কলকাতা, 1 ডিসেম্বর: যখন একের পর এক উন্নমানের যন্ত্র ও পরিষেবায় সেজে উঠছে শহরের স্বাস্থকেন্দ্রগুলি, তখন এক অন্য ছবি ধরা পড়ল বউবাজার এলাকায় ৷ বড় রাস্তা ধরে বস্তির ভিতরে ঢুকে তস্য গলির মধ্যে লোহার গ্রিলে ঘেরা এক চিলতে ঘর । সেই ঘরই এখন কলকাতার 48 নম্বর ওয়ার্ডের প্রায় 20 হাজারের বেশি মানুষের প্রাথমিক স্বাস্থ্য পরিষেবা পাওয়ার ভরসা (Dearth of place forces KMC to run health centre) ।
রাজ্যের শাসকদল কলকাতা পৌরনিগমের নির্বাচনে যে সমস্ত প্রতিশ্রুতি কলকাতাবাসীকে দিয়েছেন, তার মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ উন্নতমানের স্বাস্থ্য পরিষেবা । সেই লক্ষ্যে ইতিমধ্যে কলকাতায় একগুচ্ছ স্যাটেলাইট হেলথ সেন্টার করার কাজও শুরু হয়েছে । তবে শিয়ালদা লাগোয়া 48 নম্বর ওয়ার্ডে যেন পৌর স্বাস্থ্য পরিষেবার এক অন্য ছবি দেখা ধরা পড়ল । স্থানীয় কাউন্সিলর বিশ্বরূপ দে'র আশ্বাস, সামনেই একটি জায়গা চিহ্নিত করা হয়েছে । কলকাতা পৌরনিগমের তরফে সেখানে দ্রুত তৈরি করা হবে আধুনিক মানের হেলথ সেন্টার বা স্বাস্থ্যকেন্দ্র ।
সূত্রের খবর, এই ওয়ার্ডে বর্তমান হেলথ সেন্টারের উলটো দিকেই অল্প পৌরনিগমের জায়গা রয়েছে । সেখানে একটি জিমও রয়েছে । পরিকল্পনা রয়েছে ওই তিনতলা ভবনের একটি তলায় জিম ও বাকি দু'টি তলায় হেলথ ইউনিট করা হবে । বিষয়টি বিগত কাউন্সিলরদের সময় নির্দিষ্ট হলেও কাজ আর বেশি এগোয়নি । ফলে সেভাবেই থেকে যায় বিষয়টি ।
48 নম্বর ওয়ার্ডের এই স্বাস্থ্য কেন্দ্রে চিকিৎসক, আশাকর্মী, স্বাস্থ্যকর্মী মিলিয়ে 10জন কাজ করেন । তবে ঘর এত ছোট যে 10 জনের বসার জায়গাই নেই । টেবিলের উপর কম্পিউটার আর তার পাশে ফাইল-ওষুধ ও মাঝে সামান্য জায়গায় অণুবীক্ষণ যন্ত্র রাখা । এখানেই শিশুদের টিকাকরণ থেকে করোনা টিকা যাবতীয় প্রাথমিক স্বাস্থ্য পরিষেবা দেওয়া হয় সারা ওয়ার্ডের মানুষকে ।
আরও পড়ুন: উৎস থেকে বর্জ্য পৃথকীকরণ নিয়ে দ্বিতীয় দফার কর্মশালা হল কাউন্সিলরদের
পরিকাঠামোর অভাবে সঠিক ও উন্নতমানের পরিষেবা পৌঁছানো যাচ্ছে না সেকথা স্বীকার করেছেন ওয়ার্ডের কাউন্সিলর বিশ্বরূপ দে । তিনি বলেন, "আমি বছর দেড় হল কাউন্সিলর হয়েছি । গত অধিবেশনে আমি বিষয়টি জানিয়েছি । মানুষকে উন্নতমানের প্রাথমিক সাস্থ্য পরিষেবা পৌঁছে দিতে বদ্ধপরিকর আমরা । স্বাস্থ্য দায়িত্ব প্রাপ্ত মেয়র পারিষদ জানিয়েছেন দ্রুত সমস্যার সমাধান হবে । কাছেই একটি জমিতে আধুনিকমানের ওয়ার্ড হেলথ সেন্টার হবে ।"