কলকাতা, 20 ডিসেম্বর: জোড়া মিছিলে বুধবার বিকেল নাগাদ কার্যত অবরুদ্ধ হয়ে থাকল কলকাতার ধর্মতলা চত্বর। সিপিএম সমর্থিত শ্রমিক সংগঠন সিটু প্রভাবিত কলকাতা স্ট্রিট হকার্স ইউনিয়ন এবং আইসিডিএস কর্মীদের মিছিলে ভোগান্তির মুখে পড়তে হল সাধারণ নিত্যযাত্রীদের। দুই মিছিলেরই অন্যতম দাবি ছিল পেনশন, প্রভিডেন্ট ফান্ড, স্বাস্থ্য বীমা-সহ একাধিক সামাজিক সুরক্ষা সংক্রান্ত দাবি-দাওয়া। ওয়েস্ট বেঙ্গল অঙ্গনওয়াড়ি ওয়ার্কারস এবং হেল্পার্স ইউনিয়ন কর্মীরা আচমকায় ধর্মতলা চত্বরে বসে পড়লে বিপাক আরও বাড়ে।
যার জেরে প্রায় আধঘন্টা অবরুদ্ধ হয়ে থাকল ধর্মতলা চত্বর। কার্জন পার্ক থেকে মিছিল করে ধর্মতলা চত্বর ঘুরে কলকাতা পৌরনিগমে ডেপুটেশন জমা দেয় হকার্স ইউনিয়নের নেতারা। অন্যদিকে অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীরা ধর্মতলায় অবস্থান বিক্ষোভে নিজেদের দাবি-দাওয়া তুলে ধরেন। এই বিক্ষোভ শেষ পর্যন্ত পুলিশ আধিকারিকরা আন্দোলনকারীদের সঙ্গে কথা বলে পরিস্থিতির সামাল দেয়। কিন্তু অল্প সময় হলেও কলকাতার প্রাণকেন্দ্র ধর্মতলা অবরোধ থাকায় ব্যাপক সমস্যায় পড়েন যাত্রীরা। ধর্মতলা বাবুঘাট ধর্মতলা মৌলালি ধর্মতলা রবীন্দ্র সদন কিংবা ধর্মতলা শ্যামবাজার কার্যত কোনও দিকেই যান চলাচল সম্ভব হয়নি। মারাত্মক নাকাল হতে হয়েছে যাত্রী সাধারণকে।
কলকাতা স্ট্রিট হকার্স ইউনিয়নের তরফে মেয়রের কাছে ডেপুটেশন জমা দেওয়া হয়। এই কর্পোরেশন অভিযান ও ডেপুটেশনে জমা কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন সিআইটিইউ নেতা সুভাষ মুখোপাধ্য়ায়-সহ অন্যান্য নেতৃত্ব এবং কর্মী-সমর্থকরা। তাদের মধ্যে প্রতিপ দাশগুপ্ত বলেন, "আইন ও নির্দেশ মেনে কলকাতার সব হকারকে 10 টাকার কোট পেপারে লাইসেন্সের জন্য আবেদনের সুযোগ দিতে হবে। হকারদের উপর সমাজবিরোধী ও পুলিশের অত্যাচার বন্ধ করতে হবে। অবিলম্বে তাদের স্বীকৃতি দিতে হবে। কোনও হকারকে উচ্ছেদ করা যাবে না।" অন্যদিকে, কাজের কাজের প্রযুক্তিগত সুবিধার্থে অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল পেনশন ভাতা বৃদ্ধি-সহ একাধিক দাবি দেওয়ার কথা জানান অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীরা।
আরও পড়ুন: