কলকাতা, 17 মে: ঘূর্ণিঝড় আমফান নিয়ে চূড়ান্ত সর্তকতা জারি করল রাজ্য সরকার । ঘূর্ণিঝড়ের মোকাবিলায় উপকূলবর্তী জেলাগুলিকে বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশ দেওয়া হয়েছে । আগামীকালের মধ্যে উপকূলবর্তী এবং সুন্দরবনে বাঁধ লাগোয়া বাসিন্দাদের নিরাপদস্থানে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ।
গতকাল সন্ধ্যায় নবান্নে মুখ্য সচিবের সঙ্গে বিপর্যয় মোকাবিলা সহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলির সচিবদের বৈঠকের পর চূড়ান্ত করা হয় সতর্কতামূলক ব্যবস্থার রূপরেখা । তারপরই পূর্ব মেদিনীপুর, দক্ষিণ 24 পরগনা এবং উত্তর 24 পরগনা জেলাগুলিকে বিশেষ সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে । সেই সূত্রে আজই মাঠে নেমে পড়েন প্রশাসনের আধিকারিকরা । উত্তর এবং দক্ষিণ 24 পরগনা ও সুন্দরবন লাগোয়া বাঁধগুলির পরিস্থিতি কী তা খতিয়ে দেখা হয়েছে । গোসাবা, বাসন্তী, সন্দেশখালি, পাখিরালয়ের বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলেছেন প্রশাসনের কর্তারা । সমুদ্রের তীরবর্তী স্থানের বাসিন্দাদের নিরাপদে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হচ্ছে । এদিকে পূর্ব মেদিনীপুর প্রশাসন দীঘা, শংকরপুর, তাজপুর, মন্দারমণি, বাঁকিপুরের মতো এলাকাগুলি পরিদর্শন করে সাধারণ মানুষের সঙ্গে কথা বলেছে । তাদের আতঙ্কিত না হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন তারা । সরকার সর্বোতভাবে বিপর্যয় মোকাবিলায় প্রস্তুত তা জানিয়ে দেওয়া হয়েছে ।
ইতিমধ্যেই রাজ্য সরকার সমুদ্র এবং নদীতে মাছ ধরতে যেতে বারণ করেছে । যতদিন পর্যন্ত দুর্যোগ থাকবে ততদিন পর্যন্ত এই নিষেধাজ্ঞা বলবৎ থাকবে বলে জানিয়ে দিয়েছে প্রশাসন । ইতিমধ্যেই রাজ্য সরকারের সঙ্গে কথা বলেছে উপকূল রক্ষী বাহিনী । ভারতীয় কোস্ট গার্ড মেরিটাইম রিসার্চ এবং উদ্ধারকাজের সমন্বয়ের নোডাল এজেন্সি হিসেবে কাজ করে । উপকূল রক্ষী বাহিনীর উত্তর-পূর্ব অঞ্চলের সদর দপ্তর কলকাতা । পশ্চিমবঙ্গ কিংবা ওড়িশায় এরকম পরিস্থিতিতে নোডাল এজেন্সি হিসেবে কাজ করে ওই দপ্তর । এর আগে ফণী ঝড়ের সময় উদ্ধার কাজের ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা নিয়েছিল কোস্টগার্ড । এবারও আসন্ন বিপদের আশঙ্কায় পরিকল্পনা তৈরি করে ফেলেছে উপকূল রক্ষী বাহিনী । ইতিমধ্যেই পশ্চিমবঙ্গ এবং ওড়িশার রাজ্য প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বযয়ের বিষয়ে কথা বলেছে তারা । কথা হয়েছে দুই রাজ্যের মৎস্য দপ্তরের সঙ্গেও ।
আন্দামান সাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপ ক্রমশ শক্তি সঞ্চয় করছে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদরা । আজ এটি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হওয়ার কথা । আবহাওয়াবিদরা জানিয়েছেন, বুধবার বিকেল বা সন্ধে নাগাদ পশ্চিমবঙ্গের সাগরদ্বীপ এবং বাংলাদেশের হাতিয়া দ্বীপের মধ্যবর্তী এলাকায় এই ঘূর্ণিঝড় আছড়ে পড়তে পারে । এখনও পর্যন্ত ঝড়ের গতিপ্রকৃতি তেমনটাই । এই ঘূর্ণিঝড় ঘণ্টায় 3 কিলোমিটার বেগে স্থলভাগের দিকে এগিয়ে আসছে ।
আমফান নিয়ে চূড়ান্ত সতর্কতা, উপকূলবর্তী ও বাঁধ লাগোয়া বাসিন্দাদের নিরাপদে সরিয়ে আনার নির্দেশ
গতকাল সন্ধ্যায় নবান্নে মুখ্য সচিবের সঙ্গে বিপর্যয় মোকাবিলা সহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলির সচিবদের বৈঠকের পর চূড়ান্ত করা হয় সতর্কতামূলক ব্যবস্থার রূপরেখা । তারপরই পূর্ব মেদিনীপুর, দক্ষিণ 24 পরগনা এবং উত্তর 24 পরগনা জেলাগুলিকে বিশেষ সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে ।
কলকাতা, 17 মে: ঘূর্ণিঝড় আমফান নিয়ে চূড়ান্ত সর্তকতা জারি করল রাজ্য সরকার । ঘূর্ণিঝড়ের মোকাবিলায় উপকূলবর্তী জেলাগুলিকে বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশ দেওয়া হয়েছে । আগামীকালের মধ্যে উপকূলবর্তী এবং সুন্দরবনে বাঁধ লাগোয়া বাসিন্দাদের নিরাপদস্থানে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ।
গতকাল সন্ধ্যায় নবান্নে মুখ্য সচিবের সঙ্গে বিপর্যয় মোকাবিলা সহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলির সচিবদের বৈঠকের পর চূড়ান্ত করা হয় সতর্কতামূলক ব্যবস্থার রূপরেখা । তারপরই পূর্ব মেদিনীপুর, দক্ষিণ 24 পরগনা এবং উত্তর 24 পরগনা জেলাগুলিকে বিশেষ সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে । সেই সূত্রে আজই মাঠে নেমে পড়েন প্রশাসনের আধিকারিকরা । উত্তর এবং দক্ষিণ 24 পরগনা ও সুন্দরবন লাগোয়া বাঁধগুলির পরিস্থিতি কী তা খতিয়ে দেখা হয়েছে । গোসাবা, বাসন্তী, সন্দেশখালি, পাখিরালয়ের বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলেছেন প্রশাসনের কর্তারা । সমুদ্রের তীরবর্তী স্থানের বাসিন্দাদের নিরাপদে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হচ্ছে । এদিকে পূর্ব মেদিনীপুর প্রশাসন দীঘা, শংকরপুর, তাজপুর, মন্দারমণি, বাঁকিপুরের মতো এলাকাগুলি পরিদর্শন করে সাধারণ মানুষের সঙ্গে কথা বলেছে । তাদের আতঙ্কিত না হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন তারা । সরকার সর্বোতভাবে বিপর্যয় মোকাবিলায় প্রস্তুত তা জানিয়ে দেওয়া হয়েছে ।
ইতিমধ্যেই রাজ্য সরকার সমুদ্র এবং নদীতে মাছ ধরতে যেতে বারণ করেছে । যতদিন পর্যন্ত দুর্যোগ থাকবে ততদিন পর্যন্ত এই নিষেধাজ্ঞা বলবৎ থাকবে বলে জানিয়ে দিয়েছে প্রশাসন । ইতিমধ্যেই রাজ্য সরকারের সঙ্গে কথা বলেছে উপকূল রক্ষী বাহিনী । ভারতীয় কোস্ট গার্ড মেরিটাইম রিসার্চ এবং উদ্ধারকাজের সমন্বয়ের নোডাল এজেন্সি হিসেবে কাজ করে । উপকূল রক্ষী বাহিনীর উত্তর-পূর্ব অঞ্চলের সদর দপ্তর কলকাতা । পশ্চিমবঙ্গ কিংবা ওড়িশায় এরকম পরিস্থিতিতে নোডাল এজেন্সি হিসেবে কাজ করে ওই দপ্তর । এর আগে ফণী ঝড়ের সময় উদ্ধার কাজের ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা নিয়েছিল কোস্টগার্ড । এবারও আসন্ন বিপদের আশঙ্কায় পরিকল্পনা তৈরি করে ফেলেছে উপকূল রক্ষী বাহিনী । ইতিমধ্যেই পশ্চিমবঙ্গ এবং ওড়িশার রাজ্য প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বযয়ের বিষয়ে কথা বলেছে তারা । কথা হয়েছে দুই রাজ্যের মৎস্য দপ্তরের সঙ্গেও ।
আন্দামান সাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপ ক্রমশ শক্তি সঞ্চয় করছে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদরা । আজ এটি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হওয়ার কথা । আবহাওয়াবিদরা জানিয়েছেন, বুধবার বিকেল বা সন্ধে নাগাদ পশ্চিমবঙ্গের সাগরদ্বীপ এবং বাংলাদেশের হাতিয়া দ্বীপের মধ্যবর্তী এলাকায় এই ঘূর্ণিঝড় আছড়ে পড়তে পারে । এখনও পর্যন্ত ঝড়ের গতিপ্রকৃতি তেমনটাই । এই ঘূর্ণিঝড় ঘণ্টায় 3 কিলোমিটার বেগে স্থলভাগের দিকে এগিয়ে আসছে ।