ETV Bharat / state

নিউ আলিপুরে উদ্ধার যুবতির পচাগলা দেহ, মায়ের ভূমিকায় রহস্যের গন্ধ ! - নিউ আলিপুরে উদ্ধার যুবতির পচাগলা দেহ

প্রাথমিকভাবে নিলম ধানানি জানিয়েছেন, দু'জনে একসঙ্গে আত্মহত্যা করতে চেয়েছিলেন । সেই সূত্রেই সুইসাইড নোটটি লিখেছিলেন । পাশাপাশি ঘরের মধ্যে দেখা যায় সিলিং ফ্যানের সঙ্গে একটি দড়ি গলায় ফাঁস লাগানোর মতো করে ঝোলানো রয়েছে ৷ যদিও প্রাথমিকভাবে পুলিশ ওই যুবতির গলায় কোনও ফাঁসের চিহ্ন পায়নি । আর এই সব থেকেই তৈরি হচ্ছে রহস্য ।

rotten dead body recovered from New Alipore
নিউ আলিপুরে উদ্ধার যুবতির পচাগলা দেহ
author img

By

Published : Jan 6, 2020, 11:50 PM IST

কলকাতা, 6 জানুয়ারি : নিউ আলিপুরের উদ্ধার হল যুবতির পচাগলা দেহ । বিজয় কুমার কাটনানি নামে এক বৃদ্ধের ফোনে বিষয়টি জানতে পারে পুলিশ । এরপর 9বি সাহাপুর রোডের একটি বহুতল থেকে যুবতির মৃতদেহ উদ্ধার করে নিউ আলিপুর থানার পুলিশ । ঘটনায় ওই যুবতির মায়ের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্নচিহ্ন উঠছে ৷

29 জানুয়ারি কাটিহার যাচ্ছিলেন নিউ আলিপুরের বাসিন্দা নিলম ধানানি । হাওড়া স্টেশনে তিনি অসুস্থ বোধ করেন । স্টেশন কর্তৃপক্ষ তাঁকে হাওড়া স্টেট জেনেরাল হাসপাতালে ভরতি করে । আজ নিলম তাঁর দাদা বিজয় কুমার কাটনানিকে ফোন করেন ৷ জানান তাঁর মেয়ে গুড্ডন ওরফে কাভি (26) আত্মহত্যা করেছে । বাড়িতেই রাখা রয়েছে মৃতদেহ । পুলিশ ওই যুবতির পচাগলা মৃতদেহ উদ্ধার করলেও মৃতদেহটি খাটের উপর যত্ন করে রাখা ছিল । পরনে ছিল পরিষ্কার জামাকাপড় । ঘর থেকে উদ্ধার হয় একটি সুইসাইড নোট । হাতের লেখা মিলিয়ে দেখা যায় সুইসাইড নোটে নিলম ধানানির হাতের লেখা । হাওড়া হাসপাতাল সূত্রে খবর নিলম ধানানির সেরিব্রাল অ্যাটাক হয়েছে ৷ কিডনিরও সমস্যা আছে ।

প্রাথমিকভাবে নিলম ধানানি জানিয়েছেন, দু'জনে একসঙ্গে আত্মহত্যা করতে চেয়েছিলেন । সেই সূত্রেই সুইসাইড নোটটি লিখেছিলেন । পাশাপাশি ঘরের মধ্যে দেখা যায় সিলিং ফ্যানের সঙ্গে একটি দড়ি গলায় ফাঁস লাগানোর মত করে ঝোলানো রয়েছে ৷ যদিও প্রাথমিকভাবে পুলিশ ওই যুবতির গলায় কোনও ফাঁসের চিহ্ন পায়নি । আর এই সব থেকেই তৈরি হচ্ছে রহস্য ।

দু'জনে একসঙ্গে আত্মহত্যা করার কথা বলা হলে ওই মহিলা হাওড়া স্টেশনে গেলেন কীভাবে ৷ তিনি পুলিশকে জানিয়েছেন, 23 ডিসেম্বর আত্মহত্যা করেছে গুড্ডন । যদি ধরে নেওয়া যায় মেয়ে আত্মহত্যা করার পর তিনি আর আত্মহত্যা করতে পারেননি, তবে তিনি ঘটনার প্রায় ছ'দিন পরে হাওড়া স্টেশনে গেলেন কীভাবে ? ওই মহিলা পুলিশকে ঘটনার কথা জানালেন না কেন? হাওড়া স্টেশনে তিনি অসুস্থ না হলে, এতদিনে কাটিহার পৌঁছে যেতেন ৷ মেয়ের মৃতদেহ ফেলে রেখে পালিয়ে যাচ্ছিলেন কেন? 23 থেকে 29 তারিখ পর্যন্ত তবে কি মেয়ের মৃতদেহ আগলে ছিলেন নিলম ধানানি? তবে কি আরও এক রবিনসন স্ট্রিট কাণ্ডের পুনরাবৃত্তি? পুরো বিষয়টি আপাতত রহস্যে মোড়া । আগামীকাল গুড্ডনের দেহের ময়নাতদন্ত হবে । তারপরেই জানা যাবে প্রথম প্রশ্নের উত্তর । আদৌ কি সুইসাইড করেছিলেন গুড্ডন? নাকি এ'টি খুনের ঘটনা ।

কলকাতা, 6 জানুয়ারি : নিউ আলিপুরের উদ্ধার হল যুবতির পচাগলা দেহ । বিজয় কুমার কাটনানি নামে এক বৃদ্ধের ফোনে বিষয়টি জানতে পারে পুলিশ । এরপর 9বি সাহাপুর রোডের একটি বহুতল থেকে যুবতির মৃতদেহ উদ্ধার করে নিউ আলিপুর থানার পুলিশ । ঘটনায় ওই যুবতির মায়ের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্নচিহ্ন উঠছে ৷

29 জানুয়ারি কাটিহার যাচ্ছিলেন নিউ আলিপুরের বাসিন্দা নিলম ধানানি । হাওড়া স্টেশনে তিনি অসুস্থ বোধ করেন । স্টেশন কর্তৃপক্ষ তাঁকে হাওড়া স্টেট জেনেরাল হাসপাতালে ভরতি করে । আজ নিলম তাঁর দাদা বিজয় কুমার কাটনানিকে ফোন করেন ৷ জানান তাঁর মেয়ে গুড্ডন ওরফে কাভি (26) আত্মহত্যা করেছে । বাড়িতেই রাখা রয়েছে মৃতদেহ । পুলিশ ওই যুবতির পচাগলা মৃতদেহ উদ্ধার করলেও মৃতদেহটি খাটের উপর যত্ন করে রাখা ছিল । পরনে ছিল পরিষ্কার জামাকাপড় । ঘর থেকে উদ্ধার হয় একটি সুইসাইড নোট । হাতের লেখা মিলিয়ে দেখা যায় সুইসাইড নোটে নিলম ধানানির হাতের লেখা । হাওড়া হাসপাতাল সূত্রে খবর নিলম ধানানির সেরিব্রাল অ্যাটাক হয়েছে ৷ কিডনিরও সমস্যা আছে ।

প্রাথমিকভাবে নিলম ধানানি জানিয়েছেন, দু'জনে একসঙ্গে আত্মহত্যা করতে চেয়েছিলেন । সেই সূত্রেই সুইসাইড নোটটি লিখেছিলেন । পাশাপাশি ঘরের মধ্যে দেখা যায় সিলিং ফ্যানের সঙ্গে একটি দড়ি গলায় ফাঁস লাগানোর মত করে ঝোলানো রয়েছে ৷ যদিও প্রাথমিকভাবে পুলিশ ওই যুবতির গলায় কোনও ফাঁসের চিহ্ন পায়নি । আর এই সব থেকেই তৈরি হচ্ছে রহস্য ।

দু'জনে একসঙ্গে আত্মহত্যা করার কথা বলা হলে ওই মহিলা হাওড়া স্টেশনে গেলেন কীভাবে ৷ তিনি পুলিশকে জানিয়েছেন, 23 ডিসেম্বর আত্মহত্যা করেছে গুড্ডন । যদি ধরে নেওয়া যায় মেয়ে আত্মহত্যা করার পর তিনি আর আত্মহত্যা করতে পারেননি, তবে তিনি ঘটনার প্রায় ছ'দিন পরে হাওড়া স্টেশনে গেলেন কীভাবে ? ওই মহিলা পুলিশকে ঘটনার কথা জানালেন না কেন? হাওড়া স্টেশনে তিনি অসুস্থ না হলে, এতদিনে কাটিহার পৌঁছে যেতেন ৷ মেয়ের মৃতদেহ ফেলে রেখে পালিয়ে যাচ্ছিলেন কেন? 23 থেকে 29 তারিখ পর্যন্ত তবে কি মেয়ের মৃতদেহ আগলে ছিলেন নিলম ধানানি? তবে কি আরও এক রবিনসন স্ট্রিট কাণ্ডের পুনরাবৃত্তি? পুরো বিষয়টি আপাতত রহস্যে মোড়া । আগামীকাল গুড্ডনের দেহের ময়নাতদন্ত হবে । তারপরেই জানা যাবে প্রথম প্রশ্নের উত্তর । আদৌ কি সুইসাইড করেছিলেন গুড্ডন? নাকি এ'টি খুনের ঘটনা ।

Intro:কলকাতা, 6 জানুয়ারি: নিউ আলিপুরের উদ্ধার হল যুবতীর পচা গলা দেহ। বিজয় কুমার কাটনানি নামে এক বৃদ্ধের ফোনে বিষয়টি জানতে পারে পুলিশ। এরপর 9 বি সাহাপুর রোডের একটি বহুতল থেকে ওই দেহ উদ্ধার করে নিউ আলিপুর থানার পুলিশ। ঘটনায় ওই যুবতীর মায়ের ভূমিকা নিয়ে তৈরি হয়েছে রহস্য।



Body:29 জানুয়ারি কাটিহার যাচ্ছিলেন নিউ আলিপুরের নিলাম ধানানি। বয়স পঞ্চাশের কিছু বেশি। হাওড়া স্টেশনে তিনি অসুস্থ বোধ করেন। স্টেশন কর্তৃপক্ষ তাকে ভর্তি করে হাওড়া স্টেট জেনেরাল হাসপাতালে। আজ নিলম তার দাদা বিজয়কে ফোন করে জানায় তার 26 বছরের মেয়ে গুড্ডন আত্মহত্যা করেছে। বাড়িতেই আছে দেহ। পুলিশ ওই যুবতীর পচাগলা মৃতদেহ উদ্ধার করলেও, দেহটি খাটের উপর যত্ন করে রাখা ছিল। পরনে ছিল পরিষ্কার জামাকাপড়। সেখানে উদ্ধার হয় একটি সুইসাইড নোট। যেটি তার মায়ের হাতের লেখা। হাওড়া হাসপাতাল সূত্রে খবর নিলম সেরিব্রাল অ্যাটাকে আক্রান্ত। কিডনিরও কিছু সমস্যা আছে। প্রাথমিকভাবে তিনি জানিয়েছেন, মা মেয়ে একসঙ্গে আত্মহত্যা করতে চেয়েছিলেন। সেই সূত্রেই নোট লিখেছিলেন তিনি। পাশাপাশি ঘরের মধ্যে দেখা যায় সিলিং ফ্যানের সঙ্গে একটি দড়ি গলায় ফাঁস লাগানোর মত করে ঝোলানো। যদিও প্রাথমিকভাবে পুলিশ ওই যুবতীর গলায় কোন ফাঁসের চিহ্ন পায়নি। আর এসব থেকেই তৈরি হচ্ছে রহস্য।


Conclusion:দুজনে একসঙ্গে আত্মহত্যা করার কথা বলা হলেও ওই মহিলা হাওড়া স্টেশনে গেলেন কিভাবে। তিনি পুলিশকে জানিয়েছেন 23 ডিসেম্বর আত্মহত্যা করেছে গুড্ডন ওরফে কাভি। যদি ধরে নেওয়া যায় মেয়ের আত্মহত্যা করার পর মা আর সেটা করতে পারেনি, তবে তিনি ঘটনার প্রায় ছয় দিন পরে হাওড়া স্টেশনে গেলেন কিভাবে। ওই মহিলা পুলিশকে ঘটনার কথা জানালেন না কেন? হাওড়া স্টেশনে তিনি অসুস্থ না হয়ে পড়লে, চলে গেছেন কাটিহার। মেয়ের মৃতদেহ ফেলে রেখে পালিয়ে যাচ্ছিলেন কেন? 23 থেকে 29 তারিখ পর্যন্ত তবে কি মেয়ের মৃতদেহ আগলে ছিলেন নিলম? তবে কি আরো এক রবিনসন স্ট্রিট কাণ্ডের পুনরাবৃত্তি? পুরো বিষয়টি আপাতত রহস্যে মোড়া। আগামীকাল কাভির দেহের ময়নাতদন্ত হবে। তারপরেই জানা যাবে প্রথম প্রশ্নের উত্তর। আদৌ কি সুইসাইড করেছিলেন কাভি? নাকি এটি খুনের ঘটনা।

For All Latest Updates

TAGGED:

ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.