কলকাতা, 7 মে: বঙ্গোপসাগরে তৈরি ঘূর্ণিঝড় মোকার গতিপথই এখন বঙ্গবাসীর আগ্রহের বিষয়। যদিও রবিবার বঙ্গোপসাগরে যে ঘূর্ণাবর্ত নিম্নচাপে পরিণত হওয়ার কথা ছিল তা কিন্তু এদিন হয়নি। ফলে ঘূর্ণিঝড়ের প্রকৃত গতিপথ সম্পর্কে জানতে গেলে আরও কিছুটা সময় অপেক্ষা করতে হবে। এরপরও আবহাওয়া দফতরের তরফ থেকে এই ঘূর্ণিঝড় নিয়ে তেমন কোনও গুরুতর সতর্কবার্তা দেওয়া হয়নি। বরং হাওয়া অফিস সূত্রে বলা হয়েছে, এই ঘূর্ণিঝড় নিয়ে অহেতুক আতঙ্কিত হওয়ার কারণ নেই। আবহাওয়া দফতর কিছুটা স্বস্তির কথা শোনালেও নবান্ন থেকে শুরু করে জেলা প্রশাসন ঝড় মোকাবিলার প্রস্তুতি সেরে ফেলেছে।
তবে আগামী বুধবার পর্যন্ত বঙ্গে বৃষ্টির সম্ভাবনা কম বলে পূর্বাভাস মিলেছে হাওয়া অফিসের তরফে ৷ আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, আগামী কয়েকদিনে বাংলায় গরম আরও বাড়বে ৷ তবে ঘূর্ণাবর্তের জেরে দুর্যোগের শঙ্কায় আন্দামানে জারি করা হয়েছে সতর্কতা ৷ ইতিমধ্যেই ঘূর্ণিঝড়ের আগাম প্রস্তুতি হিসাবে উপকূলবর্তী জেলাগুলিতে মাইকিং শুরু হয়ে গিয়েছে। পাশাপাশি আপৎকালীন ফ্লাড শেল্টারগুলিকে প্রস্তুত রাখা হচ্ছে । প্রয়োজন হলে যত সংখ্যক বেশি মানুষকে এই ফ্লাড সেন্টারে নিয়ে যাওয়া যায় তার দিকে নজর দেওয়া হচ্ছে। একইসঙ্গে জেলা প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে উপকূলবর্তী জেলাগুলিকে পর্যাপ্ত পরিমাণে শুকনো খাবার ও ত্রিপলের জোগান দেওয়া হয়েছে নবান্নের তরফ থেকে। এমনিতে সামগ্রিকভাবে পুরো রাজ্যের পরিস্থিতি নজরদারির জন্য ইতিমধ্যেই নবান্নের কন্ট্রোলরুম সক্রিয় রয়েছে।
আরও পড়ুন: ঘনাচ্ছে ঘূর্ণাবর্ত! ঘূর্ণিঝড় মোকার দাপট কবে থেকে? জানাল হাওয়া অফিস
পাশাপাশি জেলাতেও থাকছে কন্ট্রোল রুম। কলকাতার ক্ষেত্রে কলকাতা পুলিশ এবং কলকাতা পৌরনিগমের তরফ থেকে পৃথক কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। আমফান, ফণী, যশ থেকে শিক্ষা নিয়ে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ পুলিশ এবং কলকাতা পৌরনিগমের তরফ থেকে নেওয়া হয়েছে। উদ্যান বিভাগ, সিইএসসিকে পরস্পরের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলতে বলা হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গ বিদ্যুৎ বণ্টন নিগমকেও তাদের মতো করে প্রস্তুতি সারতে বলা হয়েছে। ঘূর্ণিঝড় মোকা বাংলার স্থলভাগ থেকে অনেক দূরে থাকলেও, উপকূলবর্তী জেলা, এমনকী শহর কলকাতাতেও তার মোকাবিলার কাজ হয়েছে চরমে । বুধ পর্যন্ত বঙ্গে বৃষ্টির সম্ভাবনা কম, দুর্যোগের শঙ্কায় আন্দামানে জারি সতর্কতা ৷