কলকাতা, 15 ডিসেম্বর: বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন কাউন্সেলররা । যাঁরা হাসপাতালে ভর্তি বিভিন্ন রোগীকে মানসিক ভাবে সুস্থ রাখতে স্বচেষ্ট হন । সেই কাউন্সেলররা নিজেরা কতটা ভালো আছেন? সেই নিয়ে প্রশ্ন থেকে যাচ্ছে । কারণ, রাজ্যের বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালের হাজারের বেশি কাউন্সেলরদের এখনও মেলেনি সরকারি স্বীকৃতি । তাঁরা রয়ে গিয়েছেন চুক্তিভিত্তিকই । তাই নিজেদের প্রাপ্যটুকু বুঝে নিতেই বাংলা কাউন্সেলর দিবস পালন করল হেলথ সার্ভিস কাউন্সেলর অ্যাসোসিয়েশন। সরকারের কাছে তাঁদের আবেদন, সরকারি স্বীকৃতির ।
রাজ্যের বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালের প্রায় 1500 কাউন্সেলর রয়েছেন। যারা দীর্ঘদিন চুক্তিভিত্তিক ভাবে পরিষেবা দিচ্ছেন সাধারণ মানুষকে। সহায়তা করছে রোগী ও রোগীর পরিবারকে। শুনছেন রোগীর মনের কথা, সারিয়ে তুলছেন মনের রোগ। কিন্তু নিজেদের অধিকার থেকেই ব্রাত্য তাঁরা। কারোর বয়স 50 পার, কেউ বা নতুন। তবে সকলেই চুক্তিভিত্তিক। দীর্ঘদিন ধরে রাজ্য সরকারের অধীনে কাজ করলেও সরকারি কোনো তকমা পাননি বাংলার সরকারি হাসপাতালের কাউন্সেলররা।
তাই রাজ্যের বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালের কাউন্সেলররা শুক্রবার মিলিত হয়েছিলেন ক্যালকাটা ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজে। সেখানেই একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন হেলথ সার্ভিস কাউন্সেলর অ্যাসোসিয়েশন । বাংলা কাউন্সেলর দিবসের পাশাপাশি রাজ্য সরকারের কাছে আবেদন জানান তাঁরা। এ বিষয়ে কাউন্সেলর তথা অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক অরুণ মান্না বলেন, " প্রায় কুড়ি বছর ধরে আমরা কাজ করছি। শিক্ষাগত যোগ্যতা আমাদের রয়েছে তার পরেও আমরা সরকারের তরফে দেখছি একটা অবমূল্যায়ন হচ্ছে আমাদের উপর। সরকারি বেতনের পাশাপাশি বেশ কিছু বিষয় থেকে আমরা ব্রাত্য। তাই আমরা সরকার তথা স্বাস্থ্য ভবনের কাছে অনুরোধ করছি যদি আমাদের বিষয়টা তাদের খতিয়ে দেখেন।"
কোন মিছিল -মিটিং-আন্দোলন নয়, রাজ্য সরকারের কাছে তাঁরা নিজেদের দাবি তুলে ধরতে চেয়েছেন এভাবেই। তাই বাংলা কাউন্সেলর দিবস হিসেবে একটি দিন তারা পালন করেন। এর পাশাপাশি তাঁরা জানান, আগামী দিনে অ্যাসোসিয়েশনের প্রধান হিসেবে দায়িত্বে আসছেন মেয়র পারিষদ দেবাশিস কুমার। তাঁর মাধ্যমেও স্বাস্থ্য ভবনের কাছে সরকারি স্বীকৃতির দাবি তুলে ধরার জন্য অনুরোধ করা হবে।