কলকাতা, 22 নভেম্বর: কলকাতার (Kolkata) রাস্তায় হকার-রাজ নিয়ে সরব হয়েছিলেন খোদ কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম (Firhad Hakim) । শুধু তাই নয়, পুলিশ ও নিচু তলার ইউনিয়ন নেতাদের বিরুদ্ধে তোলাবাজির অভিযোগও আনেন তিনি ।
এদিকে টাউন ভেন্ডিং কমিটির (Town Vending Committee) সিদ্ধান্ত মতো নিউ মার্কেট, হাতিবাগান, গড়িয়াহাটে চলছে প্রচার সমীক্ষা । তবে গড়িয়াহাটে পুলিশ ও টিভিসি-র প্রচারের পর হকাররা (Hawkar) ফুটপাতের এক তৃতীয়াংশ নিয়ে বসলেও নিউ মার্কেট বা হাতিবাগান পরিস্থিতির রদবদল হয়নি ।
মূলত, দোকানের উপর প্লাস্টিক খোলা থেকে এক তৃতীয়াংশ জায়গাতে বসা ও গাড়ি চলাচল করে এমন জায়গায় না বসা সিদ্ধান্তগুলো বাস্তবায়ন করা শুরু হয়েছে । এছাড়াও কোনও দোকান যাতে রাস্তার দিকে মুখ না থাকে অর্থাৎ ফুটপাতে দোকান কিন্তু মূল বড় রাস্তার দিকে মুখ, সেখানেই দাঁড়িয়ে ক্রেতা-বিক্রেতারা, এমনটা যাতে না হয়, সেদিকে বিশেষ নজর রাখতে বলেছে টিভিসি । এই নজরদারি মূলত করবে কলকাতা পুলিশ ।
তবে দু-তিন দিন ধরে টানা মাইক প্রচার করেছে স্থানীয় শ্যামপুকুর থানা । তারপরেও এদিন কোনও হেলদোল হয়নি হকারদের মধ্যে । বিধান সরণি ধরে টাউন স্কুলের পর থেকে দেখা গেল সার দিয়ে দোকান মূল রাস্তার দিকে মুখ করা । অন্যদিনের মতোই এদিনও তাঁরা ডালা সাজাচ্ছেন । মহিলাদের সাজ সরঞ্জাম থেকে ফাইবার গ্লাস প্লেটের দোকান ফুটপাত পেরিয়ে নেমে এসেছে মূল রাস্তায় । রাস্তার উপর দাঁড়িয়ে বিক্রেতা ৷ সেখানেই দাঁড়িয়ে কিনছেন ক্রেতারা ।
আর এখানেই প্রশ্ন উঠছে, মেয়রের হুঁশিয়ারির পরেও সেকথা নিচতলা পর্যন্ত কি পৌঁছায়নি ? পুলিশ শুধু মাইকিং করেই তার দায় এড়াতে পারে ? কথা না শুনলে কেন সেই সমস্ত হকারদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নয় ?
কলকাতা পৌরনিগমের (Kolkata Municipal Corporation) এক আধিকারিক জানাচ্ছেন, রাতারাতি পরিবর্তন হবে এমন নয় । আমরা লাগাতার প্রচার চালাচ্ছি । বেশ কিছুটা সময় দেব । তারপর না হলে ব্যাবস্থা অবশ্যই গ্রহণ করা হবে । তবে পুলিশকে আরও কঠোর মনোভাব প্রকাশ করতে হবে ।
আরও পড়ুন: পুলিশি মদতেই যথেচ্ছভাবে হকার বসছে, বিস্ফোরক ফিরহাদ