ETV Bharat / state

ছুটির 1 ঘণ্টা আগে অফিস ছাড়ুন, কোরোনা সতর্কতায় সরকারি কর্মীদের বার্তা মমতার

author img

By

Published : Mar 18, 2020, 5:15 PM IST

Updated : Mar 18, 2020, 8:06 PM IST

আগামীকাল থেকে বিকেল চারটেয় অফিস থেকে বেরোবেন সরকারি কর্মচারীরা।

ছবি
ছবি

কলকাতা, 18 মার্চ : এবার ছুটির একঘণ্টা আগেই অফিস ছাড়তে পারবেন সরকারি কর্মচারীরা । লক্ষ্য একটাই কোরোনা ঠেকাতে ভিড় এড়ানো । আজ নবান্নের একটি অনুষ্ঠানে একথা জানিয়ে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী স্বয়ং । মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "এবার বাসে-ট্রেনে ভিড় এড়াতে 1 ঘণ্টা আগে থেকেই অফিস ছাড়তে হবে সরকারি কর্মচারীদের ।" অর্থাৎ এখন থেকে বিকেল চারটের সময় ছুটি হবে সরকারি অফিস । 31 মার্চ পর্যন্ত এই নির্দেশিকা কার্যকর থাকবে বলে আজ নবান্নের তরফে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে ।

মোটামুটি বিকেল পাঁচটা নাগাদ ছুটি হয় শহরের সরকারি অফিসগুলি । তারপরই শহরের ছবিটা খুব চেনা । বাসে-ট্রেনে রীতিমতো বাদুড়ঝোলা অবস্থা । বাড়ি ফিরতে বেহাল দশা হয় অফিস কর্মীদের । এখন মার্চ মাস । গরমের মধ্যে বাড়ি ফিরতে ঘেমে-নেয়ে নাস্তানাবুদ হতে হয় । কখনও একটি সিটেই একজনের উপর একজন বসে, কখনও বা পায়ের উপর পা দিয়ে দাঁড়িয়ে ফিরতে হয় ঘরে । ভিড়ের চাপে একে অন্যের ঘাড়ে গিয়ে পড়েন । শুধু বাস-লঞ্চ নয় একই ছবি লোকাল ট্রেনগুলিতেও । শুধু যানবাহনই বা কেন ? ছুটির সময় ধর্মতলা-বিবাদী বাগ-রাসবিহারি বা নবান্ন চত্বরে তিল ধারণের জায়গা থাকে না । এদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা স্পষ্ট করেছে, কোরোনা ভাইরাস সংক্রমণ রুখতে ভিড় এড়িয়ে চলতে হবে । WHO-র এই নির্দেশ মেনে চলছে কেন্দ্র ও প্রতিটি রাজ্য সরকার । রাজ্যের তরফে যে নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে, তাতেও কোরোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে ভিড় এড়িয়ে যেতে বলা হচ্ছে । তারপরই মুখ্যমন্ত্রীর এমন ঘোষণা । নবান্নের এক অনুষ্ঠান থেকে তাঁর পরামর্শ, আগামীকাল থেকে ছুটি হওয়ার এক ঘণ্টা আগেই অফিস ছাড়ুন সরকারি কর্মচারীরা । যাতে বাসে-ট্রেনে ভিড় কমানো যায় । এনিয়ে পরে নবান্নের তরফে একটি বিজ্ঞপ্তিও জারি করা হয় । জানিয়ে দেওয়া হয়, পৌরসভা, পঞ্চায়েত, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, কর্পোরেশন এবং সরকারের অধিগৃহীত সংস্থাগুলিতেও এই নিয়ম কার্যকর হবে ।

image
নবান্নের তরফে জারি করা বিজ্ঞপ্তি

একইসঙ্গে একাধিক প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে বিরোধী শিবিরে । তাঁদের মূল অভিযোগ রাজ্যের কর্মসংস্কৃতি-কর্মদিবস নিয়ে । প্রতিদিন যদি একঘণ্টা আগে অফিস থেকে বেরিয়ে যান কোনও কর্মী, তাহলে বছর শেষে কর্মদিবস নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা নেই তো? সেক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট কর্মীর প্রাপ্য ছুটি-বেতনের ক্ষেত্রে কোনও প্রভাব পড়বে না তো ? একইসঙ্গে বিরোধীদের প্রশ্ন তাহলে সকালে অফিস শুরুর সময় যখন একইসঙ্গে সব কর্মী যাচ্ছেন, তখন কী হবে ? মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্যের পরে বিরোধীরা বলছেন এটা আসলে সরকারি কর্মীদের বাড়তি ছুটি দেওয়ার পদক্ষেপ মাত্র । তাঁদের প্রস্তাব, যদি একঘণ্টা আগে ছুটি দেওয়া হয়, তাহলে অফিস টাইম আরও একঘণ্টা আগে এগিয়ে আনা যেতে পারত । শিফটের সময় পরিবর্তনের মাধ্যমে এড়িয়ে যাওয়া যেত ভিড় । সেক্ষেত্রে কর্মদিবস বা কর্মসংস্কৃতি নষ্টের কোনও প্রশ্ন উঠত না । রাজ্য সরকারের প্রদেয় ছুটির ক্যালেন্ডারে চোখ রাখলে দেখা যায়, দেশের মধ্যে পশ্চিমবঙ্গের সরকারি ছুটির পরিমাণ সবথেকে বেশি । তারউপর ইতিমধ্যেই কোরোনা আতঙ্কে ছুটির পরিমাণ বেড়েছে । আজ মুখ্যমন্ত্রীর একঘণ্টা আগে অফিস ছাড়ার কথা বলাতেই এমনই সব প্রশ্ন উঠতে শুরু করল ।

কলকাতা, 18 মার্চ : এবার ছুটির একঘণ্টা আগেই অফিস ছাড়তে পারবেন সরকারি কর্মচারীরা । লক্ষ্য একটাই কোরোনা ঠেকাতে ভিড় এড়ানো । আজ নবান্নের একটি অনুষ্ঠানে একথা জানিয়ে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী স্বয়ং । মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "এবার বাসে-ট্রেনে ভিড় এড়াতে 1 ঘণ্টা আগে থেকেই অফিস ছাড়তে হবে সরকারি কর্মচারীদের ।" অর্থাৎ এখন থেকে বিকেল চারটের সময় ছুটি হবে সরকারি অফিস । 31 মার্চ পর্যন্ত এই নির্দেশিকা কার্যকর থাকবে বলে আজ নবান্নের তরফে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে ।

মোটামুটি বিকেল পাঁচটা নাগাদ ছুটি হয় শহরের সরকারি অফিসগুলি । তারপরই শহরের ছবিটা খুব চেনা । বাসে-ট্রেনে রীতিমতো বাদুড়ঝোলা অবস্থা । বাড়ি ফিরতে বেহাল দশা হয় অফিস কর্মীদের । এখন মার্চ মাস । গরমের মধ্যে বাড়ি ফিরতে ঘেমে-নেয়ে নাস্তানাবুদ হতে হয় । কখনও একটি সিটেই একজনের উপর একজন বসে, কখনও বা পায়ের উপর পা দিয়ে দাঁড়িয়ে ফিরতে হয় ঘরে । ভিড়ের চাপে একে অন্যের ঘাড়ে গিয়ে পড়েন । শুধু বাস-লঞ্চ নয় একই ছবি লোকাল ট্রেনগুলিতেও । শুধু যানবাহনই বা কেন ? ছুটির সময় ধর্মতলা-বিবাদী বাগ-রাসবিহারি বা নবান্ন চত্বরে তিল ধারণের জায়গা থাকে না । এদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা স্পষ্ট করেছে, কোরোনা ভাইরাস সংক্রমণ রুখতে ভিড় এড়িয়ে চলতে হবে । WHO-র এই নির্দেশ মেনে চলছে কেন্দ্র ও প্রতিটি রাজ্য সরকার । রাজ্যের তরফে যে নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে, তাতেও কোরোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে ভিড় এড়িয়ে যেতে বলা হচ্ছে । তারপরই মুখ্যমন্ত্রীর এমন ঘোষণা । নবান্নের এক অনুষ্ঠান থেকে তাঁর পরামর্শ, আগামীকাল থেকে ছুটি হওয়ার এক ঘণ্টা আগেই অফিস ছাড়ুন সরকারি কর্মচারীরা । যাতে বাসে-ট্রেনে ভিড় কমানো যায় । এনিয়ে পরে নবান্নের তরফে একটি বিজ্ঞপ্তিও জারি করা হয় । জানিয়ে দেওয়া হয়, পৌরসভা, পঞ্চায়েত, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, কর্পোরেশন এবং সরকারের অধিগৃহীত সংস্থাগুলিতেও এই নিয়ম কার্যকর হবে ।

image
নবান্নের তরফে জারি করা বিজ্ঞপ্তি

একইসঙ্গে একাধিক প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে বিরোধী শিবিরে । তাঁদের মূল অভিযোগ রাজ্যের কর্মসংস্কৃতি-কর্মদিবস নিয়ে । প্রতিদিন যদি একঘণ্টা আগে অফিস থেকে বেরিয়ে যান কোনও কর্মী, তাহলে বছর শেষে কর্মদিবস নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা নেই তো? সেক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট কর্মীর প্রাপ্য ছুটি-বেতনের ক্ষেত্রে কোনও প্রভাব পড়বে না তো ? একইসঙ্গে বিরোধীদের প্রশ্ন তাহলে সকালে অফিস শুরুর সময় যখন একইসঙ্গে সব কর্মী যাচ্ছেন, তখন কী হবে ? মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্যের পরে বিরোধীরা বলছেন এটা আসলে সরকারি কর্মীদের বাড়তি ছুটি দেওয়ার পদক্ষেপ মাত্র । তাঁদের প্রস্তাব, যদি একঘণ্টা আগে ছুটি দেওয়া হয়, তাহলে অফিস টাইম আরও একঘণ্টা আগে এগিয়ে আনা যেতে পারত । শিফটের সময় পরিবর্তনের মাধ্যমে এড়িয়ে যাওয়া যেত ভিড় । সেক্ষেত্রে কর্মদিবস বা কর্মসংস্কৃতি নষ্টের কোনও প্রশ্ন উঠত না । রাজ্য সরকারের প্রদেয় ছুটির ক্যালেন্ডারে চোখ রাখলে দেখা যায়, দেশের মধ্যে পশ্চিমবঙ্গের সরকারি ছুটির পরিমাণ সবথেকে বেশি । তারউপর ইতিমধ্যেই কোরোনা আতঙ্কে ছুটির পরিমাণ বেড়েছে । আজ মুখ্যমন্ত্রীর একঘণ্টা আগে অফিস ছাড়ার কথা বলাতেই এমনই সব প্রশ্ন উঠতে শুরু করল ।

Last Updated : Mar 18, 2020, 8:06 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.