কলকাতা, 3 এপ্রিল : কোরোনা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তথ্য গোপন করছেন । আজ এই মন্তব্য করলেন BJP-র রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ । তিনি বলেন, "সকালে সাংবাদিক বৈঠক করে তিনজনের মৃত্যুর কথা বলছে । আবার বিকেলে সাংবাদিক বৈঠক করে সেই সংখ্যাটা সাত হয়ে যাচ্ছে । মুখ্যমন্ত্রী যদি ভালোই কাজ করে, তা হলে সব জায়গায় বিক্ষোভ হচ্ছে কেন ৷"
দিল্লির নিজ়ামউদ্দিনের ঘটনা প্রসঙ্গে দিলীপবাবু বলেন, "দিল্লি থেকে রাজ্যে ফিরেছেন 160 জন বাংলার লোক । এর মধ্যে 109 জন বিদেশি আছে । শুনলাম এদের মধ্যে 40 জনকে নাকি হজ হাউসে রাখা হয়েছে । মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হাত ঝেড়ে দিয়েছে । এই ঘটনা নিয়ে চিন্তা করার কোনও কারণ নেই । কিন্তু সরকারের উচিত এদের খুঁজে বের করা । কারণ এরাই তো এই রোগ ছড়াচ্ছে । গত 48 ঘণ্টায় এক হাজার লোক আক্রান্ত হয়েছেন । যার মধ্যে দিল্লির এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত 560জন নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন । যাঁরা নিজ়ামউদ্দিনের সম্মলনে গিয়েছিলেন । যাঁরা ওখান থেকে ফিরছেন তাঁরা কম বেশি আক্রান্ত হচ্ছেন ।"
দিল্লি থেকে ফিরে কয়েকজন বিদেশি রাজ্যে আশ্রয় নিয়েছে বলে জানান তিনি ৷ বলেন, "নিজ়ামউদ্দিনের ধর্মীয় সভা থেকে ফিরে বেশ কয়েকজন বিদেশি রাজ্যের চারটি মসজিদে আশ্রয় নিয়েছে । তার মধ্যে রাজাবাজার কাচ্চি মসজিদে থাইল্যান্ডের কিছু নাগরিক আছে । মেটিয়াবুরুজের জামা মসজিদে মালয়েশিয়ার কয়েকজন আছে । মেটিয়াবুরুজের মহম্মদি মসজিদে কয়েকজন আছে । আর কলুতলা ছোটি মসজিদে কয়েকজন আছে । এটা খুবই চিন্তার বিষয় ৷ তাদের খোঁজ করে কোয়ারান্টাইন বা হোম আইসোলেশনে রাখা উচিত ।"
মুখ্যমন্ত্রী আজও কেন্দ্রীয় বঞ্চনার অভিযোগ করেছেন । এই প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ বলেন, "ফেব্রুয়ারি মাসের 27 তারিখ কেন্দ্রীয় সরকার মুখ্যমন্ত্রীকে 650 কোটি টাকা দিয়েছেন । সেই টাকা উনি পেয়েছেন কি না সেটা স্বীকার করুন । এই টাকা সামান্য টাকা নয় । তখন বাংলায় করোনায় একজনও মারা যায়নি । উনি ক'টা হাসপাতালকে টাকা দিয়েছেন ? প্রধানমন্ত্রীর কথাকে তাচ্ছিল্য করেছিলেন । পরে উনিই একমাস স্কুল বন্ধ করে দিয়েছিলেন । কেন্দ্রীয় সরকারের এই টাকায় তিনি চিকিৎসকদের জন্য কী কিনেছেন? কোনও কোয়ারান্টাইনের ব্যবস্থা করেননি । বারবার টাকা চাইছে? আমরা বলছি আপনি টাকার হিসাব দিন । না হলে আমরা হিসাব দেব । কত টাকা এসেছে । কেন্দ্রীয় সরকার কত টাকা পাঠিয়েছে ।" তিনি আরও বলেন, "কোরোনায় কেন্দ্রীয় সরকার গরিব মানুষের অ্যাকাউন্টে 500 টাকা করে দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছিলেন । সুখবর, সেই টাকা সবাই পেতে শুরু করেছে । কোরোনা ত্রাণ তহবিলে বিশ্ববিদ্যালয়গুলি কোটি কোটি টাকা জমা করছে । শিক্ষাখাতের টাকা কোরোনার জন্য মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে কী দেওয়া উচিত । রাজ্য সরকারের কী টাকার এতই অভাব । কেন্দ্রীয় সরকারের দেওয়া UGC-র টাকা মুখ্যমন্ত্রী ত্রাণ তহবিলে জমা পড়েছে ।"