কলকাতা, 16 মার্চ: ভোট ঘোষণার অপেক্ষায় থাকবেন না। এখনই পঞ্চায়েত নির্বাচনের এলাকাভিত্তিক প্রার্থী তালিকা তৈরি করুন । দলের রাজ্য দফতর থেকে জেলা সম্পাদকদের এমনই নির্দেশ দিল সিপিআইএম পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য কমিটি । সূত্রের খবর, বুধবার সিপিআইএম রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর বৈঠক বসে। সেই বৈঠকে প্রার্থী ঝাড়াই-বাছাইয়ের কাজ শুরু করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে । প্রতিটি জেলার সম্পাদককে নির্দিষ্ট সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছে । তার মধ্যে এলাকার 'স্বচ্ছ ভাবমূর্তিসম্পন্ন মুখ'কে খুঁজে নিতে বলা হয়েছে । শুধু স্বচ্ছ ভাবমূর্তি থাকলে হবে না । থাকতে হবে জনসংযোগের ক্ষমতাও। এই নিয়ম মেনে ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েতের প্রার্থীদের নাম আগামী এক মাসের মধ্যে রাজ্য দফতরে জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে (CPIM Panchayat Election Preparations)।
সূত্রের দাবি, আগামী 11 ও 12 এপ্রিল দু'দিনের রাজ্য কমিটির বৈঠক ডাকা হয়েছে। সেই বৈঠকে প্রার্থীদের প্রাথমিক নাম জমা দিতে হবে। জেলায় পঞ্চায়েত ধরে ধরে ভোটের প্রস্তুতি নিয়ে বিশদে আলোচনা চলবে। একইসঙ্গে জেলায় জেলায় সংগাঠনিক হাল কেমন, তাও স্পষ্ট হবে বলে জানা গিয়েছে। পঞ্চায়েত নির্বাচনকে মাথায় রেখে গত বছরের শেষদিকে 'গ্রাম জাগাও, চোর তাড়াও' পদযাত্রার মাধ্যমে সিপিআইএমের সাংগঠনিক প্রস্তুতি শুরু হয়েছিল । সেই পদযাত্রায় সামিল হওয়ার পাশাপাশি সিপিআইএমের রাজ্য নেতৃত্ব কর্মী সভায় যোগ দিচ্ছেন । প্রকাশ্য সমাবেশ থেকে দলীয় নেতাদের নিয়ে গোপন মিটিং করছেন রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম ।
কোনও জেলার কোন অংশ নিষ্ক্রিয়, সাধারণ মানুষ চাইলেও শাসকের বিরুদ্ধে মুখ খুলতে পারছেন না, সেগুলোই খুঁজে বের করে আন্দোলন গড়ে তোলার চেষ্টা চলছে বলে সূত্রের খবর । মহম্মদ সেলিম নিজে গত কয়েকমাস ধরে উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলা চষে বেড়াচ্ছেন। সূর্যকান্ত মিশ্র, সুজন চক্রবর্তী, শমীক লাহিড়ী, পলাশ দাস'রাও নিয়মিত জেলায় জেলায় কর্মী সভায় অংশ নিচ্ছেন । ফলে, ক্ষমতা হারানোর পর রাজ্যের যে সমস্ত জায়গায় সিপিআইএম পতাকা তুলতে পারত, বৃহস্পতিবার সেখানে মিটিং মিছিল করা হচ্ছে। এরকম পরিস্থিতিতে সাধারণ মানুষের অংশগ্রহণ বাড়াতে প্রার্থী বাছাইয়ের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে (candidate list for upcoming panchayat polls)।
সিপিআইএম পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর এক সদস্যের কথায়, "রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম তো অনেক আগেই বলেছেন আমরা পঞ্চায়েত নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত। প্রার্থী তালিকাও তৈরি হবে দ্রুত । কারণ, তৃণমূল-বিজেপিকে পরাস্ত করতে সাধারণ মানুষও উন্মুখ হয়ে রয়েছে । তৃণমূলের লুটেরা বাহিনীর হাত থেকে পঞ্চায়েত বাঁচাতে সব ধরনের শক্তি কাজে লাগানো হবে ।"
আরও পড়ুন: ট্রেন বাতিলে বিপাকে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীরা, শিয়ালদায় বিক্ষোভ এসএফআইয়ের