কলকাতা, ৩ জুলাই : COVID-19টেস্টের রিপোর্ট নেই । বৃদ্ধেরমৃত্যুর দু'দিন পরমৃতদেহ সৎকারের ব্যবস্থা করা হল ।
আমহার্স্টস্ট্রিটের এক আবাসনে গত সোমবার ওই বৃদ্ধের বাড়িতেই এক চিকিৎসক স্বাস্থ্যপরীক্ষাকরেন । তাঁর পরামর্শে বৃদ্ধের সোয়াবের নমুনা পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয় । এরপরইমৃত্যু হয় বৃদ্ধের । COVID-19 টেস্টের রিপোর্ট না আসা পর্যন্ত মৃতদেহ সৎকার না করার পরামর্শ দেনচিকিৎসক । মঙ্গলবার রাতে জানা যায়, বৃদ্ধ COVID-19-এ আক্রান্ত হয়েছিলেন । অভিযোগ,COVID-19 টেস্টেররিপোর্ট পাওয়ার পর মঙ্গলবার রাতে স্থানীয় থানায় যোগাযোগ করলেও মৃতদেহ নিয়েযাওয়ার কোনও ব্যবস্থা করা হয়নি ।
একদিনপরেই ফের একই ঘটনা গৌরীবাড়িতে । এক দোকান মালিকের মৃতদেহ দীর্ঘ সময় পড়েছিল তাঁরদোকানে। বৃহস্পতিবার কলকাতা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে চিকিৎসকরা জানান ওই ব্যক্তিরমৃত্যু হয়েছে । জানা গিয়েছে, এই ব্যক্তির ক্ষেত্রেও COVID-19 টেস্টের জন্য সোয়াবের নমুনা পাঠানোহয় । তবে রিপোর্ট না থাকায় স্থানীয় চিকিৎসক ডেথ সার্টিফিকেট দেননি ।
চিকিৎসকদের বিভিন্ন সংগঠনেরতরফে COVID-19 টেস্টের জন্য সোয়াবের নমুনা সংগ্রহ থেকে শুরু করে যাতে দ্রুতরিপোর্ট তৈরি করা হয়, তার দাবিএকাধিকবার রাজ্য সরকারের কাছে পেশ করা হয়েছে । অথচ, এখনও অনেকক্ষেত্রেই দেরি করে রিপোর্টপাওয়া যাচ্ছে । চিকিৎসক মানস গুমটা বলেন, "রিপোর্ট আসতে দেরি হচ্ছে । কারণ, ল্যাবরেটরির সংখ্যা যেমন কম রয়েছে, তেমনই কম লোকবল নিয়ে কাজ করা হচ্ছে।" এ'বিষয়েসার্ভিস ডক্টরস ফোরামের সাধারণ সম্পাদক, ডা. সজল বিশ্বাস বলেন,"এমনিতেইটেস্টের রিপোর্ট যতটা দ্রুত হওয়ার কথা, সেটা এখনও পর্যন্ত হচ্ছে না ।পরিকাঠামোগত কিছু খামতি রয়েছে । যে কারণে টেস্টের রিপোর্ট পেতে দেরি হচ্ছে ।টেস্টের রিপোর্ট পেতে দেরি হলে এই ধরনের ঘটনা স্বাভাবিক ।"
এ'ধরনের ঘটনা এড়াতে বিভিন্ন বিষয়েএকটি SOP তৈরিরচিন্তা-ভাবনা করা হচ্ছে রাজ্যের স্বাস্থ্য দপ্তরের তরফে । স্বাস্থ্য দপ্তরের একআধিকারিক বলেন, “এইবিষয়টি স্বাস্থ্য দপ্তরের নয় । COVID-19-এর কোনও সমস্যা হলে কলকাতার ক্ষেত্রেকলকাতা পৌরনিগমের সঙ্গে যোগাযোগ করতে হবে, কলকাতার বাইরে হলে সেখানকার পৌরসভারসঙ্গে যোগাযোগ করতে হবে ।”