কলকাতা, 15 নভেম্বর: গত এক-দেড় বছরের বেশি সময় ধরে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) কেন্দ্রের বিরুদ্ধে 100 দিনের প্রকল্পের (MNREGS) টাকা না দেওয়ার অভিযোগ করে যাচ্ছেন। মঙ্গলবার ঝাড়গ্রামে গিয়েও একই অভিযোগ করেছেন । তৃণমূল (Trinamool Congress) নেতা কর্মীরাও একই বিষয়ে গোটা রাজ্য জুড়ে প্রচার করছে । অথচ, টাকা দেওয়া হচ্ছে, রাজ্য সরকার হিসাব দিচ্ছে না বলে পালটা কেন্দ্রীয় সরকার এবং বঙ্গ বিজেপির (BJP) তরফে অভিযোগ করা হচ্ছে । এসবের মাঝখানে পড়ে রাজ্যের 100 দিনের কাজের প্রকল্পের টাকা যেমন আটকে রয়েছে, ঠিক তেমনই বহু জায়গায় কাজ হচ্ছে না বলে অভিযোগ করছে সিপিএম (CPIM) ।
এই নিয়ে মঙ্গলবার সিপিএম রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম (Md Salim) কেন্দ্র ও রাজ্য উভয় সরকারের কাছে শ্বেতপত্র প্রকাশের দাবি করলেন । সেলিমের কথায়, "কেন কেন্দ্রীয় সরকারের দল এসে তদন্ত করছে না ? অভিযোগ পালটা অভিযোগের তথ্য খাড়া না করে দুই সরকারই শ্বেতপত্র প্রকাশ করুক । কেন্দ্র সরকার এখনও পর্যন্ত রাজ্য সরকারকে কত টাকা দিয়েছে তার হিসেব দিক এবং রাজ্য সরকার বলুক যে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে তারা এখনও কত টাকা পাবে এবং কত পরিমাণ কাজ তারা করেছে । তাহলেই গোটা বিষয়টা পরিষ্কার হয়ে যাবে ।’’
তাঁর আরও দাবি, ‘‘দুই সরকার শ্বেতপত্র প্রকাশ করে সমস্যার সমাধান ঘটুক । মানুষের হাতে কাজ পৌঁছাক । আর কেন্দ্রীয় সরকার যদি সত্যি রাজ্য সরকারকে টাকা না দিয়ে থাকে, তাহলে আমরা সিপিএমের তরফে রাজ্যের সঙ্গে রাজ্যের মানুষের স্বার্থে কেন্দ্রের কাছে দাবি জানাব ৷ মানুষের হকের দাবিতে আমরাও প্রয়োজনে রাজ্য সরকারের পাশে দাঁড়াব ।"
এছাড়া কেন্দ্র ও রাজ্য দুই সরকারের বিরুদ্ধেই মানুষের মধ্যে ভাগাভাগির অভিযোগের তত্ত্ব খাড়া করে সেলিম বলেন, "বামপন্থীরা গড়তে জানে । আমরা জুড়তে জানি । আমরা মানুষ জড়ো করছি । আমরা ভাঙাভাঙির রাজনীতির বিরুদ্ধে । লুঠের টাকার বিরুদ্ধে আমাদের লড়াই । কেউ কেউ ভাঙার রাজনীতি করছে । ভয় পেয়েছে । বন্দুক, ত্রিশূল বোমা নয়া ইতিহাস গড়েনি । প্রতিদিন নতুন নতুন ইস্যু আনা হচ্ছে । যার কোনও মানে নেই । মিথ্যা ইস্যু । ম্যানেজ করতে প্রধান বিচারপতির ঘরেও গিয়েছে । নাগপুরে গিয়েছে । শূন্যপদ আছে । রাজ্য টাকে গিলে খেতে চাইছে, আমরা তার বিরুদ্ধে ।"
সেলিমের আরও অভিযোগ, "মাওবাদীদের হাতে অস্ত্র দিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) । গত দশ বছরে এত অস্ত্র কারখানার প্রয়োজন কেন হল ? যে কারণে তৃণমূল নেতাদের বাড়িতে অস্ত্র তৈরি করা হচ্ছে । বেআইনি অস্ত্র ছাড়া মানুষের মধ্যে তৃণমূল ও বিজেপি নেতারা ঘুরে বেড়াতে পারবে না । নিজের অস্ত্র বাহিনী সঙ্গে রাখা হয় । প্রত্যেক গাড়ি সার্চ করলে অস্ত্র পাওয়া যাবে । চ্যালেঞ্জ নিয়ে বলছি । ভোটের সময় লোক দেখানো অস্ত্র উদ্ধার করা হবে ।"
আরও পড়ুন: এবার কি পায়ে ধরতে হবে, একশো দিনের কাজের টাকা নিয়ে মোদিকে তোপ মমতার