কলকাতা, 27 সেপ্টেম্বর: রাজ্যের ডেঙ্গি পরিস্থিতি ক্রমশই জটিল হচ্ছে ৷ বাদ যায়নি কলকাতাও ৷ যার জেরে ঘুম ছুটেছে নাগরিক থেকে পৌর প্রশাসনের আধিকারিক সকলেরই ৷ ডেঙ্গি পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে সিপিডব্লিউডি-র আবাসন পরিদর্শনে গেলেন রাজ্যের ডেপুটি মেয়র অতীন ঘোষ ৷ পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে ডেঙ্গি নিয়ে আবাসিকদের ধমক দিলেন ডেপুটি মেয়র ৷
তবে নিউ আলিপুরে কেন্দ্রীয় পূর্ত মন্ত্রকের আওতাধীন আবাসনের অবস্থা ছিল সব থেকে বিপদজ্জনক ৷ ফ্ল্যাটের উপর থেকে জানালা দিয়ে যথেচ্ছ ভাবে ময়লা ফেলে জায়গাটা অপরিচ্ছন্ন করে রেখেছেন বাসিন্দারা ৷ বাড়ির আশপাশে জমে রয়েছে আবর্জনার স্তূপ । সেখানে বৃষ্টির জমা জলে মশার লার্ভার জন্ম । বাসিন্দাদের এমন গা-ছাড়া মনোভাব দেখেই ক্ষুব্ধ কলকাতার ডেপুটি মেয়র অতীন ঘোষ । খানিকটা কড়া ভাষায় ধমক দিলেন এলাকাবাসীকে । 96 নম্বর ওয়ার্ডে একটি বাড়ির তালা ভেঙে ঢোকেন স্বাস্থ্যকর্মীরা ।
আরও পড়ুন: ফের শহরে ডেঙ্গিতে মৃত্যু! বাঁচানো গেল না টালিগঞ্জের গৃহবধূকে
এদিন কলকাতা পৌরনিগমের পক্ষ থেকে ডেঙ্গি পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে টলিগঞ্জের সেন্ট্রাল গভর্নমেন্ট কোয়ার্টার বা সিপিডব্লউডি-র আবাসনে যান পৌর আধিকারিকরা । সেন্ট্রাল গভার্নমেন্টের এই কোয়াটার বা সিপিডব্লুউডি-র আবাসনও কলকাতা পৌরনিগমের কাছে বেশ চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে বলে জানান ডেপুটি মেয়র অতীন ঘোষ ।
এদিন তিনি কেন্দ্রীয় পূর্ত আধিকারিককে বলেন, "মাঠে নামুন । নিচুতলার কর্মীরা কী করছে দেখুন । ঠিক করে কাজ করছেন কিনা । এদিকে লার্ভানাশক স্প্রে করতে গিয়ে আবাসনের বাসিন্দাদের ধমক দিলে বলেন আপনারা নিজের ঘর পরিষ্কার রেখে বাইরে জঞ্জাল ফেলে দিচ্ছেন । সেখানে মশা হলে আপনারই আক্রান্ত হবেন। আশপাশ পরিষ্কার রাখুন। আপনারা আবর্জনা জমিয়ে রাখলে আমাদের যে স্প্রে করতে হয় এই এক একবার স্প্রেতে 42 হাজার টাকা খরচ হয়।"