কলকাতা, 28 এপ্রিল : করোনার দ্বিতীয় তরঙ্গের ভয়াবহ রূপ ধারণ করেছে কলকাতা সহ গোটা রাজ্যে । প্রতিদিনই লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা । কলকাতাতেই গড়ে তিন থেকে সাড়ে তিন হাজার মানুষ প্রায় প্রতিদিন আক্রান্ত হচ্ছেন । কলকাতা হাসপাতালগুলিতে তিল ধারণের জায়গা নেই । সরকারি রিপোর্ট অনুযায়ী প্রতি 2 জনের আরটিপিসিআর টেস্টে 1 জন করে করোনা আক্রান্তের খবর পাওয়া যাচ্ছে ৷ ফলে পরিস্থিতি আরও ঘোরালো হচ্ছে ৷
সরকারি হোক বা বেসরকারি হাসপাতাল সর্বত্রই বেডের জন্য হাহাকার । ইতিমধ্যেই কলকাতা পৌরনিগম বেশ কয়েকটি জায়গায় কোয়ারানটিন সেন্টার তৈরি করেছে । রাজ্য সরকার সমস্ত হাসপাতালে বেডের সংখ্যা বাড়ানোর নির্দেশ দিয়েছে । গতকালই রাজ্য সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে পরিস্থিতি সামাল দিতে কিশোর ভারতী স্টেডিয়ামকে হাসপাতালে পরিণত করা হবে ।
কৌশিক লাহিড়ী এই পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে জানিয়েছেন, রাজ্য সরকার বহু চেষ্টা করছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে । সেই সঙ্গে বেসরকারি হাসপাতালগুলোতে প্রচুর সংখ্যক বেড বাড়িয়ে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে । তবে আইসিসিইউ, ভেন্টিলেটর এগুলির সংখ্যা ইচ্ছে মতো বাড়ানো যায় না। সেই সঙ্গে আরও একটি বড় সমস্যা হচ্ছে ডাক্তার নার্স ও চিকিৎসা কর্মীর সংখ্যা পর্যাপ্ত নয় । চাইলেও সেই সংখ্যা বাড়ানো সম্ভব নয়। বড় বড় হাসপাতালগুলি চেষ্টা করছে 60 থেকে 80 শতাংশ বেড শুধু করোনা আক্রান্তদের জন্য করে দেওয়া হচ্ছে ।
আরও পড়ুন : করোনা আক্রান্ত অভিনেত্রী অনামিকা সাহা
চিকিৎসক পুণ্যব্রত গুণ জানিয়েছেন কলকাতার করোনার অবস্থা খুবই খারাপ। যে কোনও মহামারীতে দ্বিতীয় ঢেউয়ের ক্ষমতা অনেক বেশি থাকে । গত বছর পরিবারে একজন বা দু'জনের করোনায় আক্রান্ত হয়েছে। কিন্তু এ বছর একই পরিবারের প্রায় সকল সদস্য একসঙ্গেই করোনায় আক্রান্ত হচ্ছেন। অনেকক্ষেত্রেই হাসপাতালের বেড খালি আছে বলে বলা হলেও আসলে হাসপাতালগুলোতে থাকছে না। তিনি বলেন বাড়িতেই থেকে অনেক সময় করোনার চিকিৎসা করা সম্ভব নয়। তাই আক্রান্তদের লাইফ সাপোর্টে রাখার জন্য হাসপাতালে ভর্তি করার ব্যবস্থা করা উচিত ।