নয়াদিল্লি, 7 জুন: অভিশপ্ত দুর্ঘটনার রেশ এখনও কাটেনি ৷ আতঙ্কিত আমজনতা ৷ শুক্রবারের পর 7 জুন ফের যাত্রা শুরু করবে শালিমার-চেন্নাই করমণ্ডল এক্সপ্রেস ৷ রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক আদিত্য কুমার চৌধুরী বলেন, "বুধবার থেকে করমণ্ডল এক্সপ্রেস চালু হবে ৷" এর আগে মঙ্গলবারই ওড়িশার বালাসোরের দুর্ঘটনাস্থলের উপর দিয়ে গিয়েছে ডাউন করমণ্ডল এক্সপ্রেস ৷
চেন্নাই থেকে রওনা দেওয়া এই এক্সপ্রেস ট্রেনটির গতি ছিল 30 কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা ৷ শুক্রবারের দুর্ঘটনার পর থেকে তড়িঘড়ি উদ্ধারকার্য থেকে শুরু করে রেল লাইন মেরামতির কাজ শুরু হয় ৷ দুর্ঘটনার 51 ঘণ্টা পরেই রেললাইন ঠিকঠাক করে ফেলে রেলমন্ত্রক ৷ রবিবার রাতে দুর্ঘটনাস্থল দিয়ে একটি মালবাহী ট্রেন প্রথম যাত্রা শুরু করে ৷ সেই সময় খোদ রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব উপস্থিত ছিলেন ৷ তারপর থেকে 70টিরও বেশি ট্রেন বাহানাগা বাজার স্টেশনের আপ ও ডাউন লাইন অতিক্রম করেছে ৷ এর মধ্যে ছিল বন্দে ভারত এক্সপ্রেসও ৷
সূত্রের খবর, 2 জুন শালিমার-চেন্নাইগামী করমণ্ডল এক্সপ্রেস একটি মালবাহী ট্রেনকে ধাক্কা মারে৷ এতে ওই করমণ্ডলের বেশ কয়েকটি বগি লাইনচ্যুত হয়ে পাশের ট্র্যাকে ছিটকে পড়ে, কয়েকটি ওই মালবাহী ট্রেনের উপরে উঠে যায়৷ সেই সময় পাশের ট্র্যাকটি দিয়ে ডাউন যশবন্তপুর এক্সপ্রেস আসছিল ৷ এর সঙ্গে করমণ্ডলের ফের ধাক্কা লাগে ৷ করমণ্ডল এক্সপ্রেসেরই ক্ষতি সবচেয়ে বেশি হয়েছে ৷ প্রায় 21টি বগি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ৷ এই দুর্ঘটনায় মৃতের সংখ্যা 288 ৷ আহত 1 হাজারের বেশি বলে অনুমান করা হচ্ছে ৷
আরও পড়ুন: 4 দিন পর বাহানাগা পেরলো করমণ্ডল, বুধে শালিমার থেকে ছাড়বে নির্দিষ্ট সময়ে
এই ঘটনার কারণ হিসেবে সিগন্যালে গাফিলতির কথা উল্লেখ করা হয়েছে ৷ রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব নিজে ইন্টারলকিং সিস্টেমের পরিবর্তনের কথা বলেছেন ৷ এদিকে তিন-তিন বারের রেলমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ট্রেনে অ্যান্টি-কলিশন ডিভাইস লাগানো ছিল বলে অভিযোগ করেছেন ৷এই অবস্থায় কেন্দ্রীয় সরকার সিবিআই তদন্তের সিদ্ধান্ত নেয় ৷ মঙ্গলবার এই দুর্ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা ৷ ইতিমধ্যে এফআইআর দায়ের করেছে এই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ৷ 10 সদস্যের একটি তদন্তকারী দল গঠন করা হয়েছে বলে খবর ৷