ETV Bharat / state

Elderly Couple Died: স্ত্রীকে খুন করে আত্মঘাতী স্বামী! ক্যানসার-খরচের চাপে চরম পদক্ষেপ, অনুমান পুলিশের - স্ত্রীকে খুন করে আত্মঘাতী স্বামী

যাদবপুর থানা এলাকায় চাঞ্চল্যকর ঘটনা ৷ ঘরে ঢুকতেই হতবাক পুলিশ ! ঘরে পড়ে মৃত স্ত্রী, আর তাঁর পাশে গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় স্বামী ৷ পুলিশের অনুমান, সদ্য চাকরি হারানো স্বামী তাঁর স্ত্রীর ক্যানসারের খরচ চালাতে না-পেরে এই পদক্ষেপ করেছেন ৷

Suicide Incident
আত্মহত্যার ঘটনা
author img

By

Published : Apr 8, 2023, 7:09 AM IST

Updated : Apr 8, 2023, 9:23 AM IST

যাদবপুর, 8 এপ্রিল: ঘরের মেঝেতে স্ত্রীর দেহ, পাশেই ঝুলন্ত অবস্থায় গৃহকর্তা ৷ শুক্রবার এই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছে যাদবপুর থানা এলাকার চিত্তরঞ্জন কলোনিতে ৷ ঘরের দরজা খুলে ঘরের ভিতরে ঢুকতেই পুলিশ এই দৃশ্য দেখতে পায় ৷ সূত্রে জানা গিয়েছে, ক্যানসারে আক্রান্ত স্ত্রীর চিকিৎসা চালাতে না-পেরে তাঁকে হত্যা করেন স্বামী ৷ এরপর তিনিও গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মঘাতী হন ৷ সদ্য কাজ হারিয়েছিলেন তিনি ৷ তাই স্ত্রীর চিকিৎসার খরচ চালাতে পারছিলেন না ৷ তাই এই চূড়ান্ত পদক্ষেপ করলেন বলে মনে করছে পুলিশ ।

স্থানীয় যাদবপুর থানায় একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু হয়েছে ৷ দেহ দু'টি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে ৷ প্রাথমিক রিপোর্ট এলে মৃত্যুর সঠিক কারণ সম্পর্কে জানা যাবে ৷ এদিন প্রৌঢ় দম্পতির এক দূর সম্পর্কের আত্মীয় বারবার ফোন করেও কোনও সাড়া পাননি ৷ তাতেই তাঁর সন্দেহ হয় ৷ পরে তিনি প্রতিবেশীদের কাছ থেকে জানতে পারেন, সন্ধ্যায় স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে তুমুল অশান্তি হয়েছে ৷ আরও পরে তিনি পুলিশে খবর দিলে রাতে সাড়ে দশটা নাগাদ পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে এই দৃশ্য দেখতে পায় ৷ দরজাটি ভেজানো ছিল ৷ হালকা ধাক্কা দিতেই খুলে যায় বলে জানা গিয়েছে ৷

ঘটনাস্থল থেকে একটি সুইসাইড নোট পাওয়া গিয়েছে বলে খবর ৷ পুলিশের অনুমান, গৃহকর্তা বৈদ্যনাথ প্রসাদ ওই সুইসাইড নোট নিজে লিখেছেন ৷ তাঁর বয়স 62 বছর ৷ তিনি আগে স্ত্রী (57) বছরের জলি প্রসাদের গলায় গামছা বেঁধে তাঁর শ্বাসরোধ করে খুন করেন ৷ পরে নিজেও আত্মঘাতী হন ৷ ওই সুইসাইড নোটে নিজেদের আর্থিক দুরবস্থার কথা লিখেছেন প্রৌঢ় বৈদ্যনাথ প্রসাদ । তাতে স্পষ্ট উল্লেখ রয়েছে, আর্থিক সমস্যা কারণেই এমন পদক্ষেপ ৷

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বৈদ্যনাথ প্রসাদ একটি বেসরকারি সংস্থার গাড়িচালক ছিলেন ৷ কিন্তু সম্প্রতি তিনি শারীরিক সমস্যায় ভুগছিলেন ৷ দৃষ্টিশক্তি কমে আসায় তাঁকে কাজ হারাতে হয় ৷ স্বাভাবিকভাবে, এরপর থেকে সংস্থার চালাতে হিমশিম খাচ্ছিলেন ৷ পাশাপাশি তাঁর স্ত্রী জলি দেবী ক্যানসারের আক্রান্ত ছিলেন ৷ তাঁর কেমোথেরাপি চলছিল ৷ সংসার চালানোর সঙ্গে চিকিৎসার খরচা সামাল দিতে পারছিলেন না প্রৌঢ় ৷

পাশাপাশি এলাকাবাসীদের সঙ্গে কথা বলে পুলিশ জানতে পেরেছে, টাকাপয়সা নিয়ে তাঁদের বাড়িতে প্রতিদিন অশান্তি হত ৷ তাই পুলিশ প্রাথমিকভাবে মনে করছে, আর্থিক সমস্যা, স্ত্রীর ক্যানসারের খরচ- এসব কিছু থেকে পরিত্রাণ পেতে প্রৌঢ় দম্পতির এই পদক্ষেপ ৷ প্রাথমিকভাবে আত্মহত্যা বলে মনে হলেও এর নেপথ্যে অন্য কোনও রহস্য আছে কিনা তার তদন্ত করছে যাদবপুর থানা ৷

আরও পড়ুন: নাবালক-নাবালিকা আত্মহত্যার ঘটনায় দু'নম্বরে বাংলা, তথ্যপ্রকাশ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের

যাদবপুর, 8 এপ্রিল: ঘরের মেঝেতে স্ত্রীর দেহ, পাশেই ঝুলন্ত অবস্থায় গৃহকর্তা ৷ শুক্রবার এই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছে যাদবপুর থানা এলাকার চিত্তরঞ্জন কলোনিতে ৷ ঘরের দরজা খুলে ঘরের ভিতরে ঢুকতেই পুলিশ এই দৃশ্য দেখতে পায় ৷ সূত্রে জানা গিয়েছে, ক্যানসারে আক্রান্ত স্ত্রীর চিকিৎসা চালাতে না-পেরে তাঁকে হত্যা করেন স্বামী ৷ এরপর তিনিও গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মঘাতী হন ৷ সদ্য কাজ হারিয়েছিলেন তিনি ৷ তাই স্ত্রীর চিকিৎসার খরচ চালাতে পারছিলেন না ৷ তাই এই চূড়ান্ত পদক্ষেপ করলেন বলে মনে করছে পুলিশ ।

স্থানীয় যাদবপুর থানায় একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু হয়েছে ৷ দেহ দু'টি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে ৷ প্রাথমিক রিপোর্ট এলে মৃত্যুর সঠিক কারণ সম্পর্কে জানা যাবে ৷ এদিন প্রৌঢ় দম্পতির এক দূর সম্পর্কের আত্মীয় বারবার ফোন করেও কোনও সাড়া পাননি ৷ তাতেই তাঁর সন্দেহ হয় ৷ পরে তিনি প্রতিবেশীদের কাছ থেকে জানতে পারেন, সন্ধ্যায় স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে তুমুল অশান্তি হয়েছে ৷ আরও পরে তিনি পুলিশে খবর দিলে রাতে সাড়ে দশটা নাগাদ পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে এই দৃশ্য দেখতে পায় ৷ দরজাটি ভেজানো ছিল ৷ হালকা ধাক্কা দিতেই খুলে যায় বলে জানা গিয়েছে ৷

ঘটনাস্থল থেকে একটি সুইসাইড নোট পাওয়া গিয়েছে বলে খবর ৷ পুলিশের অনুমান, গৃহকর্তা বৈদ্যনাথ প্রসাদ ওই সুইসাইড নোট নিজে লিখেছেন ৷ তাঁর বয়স 62 বছর ৷ তিনি আগে স্ত্রী (57) বছরের জলি প্রসাদের গলায় গামছা বেঁধে তাঁর শ্বাসরোধ করে খুন করেন ৷ পরে নিজেও আত্মঘাতী হন ৷ ওই সুইসাইড নোটে নিজেদের আর্থিক দুরবস্থার কথা লিখেছেন প্রৌঢ় বৈদ্যনাথ প্রসাদ । তাতে স্পষ্ট উল্লেখ রয়েছে, আর্থিক সমস্যা কারণেই এমন পদক্ষেপ ৷

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বৈদ্যনাথ প্রসাদ একটি বেসরকারি সংস্থার গাড়িচালক ছিলেন ৷ কিন্তু সম্প্রতি তিনি শারীরিক সমস্যায় ভুগছিলেন ৷ দৃষ্টিশক্তি কমে আসায় তাঁকে কাজ হারাতে হয় ৷ স্বাভাবিকভাবে, এরপর থেকে সংস্থার চালাতে হিমশিম খাচ্ছিলেন ৷ পাশাপাশি তাঁর স্ত্রী জলি দেবী ক্যানসারের আক্রান্ত ছিলেন ৷ তাঁর কেমোথেরাপি চলছিল ৷ সংসার চালানোর সঙ্গে চিকিৎসার খরচা সামাল দিতে পারছিলেন না প্রৌঢ় ৷

পাশাপাশি এলাকাবাসীদের সঙ্গে কথা বলে পুলিশ জানতে পেরেছে, টাকাপয়সা নিয়ে তাঁদের বাড়িতে প্রতিদিন অশান্তি হত ৷ তাই পুলিশ প্রাথমিকভাবে মনে করছে, আর্থিক সমস্যা, স্ত্রীর ক্যানসারের খরচ- এসব কিছু থেকে পরিত্রাণ পেতে প্রৌঢ় দম্পতির এই পদক্ষেপ ৷ প্রাথমিকভাবে আত্মহত্যা বলে মনে হলেও এর নেপথ্যে অন্য কোনও রহস্য আছে কিনা তার তদন্ত করছে যাদবপুর থানা ৷

আরও পড়ুন: নাবালক-নাবালিকা আত্মহত্যার ঘটনায় দু'নম্বরে বাংলা, তথ্যপ্রকাশ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের

Last Updated : Apr 8, 2023, 9:23 AM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.