কলকাতা, 14 ডিসেম্বর: শিক্ষামন্ত্রী তথা উচ্চশিক্ষা দফতরের চেয়ারম্যান ব্রাত্য বসুর সঙ্গে বৈঠক করেও কাটেনি জট। তাই অনিশ্চয়তায় যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে সমাবর্তন অনুষ্ঠান । কর্মসমিতির বৈঠক এবং কোর্টের নির্দেশ না আসায় এখনও আটকে পড়ুয়াদের শংসাপত্র । 24 ডিসেম্বর যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে সমাবর্তন অনুষ্ঠান সম্ভব কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে ।
24 ডিসেম্বর যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে সমাবর্তন অনুষ্ঠান হওয়ার কথা ছিল । যদিও এই বিষয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু ঘোষণা করা হয়নি । শোনা গিয়েছিল, এই সমাবর্তন অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকতে পারেন ইউজিসির চেয়ারম্যান । কিন্তু সেই বৈঠকের দিন নিয়েই এখনও অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে । এই সমাবর্তন অনুষ্ঠানের প্রধান লক্ষ্য হল, পড়ুয়াদের শংসাপত্র দেওয়া । এই শংসাপত্র দিতে প্রয়োজন হয় কর্মসমিতির ও কোর্ট বৈঠকের । উচ্চশিক্ষা দফতরের অনুমতি না মেলায় কর্মসমিতির বৈঠক নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে ৷ অন্যদিকে রাজ্যপালের তরফ থেকেও এই ব্যাপারে কিছুই জানানো হয়নি । আচার্য তথা রাজ্যপালের তরফ থেকেও কোনও বৈঠকের অনুমতি মেলেনি । সমস্যায় যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন অনুষ্ঠান ৷
প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় কর্ম সমিতির বৈঠক হয় রাজ্য সরকারের অনুমতি ছাড়াই । আচার্যের থেকে আইনি ব্যাখা নিয়ে কর্ম সমিতির বৈঠক করেন । তবে কি এবারও সেই পথে অবলম্বন করতে চলেছে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় ? এই বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্বর্তী উপাচার্য বুদ্ধদেব সাউ বলেন, "আমাদের কোনও আইনি ব্যাখ্যা প্রয়োজন নেই । আমরা রাজ্য সরকারের অনুমতির জন্য অপেক্ষা করব । আমার মনে হয় জনসাধারণ এই সরকারকে নির্ধারণ করেছে তাই এই সরকারকে উপেক্ষা করার কোনও প্রয়োজন নেই । তাই আমরা অপেক্ষা করছি দু’দিক থেকেই কবে অনুমতি আসবে। কিন্তু যতক্ষণ না কোর্ট ও কর্ম সমিতির বৈঠক হচ্ছে তার আগে আমরা সমাবর্তন অনুষ্ঠান করবো না ।"
এই অনিশ্চিয়তার জেরেই আচার্য তথা রাজ্যপাল ও শিক্ষামন্ত্রীকে খোলা চিঠি দিল জুটা। সেই চিঠির মাধ্যমে তাঁরা আবেদন জানিয়েছেন, এই সমাবর্তন অনুষ্ঠান যেন যথা সময়ে তাঁরা করতে পারেন। চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, " ছাত্রছাত্রীদের আবেগ ও ভবিষ্যতের কথা বিবেচনা করে বৈধ ডিগ্রী ও সংসদ পত্র তারা যাতে যথাসময়ে পায়, সেজন্য আপনাদের সকলের কাছে আমরা শিক্ষক সমাজের পক্ষ থেকে সনির্বন্ধ অনুরোধ জানাচ্ছি।"
আরও পড়ুন: