতে পারে বলে মনে করছে শরিক দলের নেতৃত্ব ।