কলকাতা, 18 এপ্রিল : লকডাউন অমান্য করে রাস্তায় । সাবধান ! পড়তে পারেন ভূতের মুখে । তবে শুধু ভূত নয়। পাশে দাঁড়িয়ে যমরাজ । বিশালাকার চেহারা । কাঁধে গদা, মাথা ভরা ঝাঁকড়া চুল। ইতিমধ্য়েই যাঁরা রাস্তা বেরিয়েছেন, সবাইকে তাড়িয়ে ঘরে ঢোকানো হচ্ছে । কোরোনা সচেতনতায় এবার অভিনব প্রচার প্রশাসনের । এগিয়ে এসেছেন যাত্রাপাড়ার শিল্পীরা । টালিগঞ্জ, ভবানীপুর, রাজা দীনেন্দ্র স্ট্রিট, শোভাবাজার, শ্যামবাজার, মানিকতলা চত্বরে সকাল থেকেই নানা সাজে ঘুরে বেড়াচ্ছেন তাঁরা । কেউ সেজেছেন ভূত । কেউ বা রাক্ষস সেজে নখদন্ত বার করে ভয় দেখাচ্ছেন মানুষকে।
দিন দিন আরও বাড়ছে কোরোনা সংক্রমণ । লকডাউনের সময়সীমাও বাড়ানো হয়েছে । এই পরিস্থিতিতে নানাভাবে সাধারণ মানুষকে সচেতন করছে প্রশাসন । বারবার বলা হচ্ছে, অযথা কেউ যাতে বাইরে ঘুরে না বেড়ান । তারপরও শহরের নানা জায়গায় উদ্দেশ্যহীনভাবে এদিক ওদিক ঘুরে বেড়াচ্ছেন মানুষজন । এবার তাঁদের সচেতন করতে অভিনব উদ্যোগ প্রশাসনের । এগিয়ে এসেছেন যাত্রাপাড়ার শিল্পীরাও । নানা এলাকায় বহু বহুরূপীও পথে নেমেছেন ।
নদিয়ার মদনপুরের রাউতাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েত থেকে এসেছেন সুনীল সর্দার। ভূতের সাজে শহরের মানুষকে ভয় দেখিয়ে ঘরে ঢোকাচ্ছেন তিনি। সুনীল সর্দার বলেন, "ভূত ও যমরাজ সেজে মানুষকে ভয় দেখানোর একটাই কারণ সবাই যাতে ঘরে থাকে । লকডাউন অমান্য করে রাস্তায় বেরোলেই কোরোনা আক্রান্ত হওয়ার প্রবল সম্ভাবনা । মৃত্যুও ঘটতে পারে। মৃত্যুর পর নয়, জীবন্ত অবস্থাতেই তাই যমরাজকে দর্শন। এর অর্থ সতর্ক নাহলে ভয়ঙ্কর বিপদ।"
সকালবেলা উঠে ছাতু আর মুড়ি খেয়ে শহরের লকডাউন অমান্যকারী মানুষকে ভয় দেখিয়ে চলেছেন সুনীল সর্দার। এদিকে আচমকা ভূত দেখে এদিক ওদিক ছুটছেন অনেকে। পরে নিচ্ছেন সচেতনতার শিক্ষা ।