ETV Bharat / state

প্রেমিকাকে সঙ্গে নিয়ে টুকরো টুকরো স্ত্রীকে, ফাঁসির সাজা - west bengal

2014 সালের খুনের ঘটনায় দোষী তিনজনকে ফাঁসির সাজা দিল শিয়ালদা কোর্ট ৷ পাঁচ বছর বিচারপ্রক্রিয়া চলার পর আজ জয়ন্তী দেব খুনের ঘটনায় সুরজিৎ দেব, তার প্রেমিকা ললিতা ও এক সুপারি কিলার সঞ্জয় বিশ্বাসকে ফাঁসির সাজা দেওয়া হল ৷

প্রতীকী ছবি
author img

By

Published : Jul 22, 2019, 7:14 PM IST

Updated : Jul 22, 2019, 8:04 PM IST

কলকাতা, 22 জুলাই : নৃশংস খুন । ট্রলি ব্যাগের মধ্যে যুবতির দেহাংশ দেখে প্রথমে চমকে উঠেছিলেন তদন্তকারীরা । প্রাথমিকভাবে সূত্র পেতে রীতিমতো বেগ পেতে হয়েছিল । পরে একটি হোটেলের ক্যাশমেমো পুলিশের হাতে তুলে দেয় সূত্র । সমাধান হয় রহস্যের । পাঁচ বছর বিচারপ্রক্রিয়া চলার পর আজ ওই যুবতির স্বামী, তার প্রেমিকা এবং এক সুপারি কিলারের ফাঁসির সাজা শোনাল শিয়ালদা আদালত ।

2014 সালের 20 মে । শিয়ালদা স্টেশনের VIP পার্কিং লটে একটি ট্রলি পড়ে থাকতে দেখেন কয়েকজন ৷ সন্দেহ হওয়ায় তাঁরাই শিয়ালদা GRP থানায় খবর দেন । পুলিশ উদ্ধার করে সেই ট্রলি । সেটি খুলতেই বের হয় একটি কাটা মুন্ডু । লেপে মোড়া অবস্থায় উদ্ধার হয় আরও কয়েকটি দেহাংশ । তদন্তে নামে GRP । সূত্র বলতে, ওই ট্রলিতে থাকা একটি ক্যাশ মেমো । তার মাধ্যমে জানা যায় ওই মহিলার নাম জয়ন্তী দেব । পাওয়া যায় ঠিকানা । লেকটাউনে রয়েছে তার ফ্ল্যাট । সেখানে পৌঁছে পুলিশ ফ্ল্যাটটি চিহ্নিত করে । পরে দেখা যায় জিনিসপত্র সব লন্ডভন্ড । দেওয়ালে, মেঝেতে রয়েছে রক্তের ছাপও । তদন্তকারীরা জানতে পারেন জয়ন্তী সুরজিৎ দেবের স্ত্রী । পলাতক ছিল সুরজিৎ ।

একের পর এক জট খুলতে থাকে । জানা যায়, সুরজিতের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরেই সম্পর্ক ছিল ললিতা পোদ্দার নামে একজনের । তার সঙ্গে একটি ভাড়াবাড়িতে থাকত সুরজিৎ । পরে পাকড়াও করা হয় সুরজিৎ এবং ললিতাকে । খোলে জট । জানা যায় এই খুনের পরিকল্পনা করেছিল সুরজিৎ এবং ললিতা । বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক নিয়ে স্বামীর সঙ্গে নিত্য অশান্তি লেগে থাকত জয়ন্তীর । তাই তাঁকে পৃথিবী থেকে সরিয়ে দেওয়ার প্ল্যান করে ওই দুজন । একদিন সুরজিৎ প্রদীপের স্ট্যান্ড দিয়ে জয়ন্তীর মাথায় আঘাত করে । তারপর সে চলে যায় ভাড়াবাড়িতে । সেখানে আগে থেকেই অপেক্ষা করছিল ললিতা এবং সুপারি কিলার সঞ্জয় বিশ্বাস । তাদের দু'জনকে সঙ্গে নিয়ে ফের ফ্ল্যাটে যায় সুরজিৎ । তখনও বেঁচে ছিলেন জয়ন্তী । এবার ললিতা ঝাঁপিয়ে পড়ে তাঁর উপর । মুখে বালিশ চাপা দিয়ে শ্বাসরোধ করে খুন করা হয় তাঁকে । পরে দেহ টুকরো টুকরো করে কাটে সঞ্জয় ।

তদন্তকারীরা রীতিমতো দক্ষতার সঙ্গে ঘটনার তথ্য প্রমাণ জোগাড় করেন । পাশাপাশি অভিযুক্তরা স্বীকার করে নেয় তাদের দোষ । দীর্ঘ পাঁচ বছরের আইনি লড়াই শেষে আজ শিয়ালদা আদালত তাদের ফাঁসির সাজা শোনায় ।

কলকাতা, 22 জুলাই : নৃশংস খুন । ট্রলি ব্যাগের মধ্যে যুবতির দেহাংশ দেখে প্রথমে চমকে উঠেছিলেন তদন্তকারীরা । প্রাথমিকভাবে সূত্র পেতে রীতিমতো বেগ পেতে হয়েছিল । পরে একটি হোটেলের ক্যাশমেমো পুলিশের হাতে তুলে দেয় সূত্র । সমাধান হয় রহস্যের । পাঁচ বছর বিচারপ্রক্রিয়া চলার পর আজ ওই যুবতির স্বামী, তার প্রেমিকা এবং এক সুপারি কিলারের ফাঁসির সাজা শোনাল শিয়ালদা আদালত ।

2014 সালের 20 মে । শিয়ালদা স্টেশনের VIP পার্কিং লটে একটি ট্রলি পড়ে থাকতে দেখেন কয়েকজন ৷ সন্দেহ হওয়ায় তাঁরাই শিয়ালদা GRP থানায় খবর দেন । পুলিশ উদ্ধার করে সেই ট্রলি । সেটি খুলতেই বের হয় একটি কাটা মুন্ডু । লেপে মোড়া অবস্থায় উদ্ধার হয় আরও কয়েকটি দেহাংশ । তদন্তে নামে GRP । সূত্র বলতে, ওই ট্রলিতে থাকা একটি ক্যাশ মেমো । তার মাধ্যমে জানা যায় ওই মহিলার নাম জয়ন্তী দেব । পাওয়া যায় ঠিকানা । লেকটাউনে রয়েছে তার ফ্ল্যাট । সেখানে পৌঁছে পুলিশ ফ্ল্যাটটি চিহ্নিত করে । পরে দেখা যায় জিনিসপত্র সব লন্ডভন্ড । দেওয়ালে, মেঝেতে রয়েছে রক্তের ছাপও । তদন্তকারীরা জানতে পারেন জয়ন্তী সুরজিৎ দেবের স্ত্রী । পলাতক ছিল সুরজিৎ ।

একের পর এক জট খুলতে থাকে । জানা যায়, সুরজিতের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরেই সম্পর্ক ছিল ললিতা পোদ্দার নামে একজনের । তার সঙ্গে একটি ভাড়াবাড়িতে থাকত সুরজিৎ । পরে পাকড়াও করা হয় সুরজিৎ এবং ললিতাকে । খোলে জট । জানা যায় এই খুনের পরিকল্পনা করেছিল সুরজিৎ এবং ললিতা । বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক নিয়ে স্বামীর সঙ্গে নিত্য অশান্তি লেগে থাকত জয়ন্তীর । তাই তাঁকে পৃথিবী থেকে সরিয়ে দেওয়ার প্ল্যান করে ওই দুজন । একদিন সুরজিৎ প্রদীপের স্ট্যান্ড দিয়ে জয়ন্তীর মাথায় আঘাত করে । তারপর সে চলে যায় ভাড়াবাড়িতে । সেখানে আগে থেকেই অপেক্ষা করছিল ললিতা এবং সুপারি কিলার সঞ্জয় বিশ্বাস । তাদের দু'জনকে সঙ্গে নিয়ে ফের ফ্ল্যাটে যায় সুরজিৎ । তখনও বেঁচে ছিলেন জয়ন্তী । এবার ললিতা ঝাঁপিয়ে পড়ে তাঁর উপর । মুখে বালিশ চাপা দিয়ে শ্বাসরোধ করে খুন করা হয় তাঁকে । পরে দেহ টুকরো টুকরো করে কাটে সঞ্জয় ।

তদন্তকারীরা রীতিমতো দক্ষতার সঙ্গে ঘটনার তথ্য প্রমাণ জোগাড় করেন । পাশাপাশি অভিযুক্তরা স্বীকার করে নেয় তাদের দোষ । দীর্ঘ পাঁচ বছরের আইনি লড়াই শেষে আজ শিয়ালদা আদালত তাদের ফাঁসির সাজা শোনায় ।

Intro:বিজেপিতে যোগদানকারী কাউন্সিলরদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের Body:
মানস নস্কর---

বনগাঁ পুরসভার বিজেপিতে যোগদানকারী কাউন্সিলরদের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ, হাইকোর্টের দ্বারস্থ হলেন দুই কাউন্সিলর

কলকাতা ১৫ জুলাই ঃ
বনগাঁ পুরসভার যে ১২ জন কাউন্সিলর বিজেপিতে যোগদান করেছিল তাদেরই মধ্যে পাচ কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে। দুজন হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন আজ আগাম জামিনের আবেদন জানিয়ে।আগামীকাল বিচারপতি জয়মাল্য বাগচির বেঞ্চে শুনানি। যে দুজন হাইকোর্টে আগাম জামিনের আবেদন জানিয়েছেন তারা হলেন হিমাদ্রি মণ্ডল ও কার্তিক মণ্ডল।এদের আইনজীবী শুভাশিস দাসগুপ্ত জানালেন, "যে ১২ জন কাউন্সিলর বিজেপিতে যোগদান করেছিল তাদেরই একজন মহিলা কাউন্সিলর গত ১২ জুলাই বেরিয়ে এসে বনগা থানায় এই দুজনের বিরুদ্ধে তাকে কিডন্যাপ করা ও তার থেকে মোটা টাকা নেওয়ার অভিযোগ দায়ের করেছে। পুলিশ এদের খুজছে। সেই জন্যই আজ তারা আগাম জামিনের আবেদন নিয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন। "

প্রসঙ্গত গত ১১ জুলাই কলকাতা হাইকোর্ট ৭২ ঘন্টার মধ্যে বনগা পুরসভায় অনাস্থাপ্রস্তাব আনার প্রক্রিয়া শুরু করার নির্দেশ দেয়।পাশাপাশি হাইকোর্ট জানায়
এক সপ্তাহের মধ্যে প্রক্রিয়া শেষ করতে হবে।এবং প্রশাসন এই প্রক্রিয়ায় সহায়তা করবে।সেইমতো আগামীকাল বেলা তিন্টের সময় আস্থা ভোট।

এর আগে গত ৭ জুন নিজেদের দলেরই পুরপ্রধানের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে অনাস্থা প্রস্তাব আনে তৃণমূলেরই ১১ জন কাউন্সিলর। বনগাঁ পুরসভার চেয়ারম্যান শঙ্কর আঢ্যর বিরুদ্ধে মহকুমাশাসকের দফতরে গিয়ে অনাস্থাপত্র জমা দেন কাউন্সিলররা। কারন পুরপ্রধান দুর্নীতি ও নানা অনৈতিক কাজের সঙ্গে যুক্ত। যদিও এরপর পরই ১২ জন কাউন্সিলর বিজেপিতে যোগদান করেন।
সঙ্গে সঙ্গে রাজ্য সরকারও বনগা পুরসভায় প্রসাসক বসানোর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। প্রসাসক বসানোর সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধেই গত ৮ জুলাই কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল বিজেপিতে যোগদানকারী কাউন্সিলররা।




Conclusion:
Last Updated : Jul 22, 2019, 8:04 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.