কলকাতা, 3 নভেম্বর : "শান্তিপুর এবং খড়দায় বামপন্থীদের ভোট বিজেপির প্রায় সমান ৷ সব দিক দিয়ে চেষ্টা করে বিজেপির ফানুস ধরে রাখতে পারল না তৃণমূল কংগ্রেস ৷" চার কেন্দ্রে রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের বিপুল জয়ের পরে কটাক্ষ সুজন চক্রবর্তীর । তাঁর মতে মোদি, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং মিডিয়ার সব চেষ্টার পরেও বিজেপির ফানুস টিকবে না, এটা স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে ।
রাজ্যের উপনির্বাচনের ফলাফল প্রসঙ্গে তিনি বলেন, "বামপন্থার বিকল্প যে নেই, মানুষ তা অনুভব করছে । আমরা কী ভাবে তার যোগ্য হয়ে উঠব, সেটা আমাদের ঠিক করতে হবে ৷ কিন্তু বামপন্থার আকর্ষণ মানুষের মধ্যে থেকে একেবারে কেড়ে নেওয়া যাচ্ছে না, নির্বাচন সেটা বুঝিয়ে দিয়েছে ।" রাজ্যে বিপর্যস্ত বিজেপি নিয়ে তাঁর ভবিষ্যদ্বাণী বিজেপির নেমে যাওয়া অব্যাহত থাকবে এবং এই দল আরও নামবে । কিন্তু বর্তমান শাসককে মুছতে বিকল্প একমাত্র বাম দল জানিয়ে তিনি বলেন, "এই শাসনের অবসান করতে হলে বামেরা বিকল্প, তা খড়দা ও শান্তিপুর স্পষ্ট করে দিয়েছে । শান্তিপুরে আমাদের ভোট বেড়েছে প্রায় তিরিশ হাজার অর্থাৎ 20% ৷ খুবই ভাল । তৃণমূল-বিজেপি সব চেষ্টা করলেও কোথাও কোথাও অন্তত আমাদের অবস্থাটাকে রাখতে পারা গিয়েছে ৷"
আরও পড়ুন : By-polls Result : দেশের একাধিক রাজ্যে লোকসভা ও বিধানসভার উপনির্বাচনে শোচনীয় ফল গেরুয়া শিবিরের
দেশের শাসকদলের রাজ্যের 4টি কেন্দ্রে বিপুল পরাজয় নিয়ে সুজন বলেন, "এটা তো বিশ্বরেকর্ড বটেই । 1 লক্ষ 64 হাজার ভোটে গোসাবায় তৃণমূল জিতেছে ৷ 57 ভোটে হারা দিনহাটা 1 লক্ষ 64 হাজার ভোটে উদয়ন গুহর জিততে পারার নেপথ্যে বিপুল প্রতিপত্তি রয়েছে ৷ " তাই এটা অনুপ্রেরণার দয়া নাকি গণতন্ত্রের লজ্জা, তা বুঝতে পারছেন না সিপিএম নেতা । "এত বিপুল জনসমর্থন নিয়ে যাঁরা জিতলেন, তাঁদের মুখ্যমন্ত্রীর আসনের দাবিদার হওয়া উচিত কি না, তৃণমূল কংগ্রেস বিবেচনা করবে । অন্তত ভাল দফতর পাওয়া উচিত," কটাক্ষ সুজন চক্রবর্তীর।