কলকাতা, 10 আগস্ট: বুধবার নাগরিক সমাজের পক্ষ থেকে শিয়ালদা স্টেশন থেকে ধর্মতলার কলকাতা পৌরসভা পর্যন্ত মিছিল হয় (Deucha Pachami Protest by SC Community) ৷ জনসভায় কয়লা খনি প্রকল্পের বিরুদ্ধে হুঁশিয়ারি দেন আদিবাসী সম্প্রদায়। প্রাণ গেলেও তাঁরা কয়লা খনি হতে দেবেন না। তাঁদের কথায়, "দেউচা-পাচামিতে কয়লা খনি হতে দিবক লাই।"
বীরভূমের মহাম্মদ বাজার থানা এলাকায় কয়লাখানি প্রকল্প ঘোষণা করতেই জল, জঙ্গল বাঁচানোর লড়াই আন্দোলন শুরু করেছে আদিবাসীরা। নিজেদের ভিটেমাটি বাঁচাতে গিয়ে পুলিশের হাতে মারও খেয়েছেন। কারো-কারো শরীরে গুরুতর জখমের দাগ রয়েছে। কারও শরীরে সেলাই পড়েছে। তারপরেও সোহাগিনী সরেন, নমিতা মুর্মু, তপন হেমব্রম-রা কিছুতেই বাপ-দাদুর ভিটে হাতছাড়া করতে নারাজ।
আরও পড়ুন: 'আমাদের বিধায়ক মাতাল' বললেন আদিবাসী তৃণমূল নেতা
প্রাণ গেলেও বাপ দাদুর ভিটে বজায় রাখতে চান তাঁরা। শুধু তাঁরা এখনও তাদের সঙ্গে রাজ্যের একাংশ নাগরিক সমাজ কয়লা খনি প্রকল্পের বিরুদ্ধে আন্দোলন শুরু করেছেন। নাগরিক সমাজের অভিযোগ বেআইনিভাবে জোরপূর্বক মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার কয়লা খনি প্রকল্প কাজ শুরু করতে চাইছেন। বেশকিছু নিয়োগপত্র দিয়ে আদিবাসীরা তাঁদের সঙ্গে রয়েছেন বলেই সরকার দাবি করছে বলেও অভিযোগ।
এদিনে নাগরিক সমাজের পক্ষ থেকে কনভেলার ছিলেন আইনজীবী আনিসুর রহমান। তিনি বলেন, "সরকার জোরপূর্বক আদিবাসীদের থেকে জমি ছিনিয়ে নিচ্ছে। আদিবাসীরা কয়লা খনি প্রকল্প চান না। এই কয়লা খনি প্রকল্প বন্ধ করতে বৃহত্তর আন্দোলন করবেন। আগামী কয়েকদিনের মধ্যে বীরভূমের প্রশাসনিক ভবন ঘেরাও করবেন। তারপরও সরকার না-থামলে নবান্ন অভিযান চলবে। সব শেষে মানব প্রাচীর গড়ে তোলা হবে দেউচা পাচামিতে।"
আরও পড়ুন: দেশের প্রথম আদিবাসী রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ গ্রহণ দ্রৌপদী মুর্মুর
এদিনে মিছিলে আদিবাসীদের সঙ্গে সঙ্গ দিয়েছিলেন দমদমের বাসিন্দা কলেজ পড়ুয়া জুঁই কোলে। তিনি বলেন, "কয়লা খনি প্রকল্পের বিরুদ্ধে আদিবাসীরা লড়াই আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন। আদালতে মামলা হয়েছে। তারপর আদিবাসীদের মিথ্যা বলে পানীয় জল উত্তোলনের নামে বিভিন্ন জায়গায় খোঁড়াখুঁড়ি চলছে। 255 জনকে ভুয়ো নিয়োগপত্র দিয়ে ভুল বুঝিয়ে সরকার আদিবাসীদের নিজের দিকে টানতে চাইছে। যতক্ষণ না-পর্যন্ত আদিবাসীদের দাবি পূরণ হচ্ছে ততদিন লড়াই আন্দোলন চালিয়ে যাওয়া হবে।"