ডানলপ, 30 মে: চড়া রোদের মধ্যে দীর্ঘ লাইন ৷ ছাতা মাথায় ঘণ্টার পর ঘণ্টা বাস স্ট্যান্ডে দাঁড়িয়ে যাত্রীরা ৷ গন্তব্যস্থলে পৌঁছাতে হলে অন্তত হাতে 2-3 ঘণ্টা সময় নিয়ে বাড়ি থেকে বের হতে হচ্ছে ৷ সরকারি বাস পরিষেবা চালু হলেও বাসের সংখ্যা ও সামাজিক দূরত্ববিধির জন্য এভাবেই দুর্ভোগে মানুষ ৷
দু'মাসের লকডাউনের শেষ পর্যায়ে রুটি-রুজির খোঁজে ফের রাস্তায় নেমেছে মানুষজন । কর্মক্ষেত্রে যেতে হচ্ছে তাদের । সরকারি হিসেবে বলছে 10টি রুটে বাস নামানো হয়েছে । তাতে সামাজিক দূরত্ব মেনে যাত্রী পরিষেবা দেওয়া হচ্ছে । কিন্তু রাস্তায় নেমে বাস পাওয়া কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে । ডানলপের L9 বাস স্টপ থেকে 9A বাসটি গড়িয়া পর্যন্ত যাচ্ছে । সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউ হয়ে ধর্মতলা ছুঁয়ে গড়িয়া পৌঁছাচ্ছে বাসটি । ফলে অফিস পাড়া, সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউ, ধর্মতলা, পার্কস্ট্রীট, থিয়েটার রোড, এক্সাইড, ল্যান্সডাউন, হাজরা, রাসবিহারী, গড়িয়াহাটে যাদের অফিস তারা এই বাসটি ধরার চেষ্টা করছেন । ব্যারাকপুর থেকে হাওড়া পর্যন্ত সরকারি বাস চললেও BT রোডের মাঝপথ থেকে বাস পাওয়া কঠিন হয়ে পড়ছে । কারণ 20 জনের বেশি যাত্রী বাসে তোলা হচ্ছে না । ফলে মাঝপথে কোনও যাত্রী না নামলে বাস পাওয়ার উপায় নেই ।
এই অবস্থায় বেলঘড়িয়া, ডানলপ,আগরপাড়া,খড়দা,সোদপুর, সিঁথি, টবিন রোডের মানুষ হেঁটে বা বেশি টাকা ভাড়া দিয়ে অটোয় চেপে 9A বাস ধরতে আসছেন । ফলে সকাল থেকে বাস স্ট্যান্ডে লম্বা লাইন । যা ডানলপের বিক্রম সুপার মার্কেট পর্যন্ত ছাড়িয়ে যাচ্ছে । বাসের দরজায় পা দিতে দেড় থেকে সাড়ে তিনঘণ্টা অপেক্ষা করতে হচ্ছে । জৈষ্ঠ মাসের চড়া রোদে দীর্ঘক্ষণ লম্বা লাইনে দাঁড়িয়ে প্রাণ ওষ্ঠাগত তাদের । ফলে যাত্রীদের মধ্যে ক্ষোভ বাড়ছে । তারা নির্দিষ্ট সময়ে গন্তব্যে পৌঁছাতে পারছেন না । পাশাপাশি সামাজিক দূরত্ব মানার নিয়মও শিকেয় উঠেছে । এই অবস্থায় যাত্রীর চাপ,বাসের সংখ্যা এবং সামাজিক দূরত্ব পালনের নিয়ম মানার চেষ্টা, সব মিলিয়ে কীভাবে এই সমস্যার সমাধান হবে সেটাই দেখার ।