কলকাতা, 17 এপ্রিল : লকডাউনের পরও ভিড় হচ্ছে বাজারগুলিতে । অনেক ক্ষেত্রেই মানা হচ্ছে না সামাজিক দূরত্ব । তাই এবার কড়া পদক্ষেপ কলকাতা পুলিশের। ইতিমধ্যে বাজারগুলিকে স্থানীয় পার্কে স্থানান্তরিত করার চিন্তাভাবনা শুরু হয়েছে । আজই বাগমারি বাজারকে সরিয়ে দেওয়া হল স্থানীয় পার্কে।
আজ নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী কলকাতা, হাওড়া, হুগলি, উত্তর 24 পরগনাকে বিশেষ স্পর্শকাতর হিসেবে দেখার জন্য অনুরোধ করেছেন জেলা প্রশাসনগুলিকে । এর আগে কেন্দ্রীয় সরকার এই চার জেলাসহ মোট 12টি জেলাকে রেড জ়োন হিসেবে চিহ্নিত করেছিল। বর্তমান পরিস্থিতিতে বাজারগুলিতে বিশেষভাবে নজরদারির জন্য পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী । প্রয়োজনে সশস্ত্র পুলিশ দিয়ে বাজার নিয়ন্ত্রণ করার কথাও বলেছেন তিনি । অন্যদিকে শুরু হচ্ছে র্যাপিড টেস্ট। অর্থাৎ কোরোনা আক্রান্ত সবাইকে চিহ্নিত করে চিকিৎসা শুরুর মরিয়া চেষ্টা। জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণে প্রধানমন্ত্রী স্পষ্ট করে দিয়েছেন, যেসব এলাকায় কোরোনা এখনও পর্যন্ত সংক্রমণ ঘটাতে পারেনি, সেই সব জায়গায় সংক্রমণ ঘটলে ভবিষ্যতে সেগুলিকেও রেড জ়োন হিসেবে চিহ্নিত করে বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সেটা কোনওভাবেই হতে দিতে চায় না রাজ্য প্রশাসন। আর তাই আজ নবান্নে ভিডিয়ো কনফারেন্সে হাওড়ার জেলাশাসককে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, "আগামী 14 দিনের মধ্যে আমি হাওড়াকে গ্রিন জ়োন দেখতে চাই। প্রয়োজনে সশস্ত্র পুলিশ দিয়ে বাজারগুলিকে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।"
বিষয়টি নিয়ে আগেই চিন্তাভাবনা শুরু করে দিয়েছিল কলকাতা পুলিশ। বিভিন্ন থানার তরফে স্থানীয় বাজার কমিটিগুলির সঙ্গে বারবার কথা বলা হয়েছে। বাজারগুলিকে স্থানীয় কোনও খোলা জায়গায় স্থানান্তরিত করার কথা বলা হয়েছে। প্রথমেই বাগমারি বাজারকে বাগমারি পার্কে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। সেখানে নির্দিষ্ট দূরত্ব বজায় রেখে বসছেন দোকানদাররা। আগামীকাল থেকে সামাজিক দূরত্ব মানার বিষয়টি নিশ্চিত করবে পুলিশ। আগামী দিনে আরও বাজারকে সরিয়ে দেওয়া হবে স্থানীয় পার্কগুলিতে। পুলিশ সূত্রে খবর, এবিষয়ে সবুজসংকেত মিলেছে পৌরনিগমের তরফেও ।