কলকাতা, 25 ডিসেম্বর: যেমনটা প্রত্যাশা করা হয়েছিল তেমনটা ঘটল না। আলিপুর চিড়িয়াখানায় দর্শক সংখ্যায় মন ভরল না কর্তৃপক্ষের। গত বছর 25 ডিসেম্বর তো বটেই, এমনকী গতকাল অর্থাৎ রবিবারের থেকেও বড়দিনে দর্শক সংখ্যা অনেকটাই কম সেখানে। গত বছর 25 ডিসেম্বর আলিপুর চিড়িয়াখানায় 74 হাজারেরও কিছু বেশি দর্শক এসেছিলেন। গতকাল সংখ্যাটা ছিল 70 হাজার 200 জনেরও বেশি। চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ আশা করেছিল গতকাল এবং গত বছরের থেকে আজ 25 ডিসেম্বর দর্শকসংখ্যা কিছুটা হলেও বাড়বে। কিন্তু তা হল না। সবমিলিয়ে প্রায় 60 হাজারের ঘরে রয়ে গেল দর্শকসংখ্যা।
তবে যারা বড়দিনে চিড়িয়াখানায় এলেন তাঁরা বেশ খুশি। কচিকাঁচা থেকে শুরু করে তাদের বাবা-মা, এমনকী বৃদ্ধ-বৃদ্ধারাও খুব আনন্দিত। কেউ দক্ষিণ 24 পরগনা, কেউ বাগুইআটি কেউ বা আবার গার্ডেনরিচ-খিদিরপুর থেকে এসেছেন। এদিকে চিড়িয়াখানার সূত্রে খবর, সকাল থেকে দর্শক আসার প্রবণতা থেকে উপলব্ধি করা গিয়েছিল খুব একটা ভিড় হবে না। মূলত দুপুরের পর থেকে ভিড় বাড়তে শুরু করে। আলিপুর চিড়িয়াখানা ডিরেক্টর আইএফএস শুভঙ্কর সেনগুপ্ত বলেন, "সকাল থেকে যেভাবে দর্শকরা এসেছেন বিকেল পর্যন্ত তার ধারাবাহিকতা বজায় ছিল। সামগ্রিকভাবে কোনওরকম ছোট বড় দুর্ঘটনা ঘটেনি। এবারের দর্শক সংখ্য়া 63 হাজার 820 জন ৷"
এবারে চিড়িয়াখানায় মূলত সাদা বাঘ-সহ একাধিক বাকের যে খাঁচা রয়েছে তার বাইরেই দর্শকদের ভিড় ছিল অন্যান্য জীবজন্তুর খাঁচার বাইরের থেকে। শিম্পাঞ্জি-সহ বেশ কয়েকটি পশু-পাখির খাঁচা বা প্রদর্শন বন্ধ ছিল। অনেক পশু-পাখির খাঁচার পরিধি বাড়ানোর কাজ চলছে। এদিকে অনলাইন পিকেটিংয়ের ব্যবস্থা থাকায় বহু মানুষ অনলাইনে টিকিট কেটেই চিড়িয়াখানায় প্রবেশ করেন। এতে যেমন সাধারণ দর্শকদের ভোগান্তি কমছে ঠিক তেমনি চিড়িয়াখানার সামনের রাস্তা ট্রাফিক সামলানোর ধকল কিছুটা হলে কলকাতা পুলিশের কমেছে।
আরও পড়ুন: