কলকাতা, 9 এপ্রিল: বঙ্গে পঞ্চায়েত নির্বাচন আসন্ন । সিপিআইএমএল লিবারেশন পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য কমিটি সন্ত্রাসমুক্ত শান্তিপূর্ণ নির্বাচন চাইছে । তাদের অভিযোগ, বিগত দিনে এ রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচনের নামে প্রহসন দেখা গিয়েছে । বিভিন্ন এলাকায় বিরোধীদের মনোনয়ন পত্র জমা দিতে দেওয়া হয়নি । বর্তমান সময়কালে বাংলার গ্রামাঞ্চলে আলু থেকে পেঁয়াজ চাষিরা ফসলের দাম না পেয়ে বঞ্চিত ৷ কেন্দ্র রাজ্য কাজিয়ার ফলে 100 দিনের কাজ এক বছরেরও বেশি সময় ধরে বন্ধ । কেন্দ্রীয় সরকার এই প্রকল্পে টাকা দেওয়া বন্ধ করে রেখেছে ।
এসবের পাশাপাশি বাংলায় সর্বক্ষেত্রে দুর্নীতির বিরুদ্ধে গণরোষ জন্ম নিয়েছে ৷ যা আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনে প্রতিফলিত হবে বলে মনে করা হচ্ছে । তাই সাধারণ মানুষের মতপ্রকাশের গণতান্ত্রিক অধিকার রক্ষায় আন্দোলন গড়ে তোলা হবে বলে জানিয়েছেন সিপিআইএমএল লিবারেশনের সাধারণ সম্পাদক দীপঙ্কর ভট্টাচার্য । তিনি বলেন, "সমস্ত বাম ও গণতান্ত্রিক শক্তি, যারা এ রাজ্যে বঞ্চিত বর্গাদার, গ্রামীণ মজুর, ভাগ চুক্তি চাষি ও গরিব মানুষের পক্ষে আছেন ৷ আমরা তাঁদের সকলের পারস্পরিক সহযোগিতার মধ্য দিয়ে বৃহত্তর ঐক্য গড়ে তুলতে চাই । জনগণের গণতন্ত্র নিশ্চিত করতে এই ঐক্য জরুরি ।"
বিজেপির বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দীপঙ্কর ভট্টাচার্য আরও জানান, দেশের বিভিন্ন রাজ্যে ক্ষমতায় থাকা বিরোধী দলগুলির শাসনে তাদের জনবিরোধী কার্যকলাপ, দুর্নীতির বিরুদ্ধে জনগণের ক্ষোভ ফেটে পড়ছে । এ ক্ষেত্রে লিবারেশনের নীতি হল, তাদের কোনও ছাড় নয় । কিন্তু গোটা দেশের প্রশ্নকে অগ্রাধিকারে রাখতে হবে ৷ অন্যথায় রাজ্যের লড়াইগুলিও দুর্বল হবে । দীপঙ্কর ভট্টাচার্যর কথায়, বিগত পটনা পার্টি কংগ্রেসে তাঁরা এই লক্ষ্যে এক জাতীয় সেমিনার সংগঠিত করেছেন । বিজেপি বিরোধী সর্বাত্মক ঐক্যের আহ্বান জানিয়েছেন । বিগত কেন্দ্রীয় কমিটির বৈঠক থেকে 17 জনের পলিটব্যুরো নির্বাচিত হয়েছে । নতুন পাঁচজন পলিটব্যুরো সদস্যের মধ্যে দু'জন মহিলা রয়েছেন ।
পশ্চিমবাংলার বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে দীপঙ্কর ভট্টাচার্য বলেন, "আমরা দেখতে পাচ্ছি বেশ কয়েকটি ন্যায়সঙ্গত আন্দোলন চলছে । যেমন, ডিএর দাবিতে কর্মচারীদের আন্দোলন ৷ নিয়োগে দুর্নীতির বিরুদ্ধে এবং স্বচ্ছ নিয়োগের দাবিতে ছাত্র যুবদের আন্দোলন প্রভৃতি । এই সমস্ত আন্দোলনগুলিকে আমরা পূর্ণ সমর্থন জানাচ্ছি । আজ 100 দিন কাজের প্রকল্পের উপর ত্রিফলা আক্রমণ নামিয়ে আনা হয়েছে । এই খাতে বাজেট বরাদ্দ কমিয়ে দেওয়া হয়েছে । দিনে দু'বার ডিজিটাল হাজিরা এবং মজুরির সঙ্গে আধার সংযোগ বাধ্যতামূলক করা হয়েছে । এসবের পরিণতিতে আগামিদিনে কাজ করেও মজুরি না পাওয়ার সংকট তৈরি হবে ।"
আরও পড়ুন: জাতীয় স্তরে বিজেপি বিরোধী বৃহৎ বাম ঐক্য চায় লিবারেশন