ETV Bharat / state

কোরোনা আক্রান্তের ডেথ সার্টিফিকেট দেবে কে ? হয়রান পরিজনেরা

মঙ্গলবার স্বাস্থ্য দপ্তর জানায় তার করোনা পজিটিভ । ওই বেসরকারি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ রোগীর পরিবারকে কোভিদ হাসপাতালে নিয়ে যেতে বলে। সেইমতো মঙ্গলবার রোগীকে নিয়ে তার পরিবার প্রথমে এমআর বাঙুর হাসপাতলে নিয়ে যায়। কিন্তু সেখানে বেড না থাকায় তাকে রাত আড়াইটে নাগাদ নিয়ে আসা হয় ফুলেশ্বরের সঞ্জীবন হাসপাতালএ। কিন্তু হাসপাতালে নিয়ে আসার পথেই ওই রোগীর মৃত্যু হয়। যেহেতু ভর্তির আগে রোগীর মৃত্যু হয়েছে, তাই সঞ্জীবন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ডেথ সার্টিফিকেট দিতে অস্বীকার করে।

corona
corona
author img

By

Published : Aug 20, 2020, 2:31 AM IST

কলকাতা , 20 অগাস্ট : কোরোনা আক্রন্তের দেহ সৎকার নিয়ে 15 ঘণ্টা টানাপোড়েন খোদ কলকাতায় । শেষে স্বাস্থ্য দফতরের সহযোগিতায় ওই রোগীর দেহ সৎকার করে কলকাতা পুরসভা। শ্বাসকষ্ট নিয়ে রবিবার মানিকতলার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হন মলি ঘোষ। তার বাড়ি কলকাতার বেথুন কলেজের কাছে। গত সোমবার ওই মহিলার লালারসের নমুনা পাঠায় হাসপাতাল।

মঙ্গলবার স্বাস্থ্য দপ্তর জানায় তার করোনা পজিটিভ । ওই বেসরকারি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ রোগীর পরিবারকে কোভিদ হাসপাতালে নিয়ে যেতে বলে। সেইমতো মঙ্গবার রোগীকে নিয়ে তার পরিবার প্রথমে এমআর বাঙুর হাসপাতলে নিয়ে যায়। কিন্তু সেখানে বেড না থাকায় তাকে রাত আড়াইটে নাগাদ নিয়ে আসা হয় ফুলেশ্বরের সঞ্জীবন হাসপাতালএ। কিন্তু হাসপাতালে নিয়ে আসার পথেই ওই রোগীর মৃত্যু হয়। যেহেতু ভর্তির আগে রোগীর মৃত্যু হয়েছে, তাই সঞ্জীবন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ডেথ সার্টিফিকেট দিতে অস্বীকার করে।

এর পর মৃতের পরিবার ফের দেহ নিয়ে মঙ্গলবার ভোরবেলায় মানিকতলার ওই বেসরকারি হাসপাতালে ফিরে আসে । কিন্তু ওই হাসপাতাল ডেথ সার্টিফিকেট না দিলে আবার মৃতদেহ নিয়ে যাওয়া হয় ফুলেশ্বরের সঞ্জীবন হাসপাতলে। মৃতের পরিবার এই ঘটনায় চূড়ান্ত হয়রানির অভিযোগ করেছে। তাদের আরও অভিযোগ মোটা টাকা অ্যাম্বুলেন্স ভাড়া দিতে হয়েছে।

শেষ পর্যন্ত সঞ্জীবন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ স্বাস্থ্য দপ্তরের সঙ্গে যোগাযোগ করে দেহ সৎকারের বন্দোবস্ত করে। ওই হাসপাতালের ডিরেক্টর শুভাশিস মিত্র বলেন," তাঁরা রোগীর চিকিৎসা না করে ডেথ সার্টিফিকেট দিতে পারেন না। এক্ষেত্রে ওই রোগী আগে যেখানে ভর্তি ছিল তাদেরই ডেট সার্টিফিকেট ইস্যু করা উচিত ছিল ।"

কলকাতা , 20 অগাস্ট : কোরোনা আক্রন্তের দেহ সৎকার নিয়ে 15 ঘণ্টা টানাপোড়েন খোদ কলকাতায় । শেষে স্বাস্থ্য দফতরের সহযোগিতায় ওই রোগীর দেহ সৎকার করে কলকাতা পুরসভা। শ্বাসকষ্ট নিয়ে রবিবার মানিকতলার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হন মলি ঘোষ। তার বাড়ি কলকাতার বেথুন কলেজের কাছে। গত সোমবার ওই মহিলার লালারসের নমুনা পাঠায় হাসপাতাল।

মঙ্গলবার স্বাস্থ্য দপ্তর জানায় তার করোনা পজিটিভ । ওই বেসরকারি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ রোগীর পরিবারকে কোভিদ হাসপাতালে নিয়ে যেতে বলে। সেইমতো মঙ্গবার রোগীকে নিয়ে তার পরিবার প্রথমে এমআর বাঙুর হাসপাতলে নিয়ে যায়। কিন্তু সেখানে বেড না থাকায় তাকে রাত আড়াইটে নাগাদ নিয়ে আসা হয় ফুলেশ্বরের সঞ্জীবন হাসপাতালএ। কিন্তু হাসপাতালে নিয়ে আসার পথেই ওই রোগীর মৃত্যু হয়। যেহেতু ভর্তির আগে রোগীর মৃত্যু হয়েছে, তাই সঞ্জীবন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ডেথ সার্টিফিকেট দিতে অস্বীকার করে।

এর পর মৃতের পরিবার ফের দেহ নিয়ে মঙ্গলবার ভোরবেলায় মানিকতলার ওই বেসরকারি হাসপাতালে ফিরে আসে । কিন্তু ওই হাসপাতাল ডেথ সার্টিফিকেট না দিলে আবার মৃতদেহ নিয়ে যাওয়া হয় ফুলেশ্বরের সঞ্জীবন হাসপাতলে। মৃতের পরিবার এই ঘটনায় চূড়ান্ত হয়রানির অভিযোগ করেছে। তাদের আরও অভিযোগ মোটা টাকা অ্যাম্বুলেন্স ভাড়া দিতে হয়েছে।

শেষ পর্যন্ত সঞ্জীবন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ স্বাস্থ্য দপ্তরের সঙ্গে যোগাযোগ করে দেহ সৎকারের বন্দোবস্ত করে। ওই হাসপাতালের ডিরেক্টর শুভাশিস মিত্র বলেন," তাঁরা রোগীর চিকিৎসা না করে ডেথ সার্টিফিকেট দিতে পারেন না। এক্ষেত্রে ওই রোগী আগে যেখানে ভর্তি ছিল তাদেরই ডেট সার্টিফিকেট ইস্যু করা উচিত ছিল ।"

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.