কলকাতা, 26 অক্টোবর: আমূল বদলাচ্ছে ভারতীয় আইন সংহিতা। আগেই সেই ইঙ্গিত দিয়েছিল কেন্দ্রীয় সরকার। এই সংক্রান্ত তিনটি বিল নিয়ে এই মুহূর্তে আলোচনা শুরু হয়েছে। ভারতীয় দণ্ডবিধি, ফৌজদারি দণ্ডবিধি ও ভারতীয় সাক্ষ্য আইন সংশোধন করতে 3টি নতুন বিল প্রস্তুত করছে মোদি সরকার ৷ এই প্রসঙ্গেই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের সংসদীয় স্ট্যান্ডিং কমিটির চেয়ারম্যান ব্রিজলালকে চিঠি দিলেন রাজ্যসভায় তৃণমূলের দলনেতা ডেরেক ও'ব্রায়েন । চিঠিতে আইনের খসড়া নিয়ে মতামত দিতে কম সময় দেওয়া হয়েছে বলে উল্লেখ করেছেন তিনি। পাশাপাশি কেন্দ্রীয় সরকারের তৈরি খসড়া বিল নিয়ে একাধিক প্রশ্নও তুলেছেন সাংসদ।
তৃণমূল সূত্রে খবর, গত 20 অক্টোবর সমস্ত রাজনৈতিক দলের কাছে এই তিনটি বিলের খসড়া পাঠানো হয়েছে । এই খসড়ার উপর মতামত দেওয়ার জন্য সময় দেওয়া হয়েছে 7 দিন। এই প্রসঙ্গেই ডেরেক ও'ব্রায়েন মনে করছেন তাঁদের দেওয়া এই সময় পর্যাপ্ত নয় ৷ আর সে কারণেই মূলত এই চিঠিতে কেন্দ্রের সমালোচনা করেছেন তিনি । কেন্দ্রীয় সরকারের সমালোচনা করে তিনি লিখেছেন, 21 অক্টোবর রাত সাড়ে 8টার সময় বিলের খসড়াটি পেয়েছেন তিনি। সে অর্থে কার্যত মাত্র পাঁচদিন সময় সময় পেয়েছেন বিলটি পড়ে নিজের মতামত জানানোর জন্য ।
এক্ষেত্রে চিঠিতে তিনি এও উল্লেখ করেছেন, ইতিমধ্যেই প্রাক্তন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী পি চিদাম্বরম এবং এনআর এলাঙ্গো এই খসড়া বিলে একাধিক ত্রুটির কথা জানিয়েছেন । ডেরেকের পরামর্শ, এই খসড়া পেশ করার আগে কেন্দ্রের উচিত বিশেষজ্ঞদের দিয়ে তা পর্যবেক্ষণ করা ৷ সুনির্দিষ্ট মতামতের ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা।
এই চিঠি প্রসঙ্গেই তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্যসভার দলনেতা জানান, বাংলায় এই মুহূর্তে উৎসবের মরশুম চলছে। ইউনেসকো কলকাতার দুর্গাপুজোকে আবহমান ঐতিহ্যের স্বীকৃতি দিয়েছে। আর 27 অক্টোবর কলকাতায় দুর্গা পুজো কার্নিভাল রয়েছে। পাশাপাশি 28 তারিখ লক্ষ্মীপুজো। এই পরিস্থিতিতে কীভাবে সাংসদরা সুচিন্তিত মতামত দিতে পারবেন? কেন উৎসবের মরশুম থাকায় সাংসদদের মতামত দেওয়ার জন্য অতিরিক্ত সময় দেওয়া হল না সেই প্রশ্ন তুলেছন ডেরেক ৷
আরও পড়ুন: 100 দিনের কাজের বকেয়া মেটানোর দাবি, রাজ্যপালের দুর্গা রত্ন পুরস্কার প্রত্যাখ্যান কল্যাণীর ক্লাবের
ডেরেকের অনুরোধ করেছেন, দলীয় স্বার্থের ঊর্ধ্বে উঠে 140 কোটি মানুষের স্বার্থের কথা ভেবে সিদ্ধান্ত নেওয়া দরকার । অহেতুক তাড়াহুড়ো না করে জনসংখ্যার বৃহৎ অংশের মানুষ থেকে শুরু করে প্রান্তিক এবং অর্থনৈতিকভাবে পিছিয়ে পড়া শ্রেণি যাতে কোনওভাবে এই পদক্ষেপের জন্য ক্ষতির মুখে না পড়ে সেটা বিবেচনা করেই যা করার করতে হবে।