ETV Bharat / state

ছন্দে ফিরছে কাপড়ের ব্যবসা, আশাবাদী ব্যবসায়ীরা - খুচরো টেক্সটাইল ব্যবসায় কোরোনার প্রভাব

লকডাউনে ব্যবসায়ীরা খদ্দেরের দর্শন না পেলেও পুজোর সময় থেকেই আবার গ্রাহকরা দোকানমুখী হচ্ছেন। দশেরা ও দীপাবলিতেও ব্যবসা মন্দ হয়নি । তবে এখন ব্যবসায়ীরা বিয়ের মরশুম ও ক্রিসমাসের দিকে তাকিয়ে ।

condition of retail textile business amid corona pandemic
খুচরো টেক্সটাইল ব্যবসায় কোরোনার প্রভাব
author img

By

Published : Nov 29, 2020, 10:33 PM IST

কলকাতা, 29 নভেম্বর : কোরোনা মোকাবিলায় দেশজুড়ে একটানা অনেকদিন ধরে চলেছে লকডাউন পরিস্থিতি । বন্ধ ছিল কাজকর্ম ও সব ধরনের ব্যবসা । সেই অর্থনৈতিক সংকট এখনও কাটিয়ে উঠতে পারেননি ছোটো-বড় সব ব্যবসায়ীরা । তবে ধীরে ধীরে ঘুরে দাঁড়াচ্ছে ব্যবসা ও অর্থনৈতিক অবস্থা । তবে কাপড়ের খুচরো ব্যবসার ক্ষেত্রে সুদিন আসতে শুরু করেছে ।

কাপড়ের দোকানগুলির কাপড়ের একটা বড় অংশ ব্যবহৃত হয় ফ্যাশন ইন্ডাস্ট্রিতে । তবে এখনও বন্ধ রয়েছে বহু ডিজ়াইনার শো রুম ও দোকান । পাশাপাশি বন্ধ ফ্যাশন শোও । তবে এমনটা নয় যে ফ্যাশন ইন্ডাস্ট্রি এখনও তেমনভাবে শুরু হয়নি বলে একেবারেই থমকে গেছে টেক্সটাইল ইন্ডাস্ট্রির ব্যবসা । পুজোর সময় থেকেই আবার গ্রাহকরা দোকানমুখী হচ্ছেন। দশেরা ও দীপাবলিতেও ব্যবসা মন্দ হয়নি । তবে এখন ব্যবসায়ীরা বিয়ের মরশুম ও ক্রিসমাসের দিকে তাকিয়ে ।

দোকানগুলিতে আবার বিক্রিবাটা শুরু হলেও দীর্ঘদিন ব্যবসা বন্ধ থাকার ফলে স্বাভাবিকভাবেই আর্থিক সংকটে পড়েছেন এই দোকানের সাথে জড়িয়ে থাকা কারিগররা । বহু শিল্পী ও কারিগরেরা কর্মহীন হয়ে পড়েছেন । শহরের একটি নামী টেক্সটাইল রিটেল সংস্থার মালিক ঈশ্বর ভোজরাজ ঠাকোওয়ানি বলেন, "এই মরশুমে প্রচুর বিদেশি গ্রাহক আমাদের দোকানে আসেন । তবে এই বছর এইটা আর হচ্ছে না । এই সময়টায় পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্ত থেকে গ্রাহক আসেন । তবে গ্রাহকরা আগে যে পরিমাণে কাপড় কিনতেন এখন সেই পরিমাণে আর কেনাকাটা করতে পারছেন না । কারণ এখন সবার হাতেই অর্থ সীমিত ।"

ছন্দে ফিরছে কাপড়ের ব্যবসা, আশাবাদী ব্যবসায়ীরা

তিনি আরও বলেন,"ধীরে ধীরে ব্যবসা আবার ঘুরে দাঁড়াচ্ছে । সাধারণ মানুষজনের মন থেকে এখনও সংক্রমণের ভয় পুরোপুরিভাবে কাটেনি । তাই তাঁরা তেমনভাবে বাড়ি থেকে বেরোতেও ভয় পাচ্ছেন । এর আগে ট্রেন বন্ধ ছিল তাই অনেকেই দোকানে আসতে পারেননি । বিয়ের মরশুম শুরু হয়েছে । তাই বিয়ের জন্য কেনাকাটা করতে গ্রাহকরা ও কিছু কিছু করে আসছেন । তবে ব্যবসার হাল ফিরতে এখনও কিছুটা সময় লাগবে ।"

তবে লকডাউনের জেরে তাঁতি ও অন্য কারিগরদের কাজ একেবারেই বন্ধ হয়ে রয়েছে । কারণ এই কাজে অনেক অর্থের প্রয়োজন । তাঁদের হাতে এখন তেমন অর্থ নেই । তাই ইচ্ছে থাকা সত্ত্বেও তাঁরা পুরোদমে কাজ শুরু করতে পারেননি । কারণ কেউ আর এখন ঝুঁকি নিতে চাইছেন না । অন্যদিকে আন্তর্জাতিক বাজারেও চলছে মন্দা । কোরোনা আতঙ্কে মার্চ মাস থেকে বাতিল হয়েছে একের পর এক অনুষ্ঠান । দেশ-বিদেশের নামজাদা ব্রান্ডগুলি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ব্যপকভাবে । বাতিল হয়েছে একের পর এক অর্ডার ।

রিটেইলার অ্যাসোসিয়েশন অফ ইন্ডিয়ার CEO কুমার রাজাগোপালন বলেন, "কোরোনার জেরে রিটেল ব্যবসা ভীষণভাবে প্রভাবিত হয়েছে । আমাদের দেশে রিটেল ব্যবসা ক্ষেত্রে প্রতিবছর লাভ থেকেছে ডবল ডিজিটে । তবে কোরোনা আবহে গত বছরের তুলনায় এবছর বহু রিটেলার ব্যবসায়ীরা লাভের মুখ তো দেখেনইনি বরং লোকসানের চেহারা অনেকটাই বেশি, প্রায় 60 থেকে 70 শতাংশ । তবে গত কয়েক মাসে রিটেল ব্যবসার হাল ফিরছে । তবে কাপড়-জামার ব্যবসা ভীষণভাবেই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে উৎসব ও বিয়ের মরশুমে অনেকটাই বেড়েছে ব্যবসা । বিশেষ করে দুর্গাপুজোর সময় ব্যবসা হয়েছে অনেকটা পরিমাণেই । যদি সংক্রমণ আর ফিরে না আসে তাহালে মনে করা হচ্ছে যে ব্যবসার সুদিন আর দূরে নেই ।"

কলকাতা, 29 নভেম্বর : কোরোনা মোকাবিলায় দেশজুড়ে একটানা অনেকদিন ধরে চলেছে লকডাউন পরিস্থিতি । বন্ধ ছিল কাজকর্ম ও সব ধরনের ব্যবসা । সেই অর্থনৈতিক সংকট এখনও কাটিয়ে উঠতে পারেননি ছোটো-বড় সব ব্যবসায়ীরা । তবে ধীরে ধীরে ঘুরে দাঁড়াচ্ছে ব্যবসা ও অর্থনৈতিক অবস্থা । তবে কাপড়ের খুচরো ব্যবসার ক্ষেত্রে সুদিন আসতে শুরু করেছে ।

কাপড়ের দোকানগুলির কাপড়ের একটা বড় অংশ ব্যবহৃত হয় ফ্যাশন ইন্ডাস্ট্রিতে । তবে এখনও বন্ধ রয়েছে বহু ডিজ়াইনার শো রুম ও দোকান । পাশাপাশি বন্ধ ফ্যাশন শোও । তবে এমনটা নয় যে ফ্যাশন ইন্ডাস্ট্রি এখনও তেমনভাবে শুরু হয়নি বলে একেবারেই থমকে গেছে টেক্সটাইল ইন্ডাস্ট্রির ব্যবসা । পুজোর সময় থেকেই আবার গ্রাহকরা দোকানমুখী হচ্ছেন। দশেরা ও দীপাবলিতেও ব্যবসা মন্দ হয়নি । তবে এখন ব্যবসায়ীরা বিয়ের মরশুম ও ক্রিসমাসের দিকে তাকিয়ে ।

দোকানগুলিতে আবার বিক্রিবাটা শুরু হলেও দীর্ঘদিন ব্যবসা বন্ধ থাকার ফলে স্বাভাবিকভাবেই আর্থিক সংকটে পড়েছেন এই দোকানের সাথে জড়িয়ে থাকা কারিগররা । বহু শিল্পী ও কারিগরেরা কর্মহীন হয়ে পড়েছেন । শহরের একটি নামী টেক্সটাইল রিটেল সংস্থার মালিক ঈশ্বর ভোজরাজ ঠাকোওয়ানি বলেন, "এই মরশুমে প্রচুর বিদেশি গ্রাহক আমাদের দোকানে আসেন । তবে এই বছর এইটা আর হচ্ছে না । এই সময়টায় পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্ত থেকে গ্রাহক আসেন । তবে গ্রাহকরা আগে যে পরিমাণে কাপড় কিনতেন এখন সেই পরিমাণে আর কেনাকাটা করতে পারছেন না । কারণ এখন সবার হাতেই অর্থ সীমিত ।"

ছন্দে ফিরছে কাপড়ের ব্যবসা, আশাবাদী ব্যবসায়ীরা

তিনি আরও বলেন,"ধীরে ধীরে ব্যবসা আবার ঘুরে দাঁড়াচ্ছে । সাধারণ মানুষজনের মন থেকে এখনও সংক্রমণের ভয় পুরোপুরিভাবে কাটেনি । তাই তাঁরা তেমনভাবে বাড়ি থেকে বেরোতেও ভয় পাচ্ছেন । এর আগে ট্রেন বন্ধ ছিল তাই অনেকেই দোকানে আসতে পারেননি । বিয়ের মরশুম শুরু হয়েছে । তাই বিয়ের জন্য কেনাকাটা করতে গ্রাহকরা ও কিছু কিছু করে আসছেন । তবে ব্যবসার হাল ফিরতে এখনও কিছুটা সময় লাগবে ।"

তবে লকডাউনের জেরে তাঁতি ও অন্য কারিগরদের কাজ একেবারেই বন্ধ হয়ে রয়েছে । কারণ এই কাজে অনেক অর্থের প্রয়োজন । তাঁদের হাতে এখন তেমন অর্থ নেই । তাই ইচ্ছে থাকা সত্ত্বেও তাঁরা পুরোদমে কাজ শুরু করতে পারেননি । কারণ কেউ আর এখন ঝুঁকি নিতে চাইছেন না । অন্যদিকে আন্তর্জাতিক বাজারেও চলছে মন্দা । কোরোনা আতঙ্কে মার্চ মাস থেকে বাতিল হয়েছে একের পর এক অনুষ্ঠান । দেশ-বিদেশের নামজাদা ব্রান্ডগুলি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ব্যপকভাবে । বাতিল হয়েছে একের পর এক অর্ডার ।

রিটেইলার অ্যাসোসিয়েশন অফ ইন্ডিয়ার CEO কুমার রাজাগোপালন বলেন, "কোরোনার জেরে রিটেল ব্যবসা ভীষণভাবে প্রভাবিত হয়েছে । আমাদের দেশে রিটেল ব্যবসা ক্ষেত্রে প্রতিবছর লাভ থেকেছে ডবল ডিজিটে । তবে কোরোনা আবহে গত বছরের তুলনায় এবছর বহু রিটেলার ব্যবসায়ীরা লাভের মুখ তো দেখেনইনি বরং লোকসানের চেহারা অনেকটাই বেশি, প্রায় 60 থেকে 70 শতাংশ । তবে গত কয়েক মাসে রিটেল ব্যবসার হাল ফিরছে । তবে কাপড়-জামার ব্যবসা ভীষণভাবেই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে উৎসব ও বিয়ের মরশুমে অনেকটাই বেড়েছে ব্যবসা । বিশেষ করে দুর্গাপুজোর সময় ব্যবসা হয়েছে অনেকটা পরিমাণেই । যদি সংক্রমণ আর ফিরে না আসে তাহালে মনে করা হচ্ছে যে ব্যবসার সুদিন আর দূরে নেই ।"

ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.