কলকাতা, 01 মে: অবিলম্বে জম্মু -কাশ্মীরে নির্বাচন করার দাবি জানাল সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটি । 27, 28 ও 29 এপ্রিল দিল্লিতে তিনদিন সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত হয় । সেখানে একাধিক বিষয় নিয়ে আলোচনা হয় । তার মধ্যে অন্যতম ছিল জম্মু-কাশ্মীরের ইস্যুটি । 2019 সালের অগস্ট থেকে জন্মু-কাশ্মীর কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল। তারও বেশ কয়েকমাস আগে থেকে নেই নির্বাচিত বিধানসভা ।
কেন্দ্রীয় সরকার নির্বাচনের জন্য তিনটি শর্ত পূরণের নির্দেশিকা দিয়েছিল ৷ সেগুলি হল, সীমানা প্রক্রিয়া চিহ্নিতকরণের সমাপ্তি, সম্পূর্ণ ভোটার তালিকা তৈরি এবং নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য শান্তিপূর্ণ পরিবেশ তৈরি করা। বর্তমানে তিনটি শর্ত পূরণ হয়েছে । তারপরও জম্মু ও কাশ্মীরে নির্বাচন করানোর কোনও পদক্ষেপ নিচ্ছে না কেন্দ্র ৷ দলের সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি মনে করেন, পছন্দের সরকার গঠনের ব্যাপারে বিজেপি নিশ্চিত নয় বলেই ভোট হচ্ছে না। এটা জনগণের মৌলিক সাংবিধানিক ও গণতান্ত্রিক অধিকারের স্পষ্ট লঙ্ঘন।
এদিকে বিজেপিকে পরাস্ত করত ধর্মনিরপেক্ষ দলগুলির সঙ্গে একটি বোঝাপড়া তৈরি করার ইঙ্গিতও দিয়েছে সিপিএম । কেন্দ্রীয় কমিটির বৈঠকে ইতিমধ্যেই এই প্রস্তাব পাস করা হয়েছে । সেখানেই উল্লেখ করা হয়েছে, বিজেপিকে পরাস্ত করতে বিরোধী ধর্মনিরপেক্ষ দলগুলির সঙ্গে সহযোগিতা করবে সিপিএম। একসঙ্গে কাজও করবে ৷ কেন্দ্রীয় কমিটি বক্তব্য, দেশ ও জনগণের এই মুহূর্তে প্রধান কাজ হল বিজেপিকে পরাজিত করা । এই প্রসঙ্গে ইয়েচুরি বলেন, "এই কাজটি সম্পন্ন করতে সিপিএম ধর্মনিরপেক্ষ বিরোধী দলগুলির সঙ্গে সহযোগিতা করবে।"
কমিটির প্রস্তাবে আরও বলা হয়েছে, সাম্প্রদায়িক মেরুকরণকে তীব্র করা থেকে শুরু করে আদানি কেলেঙ্কারি, কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলির অপব্যবহার, বর্ণ শুমারি পরিচালনা, য়ুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোর উপর হামলা, ইত্যাদি একাধিক বিষয়ে ধর্মনিরপেক্ষ বিরোধী দলগুলির সর্বাধিক ঐক্যের মতো জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলি নিয়ে জোরদার আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। তাছাড়া, জনগণের উপর হামলার বিরুদ্ধে প্রতিবাদী পদক্ষেপ সমস্ত ধর্মনিরপেক্ষ বিরোধী শক্তির ঐক্য গড়ে তোলার জন্য এবং প্রতিটি রাজ্যে, প্রাপ্ত সুনির্দিষ্ট পরিস্থিতির উপর নির্ভর করে ৷ ধর্মনিরপেক্ষ বিরোধী দলগুলিকে কৌশল অবলম্বন করতে হবে ।
আরও পড়ুন: জাতীয় দলের স্বীকৃতি বজায় রাখতে কমিশনে আবেদন সিপিআইয়ের
অন্যদিকে, কুস্তিগীরদের প্রতিবাদে পূর্ণ সমর্থন জানিয়েছে কেন্দ্রীয় কমিটি । যৌন হয়রানির অভিযোগের বিরুদ্ধে ন্যায়বিচারের জন্য যথাযথ মূল্যায়ন ও ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিও পেশ করা হয়েছে। বলা হয়েছে, প্রথমে অনিচ্ছা সত্ত্বেও, দিল্লি পুলিশ রেসলিং ফেডারেশন অফ ইন্ডিয়ার সভাপতি, বিজেপি সাংসদ ব্রিজ ভূষণ শরণ সিংয়ের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করতে বাধ্য হয়েছে । সভাপতিকে অবশ্যই পদ থেকে সরাতে হবে । পুলিশকে অবিলম্বে এফআইআর-এর উপর কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে ।