কলকাতা, 12 জুলাই : প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিল কারও পৈতৃক সম্পত্তি নয়। এর গোপনীয়তা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী এত মরিয়া কেন ? প্রশ্ন CPI(M)-এর রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্রের । আজ এক বিবৃতিতে সূর্যকান্ত মিশ্র বলেন, ''প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলের টাকার হিসেব নেই কেন? করোনা ভাইরাস নিয়ন্ত্রণের জন্য প্রধানমন্ত্রীর কেয়ার্স তহবিলে প্রচুর টাকা এসেছে। সেই টাকার কোনও হিসেব নেই । আমরা এই হিসেবের দাবি জানাচ্ছি ।''
সূর্যকান্ত মিশ্রের কথায়,"কার স্বার্থে কোরোনাজনিত বিপর্যয় মোকাবিলায় এই তহবিল থেকে অর্থ বরাদ্দ করতে অস্বীকার করা হচ্ছে ? কোরোনা মোকাবিলায় প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিল নিয়ে সংসদে আলোচনা চায় না BJP। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী যেভাবে ত্রাণ তহবিলের টাকা আত্মসাৎ করেছেন, ঠিক সেভাবেই কেন্দ্রের যিনি প্রধান তিনিও অর্থ আত্মসাৎ করতে চাইছেন । দেশের মানুষ এর জবাব চায়।"
প্রসঙ্গত, অতীতে CPI(M)-এর পক্ষ থেকে ত্রাণ তহবিলের হিসেব চেয়ে শ্বেতপত্র প্রকাশের দাবি জানানো হয়। যদিও এখনও পর্যন্ত ত্রাণ তহবিলের টাকা নিয়ে শ্বেতপত্র প্রকাশের কোনও উদ্যোগ দেখায়নি দুই সরকার ।
এই বিষয়ে সূর্যকান্ত মিশ্রর বক্তব্য, বিরোধীরা বারবার দাবি জানালেও শ্বেতপত্র প্রকাশের কথা উড়িয়ে দিয়েছে শাসকদলগুলি। স্বাস্থ্যকর্মীদের সুরক্ষা সরঞ্জাম প্রথম দিন থেকেই অমিল। দেশের সর্বত্র হাসপাতালগুলির অবস্থাও ভালো নয়। পশ্চিমবঙ্গে কোরোনা ভাইরাসের চিকিৎসার উপযুক্ত পরিকাঠামো গড়ে ওঠেনি । কোরোনা হাসপাতাল হিসেবে বহু হাসপাতালকে চিহ্নিত করা হয়েছে। অথচ, সেখানে উপযুক্ত চিকিৎসা ব্যবস্থা নেই । এদিকে প্রধানমন্ত্রী তড়িঘড়ি করে করোনা ভাইরাসের প্রতিষেধক ঘোষণা করতে চলেছিলেন । প্রধানমন্ত্রীর বাসনা পূর্ণ হলে দেশের বহু মানুষের মৃত্যু হত । বিজ্ঞানসম্মত উপায়ে, আরও সফলতার সঙ্গে গবেষণা করার পর কোরোনা ভাইরাসের মতো মারণ রোগের প্রতিষেধক প্রয়োগ করা যেতে পারে । জানিয়েছেন চিকিৎসক সূর্যকান্ত মিশ্র ।