ETV Bharat / state

ধাপাতেই হবে কোরোনায় মৃতের সৎকার, বাগমারিতে কবর; বিভ্রান্তি না ছড়ানোর পরামর্শ চিকিৎসকদের - cremation of corona death

কোরোনা সংক্রমণের মৃতের সৎকার হবে ধাপাতে । মৃতদেহ কবর দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে বাগমারি এলাকার একটি ফাঁকা জায়গায় । অকারণে বিভ্রান্ত না ছড়ানোর পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা ।

corona
কোরোনা
author img

By

Published : Apr 6, 2020, 1:57 PM IST

কলকাতা, 6 এপ্রিল: নিমতলার সংক্রমণ ছড়িয়ে ছিল ধাপা এলাকাতেও । বেলঘড়িয়ার রোগীর দেহ সৎকার করতে গিয়ে বাধা পেয়েছিল প্রশাসন । কোরোনায় মৃতের দেহ সৎকার করা হলে ছড়িয়ে পড়তে পারে ভাইরাস । এটাই ছিল আশঙ্কা । প্রশাসন সূত্রে খবর, মানুষকে বোঝানো গেছে সেই আশঙ্কা অমূলক । ইতিমধ্যেই ধাপায় হয়েছে পাঁচ সৎকার । আর মৃতদেহ কবর দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে বাগমারি এলাকার একটি ফাঁকা জায়গায় । কিন্তু তৈরি হয়েছে নতুন এক বিভ্রান্তি ।

WHO গাইড লাইন অনুযায়ী, মৃতের ফুসফুস থেকে ছড়াতে পারে কোরোনার সংক্রমণ ৷ তাই ওই মৃতদেহের অটোপ্সি করা যাবে না ৷ দেহ সৎকার করার বিষয়ে নির্দিষ্ট গাইডলাইন দিয়েছে ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশন । বলা হয়েছে, কোরোনা সংক্রমণে মৃতকে পরাতে হবে বিশেষ পোশাক ৷ যাঁরা সৎকার করতে নিয়ে যাবেন তাঁরাও পরবেন বিশেষ পোশাক ৷ যে যে জায়গা দিয়ে কোরোনা আক্রান্ত ব্যক্তিকে নিয়ে যাওয়া হবে সেইসব জায়গা স্যানিটাইজ় করতে হবে । দাহ কিংবা কবর দেওয়ার পরেও স্যানিটাইজ়েশনের ব্যবস্থা রাখতে হবে । সরকারের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, পরিবারেরর কেউ মৃতদেহ ছুঁতে পারবেন না ৷ তাঁদের খালি কভার খুলে মৃত ব্যক্তির মুখ দেখিয়ে দেওয়া হবে ৷ ধর্মীয় কোনও রীতিনীতি থাকলে দূর থেকেই তা পালন করতে হবে । এরপর যাঁরা মৃতদেহ পরিবহন করবেন তাঁরাই সৎকারের বাকি কাজকর্ম করবেন । দাহ হয়ে গেলে অস্থি বিসর্জন করার সময় তা খুব অল্প পরিমাণে নিয়ে বিসর্জন করতে হবে । এক্ষেত্রে কোরোনায় মৃতের সৎকারের সময় এই নির্দেশিকাগুলি কি পালন করা হয়েছে ? তা নিয়ে তৈরি হয়েছে বিভ্রান্তি ।

গঙ্গার তীরবর্তী যে শ্মশানঘাটগুলি রয়েছে সেগুলি জনবসতিপূর্ণ । তাই সেখানে দেহ সৎকার না করে ফাঁকা জায়গা খুঁজে বের করেছে কলকাতা পৌরনিগম । সেই কারণেই ঠিক হয় ধাপায় হবে সৎকার । আর বাগমারির কাছে তেমনই একটি ফাঁকা জায়গায় কবর দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে । প্রতিটি ক্ষেত্রেই করা হয়েছে গেটের বিশেষ ব্যবস্থা । ধাপার যে দু'টি গেট রয়েছে সেগুলি বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে । পুলিশ সূত্রে খবর, প্রথম ক্ষেত্রে ধাপা এলাকার বাসিন্দারা বিক্ষোভ দেখালেও তাঁদের বোঝানো গেছে । তারপর পাঁচটি দেহ সৎকার হয়েছে সেখানে । এদিকে এই দেহ সৎকার নিয়ে যে বিক্ষোভ হচ্ছে তা অমূলক বলে উড়িয়ে দিয়েছেন চিকিৎসক সমরজিৎ ঘোষ । বহু প্রথিতযশা মানুষের চিকিৎসা করা সমরজিৎবাবু বলেন, "বিষয়টি নিয়ে অযথা বিভ্রান্তি তৈরি করা হচ্ছে । সরকার অনেক ভেবেচিন্তেই সিদ্ধান্তগুলো নিয়েছে । কিন্তু কোথাও কোথাও কোনও একটা উদ্দেশে এই ধরনের ঘটনা হচ্ছে বলে মনে হচ্ছে । একটা জিনিস মানুষের বোঝা উচিত, সরকার সংক্রমণ ঠেকানোর জন্য এতকিছু করছে । তারপর সৎকার করতে গিয়ে কোনওভাবে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ুক তা কি সরকার চাইবে? সৎকারের সময় ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার যে কথা বলা হচ্ছে তা বিভ্রান্তিকর । সেই বিভ্রান্তি থাকা উচিত নয় ।"

কলকাতা, 6 এপ্রিল: নিমতলার সংক্রমণ ছড়িয়ে ছিল ধাপা এলাকাতেও । বেলঘড়িয়ার রোগীর দেহ সৎকার করতে গিয়ে বাধা পেয়েছিল প্রশাসন । কোরোনায় মৃতের দেহ সৎকার করা হলে ছড়িয়ে পড়তে পারে ভাইরাস । এটাই ছিল আশঙ্কা । প্রশাসন সূত্রে খবর, মানুষকে বোঝানো গেছে সেই আশঙ্কা অমূলক । ইতিমধ্যেই ধাপায় হয়েছে পাঁচ সৎকার । আর মৃতদেহ কবর দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে বাগমারি এলাকার একটি ফাঁকা জায়গায় । কিন্তু তৈরি হয়েছে নতুন এক বিভ্রান্তি ।

WHO গাইড লাইন অনুযায়ী, মৃতের ফুসফুস থেকে ছড়াতে পারে কোরোনার সংক্রমণ ৷ তাই ওই মৃতদেহের অটোপ্সি করা যাবে না ৷ দেহ সৎকার করার বিষয়ে নির্দিষ্ট গাইডলাইন দিয়েছে ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশন । বলা হয়েছে, কোরোনা সংক্রমণে মৃতকে পরাতে হবে বিশেষ পোশাক ৷ যাঁরা সৎকার করতে নিয়ে যাবেন তাঁরাও পরবেন বিশেষ পোশাক ৷ যে যে জায়গা দিয়ে কোরোনা আক্রান্ত ব্যক্তিকে নিয়ে যাওয়া হবে সেইসব জায়গা স্যানিটাইজ় করতে হবে । দাহ কিংবা কবর দেওয়ার পরেও স্যানিটাইজ়েশনের ব্যবস্থা রাখতে হবে । সরকারের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, পরিবারেরর কেউ মৃতদেহ ছুঁতে পারবেন না ৷ তাঁদের খালি কভার খুলে মৃত ব্যক্তির মুখ দেখিয়ে দেওয়া হবে ৷ ধর্মীয় কোনও রীতিনীতি থাকলে দূর থেকেই তা পালন করতে হবে । এরপর যাঁরা মৃতদেহ পরিবহন করবেন তাঁরাই সৎকারের বাকি কাজকর্ম করবেন । দাহ হয়ে গেলে অস্থি বিসর্জন করার সময় তা খুব অল্প পরিমাণে নিয়ে বিসর্জন করতে হবে । এক্ষেত্রে কোরোনায় মৃতের সৎকারের সময় এই নির্দেশিকাগুলি কি পালন করা হয়েছে ? তা নিয়ে তৈরি হয়েছে বিভ্রান্তি ।

গঙ্গার তীরবর্তী যে শ্মশানঘাটগুলি রয়েছে সেগুলি জনবসতিপূর্ণ । তাই সেখানে দেহ সৎকার না করে ফাঁকা জায়গা খুঁজে বের করেছে কলকাতা পৌরনিগম । সেই কারণেই ঠিক হয় ধাপায় হবে সৎকার । আর বাগমারির কাছে তেমনই একটি ফাঁকা জায়গায় কবর দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে । প্রতিটি ক্ষেত্রেই করা হয়েছে গেটের বিশেষ ব্যবস্থা । ধাপার যে দু'টি গেট রয়েছে সেগুলি বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে । পুলিশ সূত্রে খবর, প্রথম ক্ষেত্রে ধাপা এলাকার বাসিন্দারা বিক্ষোভ দেখালেও তাঁদের বোঝানো গেছে । তারপর পাঁচটি দেহ সৎকার হয়েছে সেখানে । এদিকে এই দেহ সৎকার নিয়ে যে বিক্ষোভ হচ্ছে তা অমূলক বলে উড়িয়ে দিয়েছেন চিকিৎসক সমরজিৎ ঘোষ । বহু প্রথিতযশা মানুষের চিকিৎসা করা সমরজিৎবাবু বলেন, "বিষয়টি নিয়ে অযথা বিভ্রান্তি তৈরি করা হচ্ছে । সরকার অনেক ভেবেচিন্তেই সিদ্ধান্তগুলো নিয়েছে । কিন্তু কোথাও কোথাও কোনও একটা উদ্দেশে এই ধরনের ঘটনা হচ্ছে বলে মনে হচ্ছে । একটা জিনিস মানুষের বোঝা উচিত, সরকার সংক্রমণ ঠেকানোর জন্য এতকিছু করছে । তারপর সৎকার করতে গিয়ে কোনওভাবে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ুক তা কি সরকার চাইবে? সৎকারের সময় ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার যে কথা বলা হচ্ছে তা বিভ্রান্তিকর । সেই বিভ্রান্তি থাকা উচিত নয় ।"

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.