কলকাতা, 28 নভেম্বর : কলেজগুলোর অস্থায়ী শিক্ষাকর্মীদের স্থায়ী করার দাবি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে আবেদন জানালেন বাম পরিষদীয় দলনেতা সুজন চক্রবর্তী । কোরোনা পরিস্থিতির মধ্যেও নিজেদের রুটি-রুজির তাগিদে কলেজের অস্থায়ী শিক্ষাকর্মীরা নিজেদের দায়িত্ব পালন করে গিয়েছেন। বামপন্থী দল নেতা সুজন চক্রবর্তী মুখ্যমন্ত্রীকে জানিয়েছেন, একটা অমানবিক ঘটনার প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর। রাজ্যের কলেজগুলোর অস্থায়ী শিক্ষাকর্মীরা দলমত নির্বিশেষে, অনোন্যপায় হয়েই রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় অনশনে বসেছেন। ইতিমধ্যে তাদের সেই কর্মসূচি 50 দিন অতিক্রান্ত হয়ে গিয়েছে। দুর্গাপূজার সময় কলেজের অস্থায়ী কর্মীরা কেন রাস্তায় কাটাতে বাধ্য হলেন, তা গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করার জন্য মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আবেদন জানিয়েছেন সুজন চক্রবর্তী।
বস্তুতপক্ষে কলেজগুলিতে স্থায়ী কর্মীসংখ্যা প্রয়োজনের তুলনায় খুবই কম। মূলত অস্থায়ী শিক্ষা কর্মীদের ওপর নির্ভর করেই কলেজ পরিচালিত হচ্ছে। এদের চাকরির স্বীকৃতি ও বেতন কাঠামো, এবং নিরাপত্তা অভাব থেকেই যাচ্ছে। গত কয়েক বছরে এই সংকট এমনভাবে বেড়েছে যে এরা একাধিকবার, রাজ্য সরকারের শিক্ষা দপ্তরের কাছে আবেদন জানিয়েছে। কলেজ কর্তৃপক্ষ, জেলাশাসক ও মহকুমাশাসকদের কাছে বারে বারে ডেপুটেশন দেওয়া হয়েছে। কলকাতায় কেন্দ্রীয়ভাবে শিক্ষা দপ্তরের সামনেও অস্থায়ী শিক্ষা কর্মীরা এদের এই দাবির সাপেক্ষে অবস্থান করেছে। আর কীভাবে সরকারকে জানানো যাবে বলে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে জিজ্ঞাসা করেছেন সুজন চক্রবর্তী।
এত করেও সরকারের টনক নড়ছে না কেন, প্রশ্ন সুজনের। সুজন চক্রবর্তী বলেন, " শিক্ষা মন্ত্রী এদের যুক্তি ও দাবির ন্যায্যতা সংগত বলে স্বীকার করেছেন। সেই মতো তিনি সংশ্লিষ্ট কাগজপত্র জমা দিতে বলেন। শিক্ষামন্ত্রীর সেই নির্দেশ মত এরা প্রয়োজনীয় সংশ্লিষ্ট সব কাগজপত্র শিক্ষামন্ত্রীর কাছে জমা দিয়েছেন। এক বছর অতিক্রান্ত। সরকারের দিক থেকে এই বিষয়ে কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। বাধ্য হয়ে দুর্গাপূজার সময় এরা রাস্তায় অবস্থান করেছে। এদের দাবী ন্যায্যতা সম্পর্কে কোন সন্দেহ থাকতে পারে না। সমকাজে সমবেতন সাপেক্ষে, ন্যূনতম মজুরি এদের জন্য প্রযুক্ত হওয়া অবিলম্বে জরুরি।"