কলকাতা, 26 জুলাই: পঞ্চায়েত ভোট ঘোষণার আগে থেকেই সিপিএম রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম জেলা নেতাদের সতর্ক করেছিলেন। হিংসা, হামলা, লুটে প্রতিরোধ করতে সব রকম প্রস্তুতি রাখতে হবে বলেও নেতা-কর্মীদের জানিয়েছিলেন তিনি। এক্ষেত্রে সঙ্গে নিতে হবে সাধারণ মানুষকেও। এসব তো আছেই, এর সঙ্গেই জেলা নেতারা জালিয়াতি ধরতে নিজেদের উদ্যোগে গোয়েন্দাগিরি করেছেন বলে দাবি করেছেন অনেকেই।
25 ও 26 জুলাই সিপিএম রাজ্য কমিটির বৈঠক চলছে আলিমুদ্দিন স্ট্রিটে। সেই বৈঠকে উত্তরবঙ্গের একাধিক নেতা গোয়েন্দাগিরির রিপোর্ট পেশ করেছেন। গোয়েন্দাগিরিতে জ্যামিতি বক্সের স্কেল, বিদেশি মুদ্রা থেকে শুরু করে একাধিক জিনিস ব্যবহার করা হয়েছে বলে অভিযোগ। মুজফফর আহমেদ ভবন সূত্রের দাবি, এবার পঞ্চায়েত নির্বাচনে কীভাবে ভোট লুট হয়েছে তার প্রমাণ দিয়েছেন অনেক নেতা। ব্যালট বাক্স লুট হওয়ার আশঙ্কায় অনেকেই নানা পদক্ষেপ করেছেন। কেউ ব্যালট বক্সে জ্যামিতি বক্সের স্কেল ফেলে দেন। কেউ আবার ভুটান মুদ্রার নোট ফেলেন। কেউ আবার পাঁচ টাকার কয়েন ফেলেন। কিন্তু, পরে ভোট গণনাতে সেই ব্যালট বাক্স থেকে স্কেল, নোট কিংবা কয়েন উদ্ধার হয়নি।
এর থেকেই প্রমাণ হয় ব্যালট বাক্স বদল হয়েছে। লুট হয়েছে ভোট। দু'দিনের রাজ্য কমিটির বৈঠকে 'ইন্ডিয়া' জোট নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। গণতন্ত্র বাঁচাতে তৃণমূলের সঙ্গে কেন সিপিএম মঞ্চ ভাগাভাগি করল, সেই প্রশ্নও উঠেছে। কেন্দ্রীয় স্তরে এভাবে মঞ্চ ভাগ করলে নীচু স্তরে ব্যাপক প্রভাব পড়বে বলেও অনেকে জানিয়েছেন। সাধারণ মানুষকে ভুল বোঝাবে বিজেপি। যদিও পার্টি কংগ্রেসের লাইন তুলে ধরে জেলা নেতাদের পরামর্শ দিয়েছেন সেলিম। তিনি স্পষ্ট জানিয়েছে দিয়েছেন, এ রাজ্যের ক্ষেত্রে শাসকের প্রতি সুর নরমের কোনও প্রসঙ্গ আসছেই না। বিজেপির প্রচারে কেউ যেন বিভ্রান্ত না হয়।
আরও পড়ুন: মণিপুর নিয়ে সোমবার বিধানসভায় প্রস্তাব আনছে তৃণমূল, থাকতে পারেন মমতা
শুরুতে মহম্মদ সেলিম স্পষ্ট বলেন, "দেশের গণতান্ত্রিক ঐক্যবদ্ধতা ধর্মনিরপেক্ষতার মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়কে বাঁচিয়ে রাখতেই বিরোধীদের সঙ্গে মঞ্চ শেয়ার করেছে সিপিএম। ফলে তৃণমূল বিজেপি বিরোধী যে সিদ্ধান্ত পার্টি কংগ্রেসের গৃহীত হয়েছিল তাই বহাল থাকবে।" কিন্তু তারপরও প্রশ্ন থাকছে সাধারণ মানুষ তো সিপিএমের পার্টি কংগ্রেস বোঝে না। সে ক্ষেত্রে কী হবে?