কলকাতা, 9 ডিসেম্বর : 8,500 শিক্ষানবিশ কর্মচারী (অ্যাপ্রেন্টিস) নিয়োগ নিয়ে ভারতের বৃহত্তম রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক, স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার (এসবিআই) সাম্প্রতিকতম বিজ্ঞাপন নিয়ে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে ব্যাঙ্কিং কর্মচারী মহলে । তাঁদের মতে যেখানে স্টেট ব্যাঙ্কের হাজার হাজার স্থায়ী পদ শূন্য পড়ে রয়েছে, সেখানে এই অস্থায়ী শিক্ষানবিশ কর্মচারী নিয়োগ তামাশা ছাড়া কিছুই নয় ।
এই ব্যাপারে প্রতিবাদ জানিয়ে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমনকে চিঠি দিয়েছেন কমিউনিস্ট পার্টি অফ ইন্ডিয়ার রাজ্যসভা সদস্য বিনয় বিশ্বম । চিঠিতে তিনি উল্লেখ করেন যে এই 8,500 শিক্ষানবিশ কর্মচারী নিয়োগ হবে অস্থায়ীরূপে কেবলমাত্র তিন বছরের জন্য এবং অতি অল্প বেতনে । প্রথম বছর তাঁরা মাসে পাবে মাত্র 15,000 টাকা, দ্বিতীয় বছরে 16,500 টাকা এবং তৃতীয় বছরে 19,000 টাকা । "এদের না থাকবে কোনও চাকরির নিশ্চয়তা না এরা পাবে কোনও শ্রমআইনের সুরক্ষা । স্থায়ী পদ শূন্য রেখে এইরকম অস্থায়ী নিয়োগ ব্যাঙ্কের ভবিষ্যতের পক্ষেও বিপজ্জনক । অস্থায়ী নিয়োগের অর্থই হল কর্মীদের তাঁদের প্রাপ্য পাওনা থেকে বঞ্চিত করা এবং তাদের উপর কর্তৃপক্ষের সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ কায়েম করা । তাই উক্ত 8,500 পদে স্থায়ী কর্মী নিয়োগের অনুরোধ জানাচ্ছি আপনাকে, " বিনয় বিশ্বম তাঁর চিঠিতে উল্লেখ করেন ।
![decision of State Bank of India to hire a temporary apprentice](https://etvbharatimages.akamaized.net/etvbharat/prod-images/9820715_wb_kol.jpg)
এই অস্থায়ী নিয়োগ নিয়ে তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে অল ইন্ডিয়া স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া স্টাফ ফেডারেশন ।
![বিনয় ভীস্মম](https://etvbharatimages.akamaized.net/etvbharat/prod-images/9820715_wb_kol1.jpg)
ইতিমধ্যে নতুন কৃষিআইন নিয়ে যে অচলাবস্থা চলেছে তাতে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ব্যাঙ্ক অফিসারদের কর্মচারী সংগঠন, অল ইন্ডিয়া ব্যাঙ্ক অফিসার্স কনফেডারেশন, অল ইন্ডিয়া ব্যাঙ্ক অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশন এবং ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল ব্যাঙ্ক অফিসার্স কংগ্রেস । একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এই তিনটি সংগঠন জানিয়েছে যে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক, প্রাদেশিক গ্রামীণ ব্যাঙ্ক, সমবায় ব্যাঙ্ক এবং পুরানো প্রজন্ম বেসরকারি ব্যাঙ্কের 80 শতাংশ গ্রাহকই কৃষক । তাই কৃষকদের আর্থিক দুর্গতি মানেই এক অর্থে ব্যাঙ্ক শিল্পেরও দুর্গতি । তাঁদের মতে কোরোনা আবহে একমাত্র কৃষিক্ষেত্রই লেভার মুখ দেখেছে এবং এতেই প্রমাণিত কৃষির অর্থনৈতিক ভিত কতটা মজবুত ।