কলকাতা, 14 এপ্রিল: বছরের শেষ দিনে কালীঘাট মন্দিরে গিয়ে রাজ্যের মানুষের কল্যাণে প্রতিবছরই পুজো দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবারও পয়লা বৈশাখের প্রাক সন্ধ্যায় কালীঘাট মন্দিরে পুজো দিলেন মুখ্যমন্ত্রী (CM at Kalighat temple)। এদিন মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের মা লতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং 73 নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর তথা তার অপর ভাতৃবধূ কাজরী বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে মূর্তি নিয়ে আরতিও করেন তিনি।
এদিন মন্দির পরিভ্রমণ সম্পর্কে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, নববর্ষের প্রাক্কালে আজ কালীঘাট মন্দিরে পুজো দিলাম ও সবার মঙ্গল কামনায় প্রার্থনা করলাম। মায়ের স্নেহাশিসে নতুন বছরের প্রতিটি দিন সুন্দর হয়ে উঠুক। সুখ, সমৃদ্ধির ছোঁয়া লাগুক প্রতিটি পরিবারে। শান্তি-সম্প্রীতি, ঐক্য-সৌভ্রাতৃত্বের বন্ধনে আবদ্ধ থাকুক সবার হৃদয়। প্রার্থনার কয়েকটি উজ্জ্বল মুহূর্ত।
আরও পড়ুন: Mamata on Darjeeling Development : পাহাড়ের উন্নয়নে সবরকম সহযোগিতা করব, আশ্বাস মুখ্যমন্ত্রীর
এদিন মন্দির থেকে বেরিয়ে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হন মুখ্যমন্ত্রী। সেখানেই তিনি কালীঘাটের স্কাইওয়াক তৈরির কথা জানান। তিনি বলেন, "আমি প্রতি বছর পয়লা বৈশাখের আগের দিন পুজো দিতে আসি। এবারও এসেছি। তারাপীঠ উন্নয়ন পর্ষদ গড়ে আমরা সেখানকার উন্নয়ন করেছি। অনুকূল ঠাকুরের আশ্রম, গঙ্গাসাগর মন্দিরের ক্ষেত্রেও আমরা কাজ করেছি । দক্ষিণেশ্বরে স্কাইওয়াক করে, হকার ভাইদের পুনর্বাসন দিয়েছি। কালীঘাটে স্কাইওয়াক তৈরি হচ্ছে। তার জন্য আমরা 300 কোটি টাকা খরচ করছি দক্ষিণেশ্বরের মতো করে। তবে হকারদের কোনও চিন্তা নেই। কিছুদিনের জন্য সরতে হলেও প্রত্যেকের জন্য ব্যবস্থা করা হবে। সবাইকে ফিরিয়ে আনা হবে।"
আরও পড়ুন: Mamata on Rampurhat Massacre : দেউচা পাচামি আটকাতে রামপুরহাট ষড়যন্ত্র, বিস্ফোরক মমতা
একইসঙ্গে তিনি বলেন, "ঈদের সময় আমি রেড রোডে নমাজেও যাই আপনারা জানেন। বড়দিনেও আমি চার্চে যাই। আমি গুরুদ্বারেও যাই। বিভিন্ন অনুষ্ঠানে যাওয়ার সুযোগ আমার হয়েছে। গঙ্গাসাগরেও যাই। এই কাজগুলো আমাদের ধর্ম, সংস্কৃতির মধ্যেই পড়ে। কাজেই রাজনীতির একটা গুরুত্বপূর্ণ অংশ হচ্ছে, রাজনীতি যেমন রাজনীতির জন্য, মানুষের সেবা করার জন্যও। আবার রাজনীতির বাইরেও আমি তো একটা মানুষ। আমার মানবিক ধর্মটাই হচ্ছে মায়ের কাছে আসি প্রার্থনা জানানোর জন্য। যাতে মানবিকতা ভাল থাকে। যাতে সকলের শুভবুদ্ধির উদয় হয়।"
এদিন মন্দির থেকে বেরিয়ে রাজ্যবাসীকে নতুন বছরের শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, "বাংলার সকলের জন্য শুভ ও শান্তি কামনা করতে এসেছিলাম। আমি বহুবছর ধরেই নববর্ষের আগের দিন কালীঘাটে আসি। রাজ্যের মানুষের জন্য পুজো দিই। যতদিন বাঁচব ততদিন আসব। মায়ের কাছে প্রার্থনা করতে আসি, যাতে মানবিকতা বজায় থাকে। মনুষ্যত্ব বজায় থাকে।"