ETV Bharat / state

ট্যাংরায় জোড়া খুন : রক্তমাখা বালতি ঘিরে দানা বাঁধছে রহস্য - শ্বশুর-বউমা দু'জনকেই প্রাণে মারতে চেয়েছিল কেউ

গতরাত ন'টা পনেরো নাগাদ রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয় দুই চিন বংশোদ্ভূত কলকাতাবাসীকে । সম্পর্কে তারা শ্বশুর-বউমা । দেহ দুটি উদ্ধার করে ট্যাংরা থানার পুলিশ কর্তারা পাঠিয়ে দেয় NRS হাসপাতালে ‌। সেখানে বউমা মেইহাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা । পরে শ্বশুর লি কা সংয়ের মৃত্যু হয় ৷ তবে এটা নিছকই মৃত্যু না খুন তা নিয়ে দানা বাঁধছে রহস্য ৷

ফাইল ফোটো
author img

By

Published : Aug 24, 2019, 8:39 AM IST

Updated : Aug 24, 2019, 9:48 AM IST

কলকাতা, 24 অগাস্ট : শ্বশুর-বউমা দু'জনকেই প্রাণে মারতে চেয়েছিল কেউ । বালতি দিয়ে মুখে মারা হয়েছে বলে সন্দেহ পুলিশের । আর তাতেই মৃত্যু হয়েছে দু'জনের ৷ কারণ, পুলিশ রক্তমাখা একটি বালতিও উদ্ধার করেছে । প্রাথমিকভাবে আঘাতের ধরন দেখে পুলিশের সন্দেহ, এটি খুনের ঘটনা । আজ দেহ দুটির ময়নাতদন্ত করা হবে ৷

গতরাত ন'টা পনেরো নাগাদ রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয় ওই দুই চিন বংশোদ্ভূত কলকাতাবাসীকে । সম্পর্কে তারা শ্বশুর-বউমা । শ্বশুর লি কা সংয়ের বয়স 80 । আর বউমা লি হউ মেইহার বয়স 60 । দেহ দুটি উদ্ধার করে ট্যাংরা থানার পুলিশ কর্তারা পাঠিয়ে দেয় NRS হাসপাতালে ‌। সেখানে মেইহাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা । সংয়ের অবশ্য তখনও প্রাণ ছিল । পরে মৃত্যু হয় তাঁরও ।

image
মৃত বউমা লি হউ মেইহা

প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, ৮/১ নিউ ট্যাংরা রোডের ওই বাড়িটি ভেতর থেকে বন্ধ ছিল । তবে, ঘরের ভেতর থেকে কিছু খোয়া যায়নি । সংয়ের ছেলে অর্থাৎ মেইহার স্বামী লি ওয়ান থো সন্ধ্যা 7টা 11 নাগাদ বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান । ফিরে আসেন 8টা 20 নাগাদ । ফিরে দেখেন ঘরের দরজা ভেতর থেকে বন্ধ । সবটা খতিয়ে দেখে পুলিশের ধারণা, যদি এটা খুনের ঘটনা হয় তাহলে খুনি শুধুমাত্র সেই মতলবেই ঘরে এসেছিল‌ । জিনিসপত্র লুটপাট করা তার উদ্দেশ্য ছিল না । হয়তো কোনও আক্রোশ থেকে পরিচিত কেউ ঘটিয়েছে এই ঘটনা । তবে ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্ট আসার পরে অনেকটাই পরিষ্কার হয়ে যাবে পুরো বিষয়টা ।

এই সংক্রান্ত আরও খবর : ট্যাংরায় ঘর থেকে উদ্ধার মহিলার দেহ, রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার শ্বশুরও

কলকাতা, 24 অগাস্ট : শ্বশুর-বউমা দু'জনকেই প্রাণে মারতে চেয়েছিল কেউ । বালতি দিয়ে মুখে মারা হয়েছে বলে সন্দেহ পুলিশের । আর তাতেই মৃত্যু হয়েছে দু'জনের ৷ কারণ, পুলিশ রক্তমাখা একটি বালতিও উদ্ধার করেছে । প্রাথমিকভাবে আঘাতের ধরন দেখে পুলিশের সন্দেহ, এটি খুনের ঘটনা । আজ দেহ দুটির ময়নাতদন্ত করা হবে ৷

গতরাত ন'টা পনেরো নাগাদ রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয় ওই দুই চিন বংশোদ্ভূত কলকাতাবাসীকে । সম্পর্কে তারা শ্বশুর-বউমা । শ্বশুর লি কা সংয়ের বয়স 80 । আর বউমা লি হউ মেইহার বয়স 60 । দেহ দুটি উদ্ধার করে ট্যাংরা থানার পুলিশ কর্তারা পাঠিয়ে দেয় NRS হাসপাতালে ‌। সেখানে মেইহাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা । সংয়ের অবশ্য তখনও প্রাণ ছিল । পরে মৃত্যু হয় তাঁরও ।

image
মৃত বউমা লি হউ মেইহা

প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, ৮/১ নিউ ট্যাংরা রোডের ওই বাড়িটি ভেতর থেকে বন্ধ ছিল । তবে, ঘরের ভেতর থেকে কিছু খোয়া যায়নি । সংয়ের ছেলে অর্থাৎ মেইহার স্বামী লি ওয়ান থো সন্ধ্যা 7টা 11 নাগাদ বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান । ফিরে আসেন 8টা 20 নাগাদ । ফিরে দেখেন ঘরের দরজা ভেতর থেকে বন্ধ । সবটা খতিয়ে দেখে পুলিশের ধারণা, যদি এটা খুনের ঘটনা হয় তাহলে খুনি শুধুমাত্র সেই মতলবেই ঘরে এসেছিল‌ । জিনিসপত্র লুটপাট করা তার উদ্দেশ্য ছিল না । হয়তো কোনও আক্রোশ থেকে পরিচিত কেউ ঘটিয়েছে এই ঘটনা । তবে ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্ট আসার পরে অনেকটাই পরিষ্কার হয়ে যাবে পুরো বিষয়টা ।

এই সংক্রান্ত আরও খবর : ট্যাংরায় ঘর থেকে উদ্ধার মহিলার দেহ, রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার শ্বশুরও

Intro:কলকাতা, 23 অগাস্ট: শশুর-বউমা দু'জনকেই প্রানে মারতে চেয়েছিল কেউ। বালতি দিয়ে মুখে মারা হয়েছে বলে সন্দেহ পুলিশের। আর তাতেই মৃত্যু হয়েছে দু'জকেই। কারণ, পুলিশ রক্তমাখা একটি বালতি উদ্ধার করেছে। প্রাথমিকভাবে আঘাতের ধরন দেখে পুলিশের সন্দেহ, এটি খুনের ঘটনা। আগামীকাল দেহ দুটির পোস্টমর্টেম করা হবে বলে পুলিশ সূত্রে খবর।Body:আজ রাত নটা পনেরো নাগাদ রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয় ওই দুই চিন বংশোদ্ভূত কলকাতাবাসীকে । চায়না টাউন এলাকায় যে কয়েক হাজার চিনা বংশোদ্ভূত মানুষ থাকেন এই দুজন তাদের অন্যতম। সম্পর্কে তারা শশুর-বৌমা। শ্বশুর লি কা সংয়ের বয়স 80। আর বৌমায় লি হউ মেইহার বয়স 60। দেহ দুটি উদ্ধার করে ট্যাংরা থানার পুলিশ কর্তারা পাঠিয়ে দেয় এনআরএস হাসপাতালে ‌। সেখানে মেইহাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। সংয়ের অবশ্য তখনো প্রাণ ছিল। পরে মৃত্যু হয় তাঁরও। Conclusion:প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, ৮/১ নিউ ট্যাংরা রোডের ওই বাড়িটি ভেতর থেকে বন্ধ ছিল। ঘরের ভেতর থেকে কিছু খোয়া যায়নি। সংয়ের ছেলে অর্থাৎ মেইহার স্বামী রাত ৭:১১ নাগাদ বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান। ফিরে আসেন ৮টা ২০ নাগাদ। ফিরে দেখেন ঘরের দরজা ভেতর থেকে বন্ধ। সবটা দেখে পুলিশের ধারণা, যদি এটা খুনের ঘটনা হয়, তবে খুনি শুধুমাত্র সেই মতলবেই ঘরে এসেছিল‌। জিনিসপত্র লুটপাট উদ্দেশ্য ছিল না। সেই সূত্রে পুলিশের ধারণা, কোন আক্রোশ থেকে পরিচিত কেউ ঘটিয়েছে এই ঘটনা। তবে ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্ট আসার পরে অনেকটাই পরিষ্কার হবে পুরো বিষয়টা।
Last Updated : Aug 24, 2019, 9:48 AM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.