কলকাতা, 1 ডিসেম্বর : গোটা বিশ্ব করোনাভাইরাসের নতুন ভ্যারিয়্যান্ট ওমিক্রন (Omicron) আতঙ্কে কাঁপছে । এই পরিস্থিতিতে কোনও ঝুঁকি নিতে চাইছে না নবান্ন (Nabanna)। করোনাকালীন বিধিনিষেধ 15 ডিসেম্বর পর্যন্ত বাড়িয়ে সতর্কতার বার্তা দিল রাজ্য প্রশাসন । 30 নভেম্বর পর্যন্ত জারি থাকা বিধিনিষেধের মেয়াদ বাড়ল 15 ডিসেম্বর পর্যন্ত । একই সঙ্গে জোরদার হল রাতের কড়াকড়ি (Nabanna extends West Bengal corona protocol)।
মঙ্গলবার নবান্নের তরফে জারি হওয়া নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, রাজ্যে বর্তমানে যে কোভিডবিধি কার্যকর রয়েছে, তা আগামী 15 ডিসেম্বর পর্যন্ত বহাল থাকবে (Covid 19 Restrictions Extended in bengal ) । অর্থাৎ, সর্বত্র রাত 11 টা থেকে ভোর 5 টা পর্যন্ত মানুষের চলাফেরা এবং যানবাহন চলাচল নিষিদ্ধ থাকবে । ছাড় থাকবে শুধুমাত্র জরুরি পরিষেবার ক্ষেত্রে । একই সঙ্গে সব সময় মাস্ক পরে থাকা, শারীরিক দূরত্ববিধি বজায় রাখা এবং পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা মেনে চলার উপর জোর দেওয়া হয়েছে । অফিস, অন্য প্রতিষ্ঠানগুলিতে কোভিডবিধি যাতে মেনে চলা হয়, সে বিষয়টি নিশ্চিত করার দায়িত্ব কর্তৃপক্ষের উপর ছেড়েছে নবান্ন ।
এ দিকে ওমিক্রন সংক্রান্ত খবর সামনে আসতে কেন্দ্র ঝুঁকিপূর্ণ দেশ (Country at risk) হিসেবে 12 টি দেশের তালিকা তৈরি করেছে । এর মধ্যে রয়েছে ব্রিটেন, ব্রাজিল, দক্ষিণ আফ্রিকা, বাংলাদেশ, বৎসোয়ানা, চিন, মরিশাস, নিউজিল্যান্ড, জিম্বাবোয়ে, হংকং, সিঙ্গাপুর, ইজরায়েল । বাংলাদেশ ও সিঙ্গাপুর নিয়ে প্রমাদ গুনছে বাংলা । স্বাস্থ্য ভবনও উদ্বিগ্ন বলেই জানা গিয়েছে ।
আরও পড়ুন : The Omicron Effect on Indians : ওমিক্রন থেকে সুরক্ষিত অধিকাংশ ভারতীয়, মত বিশেষজ্ঞের
মঙ্গলবারের বৈঠকে স্বাস্থ্য দফতরের তরফে কেন্দ্রকে সে বিষয়ে জানানো হয়েছে । বাংলাদেশের সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গের একাধিক সীমান্ত এলাকা রয়েছে । সড়কপথ অথবা আকাশপথে নিয়মিত যোগাযোগ রয়েছে দুই বাংলার । ফলে বাংলাদেশ থেকে আসা মানুষের সংখ্যা পশ্চিমবঙ্গে অন্য রাজ্যের তুলনায় বেশি হওয়ায় তা দুশ্চিন্তার কারণ । ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত লাগোয়া বাংলার জেলাগুলি অত্যন্ত ঘন জনবসতিপূর্ণ । শীর্ষে রয়েছে উত্তর 24 পরগনা ও দক্ষিণ 24 পরগনা । অন্যদিকে সিঙ্গাপুর-কলকাতা সরাসরি বিমান যাতায়াতের ফলে এই দেশটি নিয়ে চিন্তা থেকেই যাচ্ছে ।
বাকি দশটি দেশ নিয়ে ভয় থাকলেও স্বাস্থ্য দফতরের কাছে এখন এই দু'টি দেশ মাথাব্যথার কারণ । তবে বাংলাদেশ ও সিঙ্গাপুরের স্বাস্থ্য দফতরও সতর্ক রয়েছে । জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকদের এই দু'টি দেশে থেকে আসা যাত্রীদের বিষয়ে বিশেষ ভাবে সচেতন থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে । এই যাত্রীদের আরটিপিসিআর (RT-PCR) নমুনা পরীক্ষা করা বাধ্যতামূলক । রিপোর্ট হাতে না আসা পর্যন্ত যাত্রীদের নিভৃতবাসে থাকতে হবে ।
স্বাস্থ্য ভবনের বক্তব্য, ওমিক্রন ভ্যারিয়্যান্ট (Omicron Variant) নিয়ে যথেষ্ট উদ্বিগ্ন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাও (World Health Organization, WHO) । অত্যন্ত করোনাভাইরাসের এই ধরনটির সংক্রমণ ক্ষমতা অন্য ধরনগুলির তুলনায় অনেক বেশি ৷